কিংবদন্তি: মোহনবাগান তাঁবুতে পিকের নামে জিম উদ্বোধনের পরে শ্যাম থাপা ও ব্যারেটো। শুক্রবার বিকলে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
কিংবদন্তি ফুটবলার ও কোচ প্রয়াত প্রদীপ কুমার (পিকে) বন্দ্যোপাধ্যায়ের নামাঙ্কিত জিমের উদ্বোধনে মোহনবাগান মাঠে নক্ষত্র সমাবেশ! জোসে রামিরেজ় ব্যারেটো, শ্যাম থাপা, সুব্রত ভট্টচার্য, প্রদীপ চৌধুরী, শিশির ঘোষ, বিদেশ বসু, মানস ভট্টাচার্য, শঙ্করলাল চক্রবর্তী ছাড়াও হাজির ছিলেন পিকের কন্যা পলা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছিলেন আর এক কিংবদন্তি কোচ প্রয়াত অমল দত্তের কন্যা নুপূর দত্তও।
শুক্রবার বিকেলে জিমের উদ্বোধন করেন ডিভিসি-র চেয়ারম্যান আর এন সিংহ। আপ্লুত ব্যারেটো বললেন, ‘‘মোহনবাগান আমার কাছে নিজের বাড়ির চেয়েও বড়। ১২ বছরেরও বেশি এই ক্লাবের হয়ে খেলেছি। বাড়ির চেয়ে অনেক বেশি সময় কাটিয়েছি মোহনবাগানে। সবসময়ই এখানে এলে বিশেষ অনুভূতি হয়। নিজের পরিবারের সঙ্গে মিলিত হওয়ার আনন্দ হয়।’’ বেঙ্গালুরু এফসিকে হারিয়ে মোহনবাগান আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার পরেই সমাজমাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছিলেন ‘সবুজ তোতা’। এ দিন বললেন, ‘‘আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হওয়া মোহনবাগান এবং অসংখ্য সবুজ-মেরুন সমর্থকদের কাছে অন্যতম সেরা প্রাপ্তি। আশা করছি, পরের বারও ভারতসেরা হবে মোহনবাগান। তত দিন পর্যন্ত এই উৎসব চলুক।’’
ব্যারেটো এই মুহূর্তে মুম্বইয়ে রিল্যায়্যান্স অ্যাকাডেমিতে কোচিংয়ে ব্যস্ত। তাঁর মতে, যুব ফুটবলের উন্নয়নই ক্লাবগুলিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে। বললেন, ‘‘জীবন পরিবর্তনশীল। মোহনবাগানও বদলাচ্ছে। যুব লিগে খেলছে। যা খুবই ইতিবাচক। এ ভাবেই এগিয়ে যেতে হবে।’’ এ দিন সংবর্ধনা জানানো হয় কোচিংয়ে এএফসি প্রো-লাইসেন্স পাশ করা শঙ্করলাল চক্রবর্তীকেও। মোহনবাগান সচিব দেবাশিস দত্ত বললেন, ‘‘জিম উদ্বোধন হল। এর পরে শিলিগুড়িতে মোহনবাগানের নামে রাস্তা উদ্বোধন হবে। প্রয়াত সচিব ধীরেন দে-র নামে ভিভিআইপি বক্স হবে। প্রেস বক্স হবে অমল দত্তের নামে।’’
মোহনবাগানের নতুন জিম উদ্বোধনের দিনেই ময়দান উত্তপ্ত হয়ে উঠল ইস্টবেঙ্গল কর্তাদের চাঞ্চল্যকর অভিযোগকে কেন্দ্র করে! শুক্রবার ক্লাব তাঁবুতে সাংবাদিক বৈঠকে লাল-হসুদের কর্মসমিতির সদস্য রজত গুহ অভিযোগ করেন, “বৃহস্পতিবার আমাদের লগ্নিকারীদের দফতরে বৈঠক ছিল। সেখানে কিছু সমর্থক শক্তিশালী দল গঠনের দাবিতে সরব হন। সেই ভিডিয়ো মোহনবাগান সচিব আমাদের লগ্নিকারী সংস্থার চেয়ারম্যানকে পাঠিয়ে দাবি করেছিলেন, এই জমায়েত আসলে নীতু-বাহিনীর। ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদের নয়।’’
ইস্টবেঙ্গলের অভিযোগ প্রসঙ্গে মোহনবাগান সচিব বললেন, ‘‘আমার কাছে এ রকম কোনও ভিডিয়ো-ই নেই। পুরোটাই ওদের আভ্যন্তরীণ ব্যাপার। আমার বক্তব্য রাখা ঠিক নয়। মোহনবাগান সবসময় আইএসএলে চ্যাম্পিয়ন হবে এটা হতে পারে না। ইস্টবেঙ্গল দ্রুত ভাল দল গড়ে লড়াইয়ে থাকলেই মঙ্গল।’’ যোগ করেন, ‘‘কে কার বাহিনী তা আমি কী করে জানব? কিছু লোক গিয়ে যদি বিরোধিতা করে থাকেন, তাঁরা নীতু না অন্য কারও বাহিনী আমার পক্ষে জানা সম্ভব নয়। আমি মনে করি, মোহনবাগানের লক্ষ্য থাকুক নিজেদের সাফল্য ধরে রাখা। আর ইস্টবেঙ্গলের সফল হওয়ার জন্য চেষ্টা করা উচিত। আমি মনেপ্রাণে চাই আগামী মরসুমে আইএসএলের ফাইনাল যেন মোহনবাগান ও ইস্টবেঙ্গলের মধ্যেই হয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy