খুয়ান ফেরান্দো ফাইল চিত্র
এএফসি চ্যাম্পিয়ন্স লিগের তৃতীয় ম্যাচে ইরানের পার্সিপোলিস এফসি-র বিরুদ্ধে মঙ্গলবার ১৪ মিনিটে এদু বেদিয়া গোল করে এগিয়ে দিয়েছিলেন এফসি গোয়াকে। ১৮ মিনিটে সমতা ফেরান মাহদি তোরাবি। ২৪ মিনিটে পার্সিপোলিসকে ২-১ এগিয়ে দেন সৈয়দ জালাল হোসেইনি।
মাত্র ছ’মিনিটের মধ্যে দু’গোল খাওয়াকে একেবারেই মেনে নিতে পারছেন না খুয়ান ফেরান্দো। মঙ্গলবার রাতে গোয়ার ফতোরদায় ম্যাচের পরে হতাশ গোয়া কোচ বলেছেন, “দলের খেলায় আমি একেবারেই খুশি নই। অসংখ্য ভুল করেছি। বলের নিয়ন্ত্রণও নিজেদের দখলে রাখতে ব্যর্থ।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের অভিষেক ম্যাচে আল রায়ানের বিরুদ্ধে ড্র করেছিল গোয়া। ম্যাচের পরে এদু, ধীরজ সিংহদের উচ্ছ্বসিত প্রশংসা করেছিলেন বিপক্ষের কোচ কিংবদন্তি লরা ব্লঁ। দ্বিতীয় ম্যাচে দুর্দান্ত খেলে তাঁরা আটকে দেন আল ওয়াহাদা-কে। পার্সিপোলিসের বিরুদ্ধে হঠাৎ কী হল? খুয়ানের ব্যাখ্যা, “এই ম্যাচে আমাদের ফুটবলারদের খুব ক্লান্ত দেখিয়েছে। তার উপরে দুই-তিন জন চোট নিয়ে খেলেছে। এই অবস্থায় মাঠে নেমে একশো শতাংশ দেওয়া খুবই কঠিন কাজ।” তিনি আরও বলেছেন, “পার্সিপোলিস দলটা তৈরি হয়েছে অভিজ্ঞ ও দুর্দান্ত ফুটবলারদের নিয়ে। এশিয়ার অন্যতম সেরা দলের বিরুদ্ধে আমাদের ফুটবলারেরা স্নায়ুচাপেও ভুগছিল।”
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের চতুর্থ ম্যাচে আগামী শুক্রবার ফের পার্সিপোলিসের মুখোমুখি হবেন ব্রেন্ডন ফার্নান্দেসরা। ‘ই’ গ্রুপের দ্বিতীয় পর্বের এই ম্যাচে গোয়া কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? খুয়ানের কথায়, “আমার কাছে এই মুহূর্তে সব চেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে, ফুটবলারেরা যাতে দ্রুত ক্লান্তি কাটিয়ে উঠতে পারে, তা দেখা। মাত্র দু’দিনের ব্যবধানে আবার পার্সিপোলিসের বিরুদ্ধে খেলতে হবে।” যোগ করেছেন, “আগের ম্যাচের ভুলত্রুটি যত তাড়াতাড়ি সম্ভব শুধরে নিতে হবে। যাতে এ বার মাঠে নেমে সেরাটা দিতে পারে ফুটবলারেরা।”
পার্সিপোলিসের বিরুদ্ধে প্রথম পর্বের ম্যাচে ২৯ মিনিটে চোট পেয়ে মাঠ ছেড়েছিলেন ডিফেন্ডার আদিল খান। শুক্রবারের ম্যাচে তাঁর খেলা নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। তবে এই ম্যাচে যে দলে একাধিক পরিবর্তন করবেন, জানিয়ে দিয়েছেন গোয়া কোচ। বলেছেন, “ফুটবলারদের কেউ কেউ প্রচণ্ড ক্লান্ত। অনেকের আবার একটি করে হলুদ কার্ড দেখা রয়েছে। তাই আমাদের খুব ভেবে-চিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। ফুটবলারদের মানসিক ভাবে চাপমুক্ত থাকাটাও জরুরি।”
গোয়া কোচ হতাশ দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে খেলতে হচ্ছে বলেও। বলেছেন, “ক্লান্তির কারণে ব্রেন্ডন দৌড়নোর চেষ্টা করেও পারছিল না। গ্লেন মার্টিন্স, এদু, হর্ঘে ওর্তিসদেরও একই অবস্থা। ফুটবলারদের পা যখন আর চলে না, তখন গ্যালারি থেকে সমর্থকদের চিৎকার ওদের অনুপ্রাণিত করে। ফতোরদায় দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে তো শুধু কোচিং স্টাফের চিৎকার শোনা যাচ্ছে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy