হেরে গেলেন কৃষ্ণরা। নিজস্ব চিত্র
এটিকে মোহনবাগান ২ (প্রীতম, কোলাসো)
গোকুলম কেরল: ৪ (মাজসেন ২, রিশাদ, জিতিন)
সন্দেশ জিঙ্ঘন আগে থেকেই ছিলেন না। প্রথমার্ধে চোট পেয়ে উঠে গেলেন তিরিও। দলের দুই গুরুত্বপূর্ণ ডিফেন্ডার না থাকলে তারা যে কতটা দুর্বল, সেটা আরও এক বার পরিষ্কার হয়ে গেল এটিকে মোহনবাগানের খেলায়। বুধবার এএফসি কাপ গ্রুপ পর্বের প্রথম ম্যাচে সদ্য আই লিগ জয়ী গোকুলম কেরলের কাছে ২-৪ ব্যবধানে হেরে গেল তারা। শুধু তিরি বা সন্দেশই নয়, চোটের কারণে ছিলেন না হুগো বুমোসও। ফলে মাঝ মাঠেও ধরে খেলার কোনও ফুটবলার ছিল না। সেই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করল গোকুলম। পর পর বাংলাকে ফুটবলে টেক্কা দিয়ে গেল কেরল।
বুমোস না থাকায় প্রথম একাদশে ডেভিড উইলিয়ামসের সঙ্গে শুরু করেন রয় কৃষ্ণই। সঙ্গে বাকি দুই বিদেশি ছিলেন তিরি এবং জনি কাউকো। প্রথমার্ধে দাপটে শুরু করেছিল এটিকে মোহনবাগান। দ্বিতীয় মিনিটেই প্রবীর দাসের বিষাক্ত ক্রস কেউ ঠেকাতে পারলে গোল হতেই পারত। বিপক্ষ গোলকিপারকে এগিয়ে থাকতে দেখে পাঁচ মিনিটের মাথায় মাঝ মাঠ থেকে শট নিয়েছিলেন কৃষ্ণ। গোকুলম গোলরক্ষক রক্ষিত ডাগার কোনও মতে সেই বল বাঁচিয়ে দেন। ১৭ মিনিটে কৃষ্ণের বাঁ পায়ের শট পোস্টে লেগে ফেরে। অল্পের জন্য নিশ্চিত গোল থেকে বঞ্চিত হয় এটিকে মোহনবাগান।
২৯ মিনিটে দারুণ সুযোগ পেয়েছিলেন কাউকো। কৃষ্ণের ব্যাকহিল সোজা তাঁর পায়ে আসে। কিন্তু বক্সের ভিতর থেকেও গোলকিপারকে পরাস্ত করতে পারেননি। ধীরে ধীরে খেলার রাশ নিজেদের হাতে নিতে শুরু করে গোকুলম। সবুজ-মেরুন বক্সে তাদেরও একের পর এক আক্রমণ ধেয়ে আসতে থাকে। ব্যস্ত থাকতে হয় অমরিন্দর সিংহকে। প্রথমার্ধে কোনও গোল হয়নি।
তবে ধারাবাহিক আক্রমণের সুফল দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পায় গোকুলম। ৫০ মিনিটে দলকে এগিয়ে দেন লুকা মাজসেন। এমিল বেনি মাঝ মাঠে বল পেয়ে বাড়িয়ে ডান দিকে ফাঁকায় থাকা জামানকে। জামানের ক্রস থেকে অনায়াসে গোল করে যান লুকা মাজসেন। তবে এটিকে মোহনবাগান সমতা ফেরাতে দেরি করেনি। ৫৩ মিনিটেই লিস্টন কোলাসোর কর্নার থেকে হেডে গোল করেন প্রীতম কোটাল। কিন্তু গোকুলম কেন আই লিগে খেললেও ভারতের অন্যতম সেরা দল, তা তারা বোঝাল কয়েক মিনিট পরেই। এ বারও ডোবাল এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স। বাঁ দিকে লম্বা বাড়ানো বল ধরেছিলেন জর্ডান ফ্লেচার। তিনি বক্সের মধ্যে অরক্ষিত থাকা রিশাদকে পাস দেন। সহজেই বল জালে জড়ান রিশাদ।
এটিকে মোহনবাগানের ডিফেন্স কতটা দুর্বল, তা আরও এক বার প্রকাশ্যে এল ৬৫ মিনিটে। এ বার মাঝ মাঠে বল দখলের লড়াইয়ে সহজেই আশুতোষ মেহতাকে পরাস্ত করেন ফ্লেচার। মোহনবাগান ডিফেন্ডারদের অলক্ষে উঠে এসেছিলেন মাজসেন। ফ্লেচারের বাড়ানো বল ধরে তিনি সহজেই অমরিন্দরকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান।
মোহনবাগান কিছুক্ষণের জন্য ম্যাচে ফিরেছিল ৮০ মিনিটে। বক্সের বাইরে ফ্রি-কিক পেয়েছিল তারা। ফ্রি-কিক থেকে সরাসরি গোল করেন কোলাসো। এর পর সমতা ফেরাতে মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন কৃ্ষ্ণ, উইলিয়ামস, লিস্টনরা। কিন্তু প্রাণপণে ডিফেন্স করছিল গোকুলমও। কিন্তু এটিকে মোহনবাগানের দুর্বল ডিফেন্স আবারও তাদের বাধা হয়ে দাঁড়াল। ৮৯ মিনিটে লুকার পাস থেকে জিতিন গোল করে এটিকে মোহনবাগানের কফিনে শেষ পেরেক পুঁতে দেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy