এমিলিয়ানো মার্তিনেসকে নিয়ে একগুচ্ছ ভাবনা রয়েছে মোহনবাগানের? — ফাইল চিত্র
আগামী ৩ জুলাই রাতে কলকাতায় আসছেন আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী গোলকিপার এমিলিয়ানো মার্তিনেস। মোহনবাগান ক্লাবে এখন থেকেই শুরু হয়ে গেল প্রস্তুতি। মঙ্গলবার ক্লাবে কর্মসমিতির বৈঠক ছিল। সেখানে কিছু পরিকল্পনার কথা জানানো হয়েছে।
কলকাতায় আসার পরে মোহনবাগানের ক্লাবেই রয়েছে মার্তিনেসের প্রথম কর্মসূচি। দুপুর বা বিকেলের দিকে সবুজ-মেরুন তাঁবুতে আসার কথা তাঁর। প্রথমে তাঁবুতে তাঁকে সংবর্ধনা দেওয়া হবে। কিছু নির্বাচিত ক্লাবকর্তার সঙ্গে দেখা করবেন তিনি। এর পর ১০ জনের হাতে আজীবন সদস্যপদ তুলে দেবেন তিনি। নতুন করে ১০ জনকে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হচ্ছে মোহনবাগানের তরফে। এর মধ্যে ৪টি জায়গা পূরণ হয়ে গিয়েছে। বাকি ৬ জনকে আবেদনের ভিত্তিতে আজীবন সদস্যপদ দেওয়া হবে। প্রত্যেকেই সদস্যপদের কার্ড পাবেন মার্তিনেসের থেকে।
মার্তিনেসকে নিয়ে আরও পরিকল্পনা করার জন্যে মোহনবাগানের তরফে পাঁচ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটিতে থাকছেন দেবাশিস দত্ত (সচিব), উত্তম সাহা (কোষাধ্যক্ষ), মুকুল সিন্হা (অর্থসচিব), স্বপন বন্দ্যোপাধ্যায় (ফুটবল সচিব) এবং সন্দীপন বন্দ্যোপাধ্যায় (টেনিস সচিব)।
এর পর মোহনবাগানে ক্লাবে পেলে, দিয়েগো মারাদোনা এবং গ্যারি সোবার্সের নামে যে গেট রয়েছে তার উদ্বোধন করবেন মার্তিনেস। সে দিনই মোহনবাগান মাঠে ফ্রেন্ডশিপ কাপের ম্যাচ হবে। সেই ম্যাচের পুরোটাই দেখবেন মার্তিনেস। পুলিশ কমিশনারেট একাদশ এবং মোহনবাগান একাদশের মধ্যে ম্যাচ। মোহনবাগান একাদশের দল নির্বাচনের দায়িত্বে থাকছেন প্রাক্তন ফুটবলার মানস ভট্টাচার্য এবং সত্যজিৎ রায়। মূলত মোহনবাগানে খেলে যাওয়া অনূর্ধ্ব-৪৫ ফুটবলারদের নিয়েই দল গঠন করা হবে।
এ ছাড়া ক্লাবের মিডিয়া সেন্টারের নামকরণ হচ্ছে প্রয়াত মোহনবাগান কর্তা অঞ্জন মিত্রের নামে। আগামী ২০ জুলাই তাঁর জন্মদিন। সে দিনই নতুন মিডিয়া সেন্টারের উদ্বোধন করা হবে। মোহনবাগান দিবসে রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয় শহরের বিভিন্ন জায়গায়। এ বার তা হচ্ছে আহিরীটোলাতে।
সম্প্রতি ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের তরফে যুব ফুটবল এবং পরিকাঠামো উন্নয়নের জন্যে সমর্থকদের থেকে সাহায্য চাওয়া হয়েছে। এই প্রসঙ্গে দেবাশিস বলেন, “প্রতিটি ক্লাবের নীতি আলাদা। কোনও ক্লাব যদি দুঃসময়ে সমর্থকদের পাশে চায়, তার মধ্যে অন্যায়ের কিছু নেই। ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের সময়টা যে ভাল যাচ্ছে না এটা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। এই সময় সমর্থকদেরই পাশে থাকা উচিত। ভাল সময়ে উৎসব করব, খারাপ সময়ে নিন্দে করব সেটা তো হতে পারে না।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy