অকপট: ভারতীয় পেস বিভাগে আস্থা জ়াহিরের। —ফাইল চিত্র।
সেঞ্চুরিয়নে ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা টেস্ট সিরিজ়। ডিন এলগার মঙ্গলবারই জানিয়ে দিয়েছেন, বেশ কয়েক দিন ধরেই সেখানে বৃষ্টি হচ্ছে। উইকেটে পেসারদের জন্য বাড়তি সাহায্যও থাকবে। যেখানে ভয়ঙ্কর হয়ে উঠতে পারেন যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিরা। প্রাক্তন ভারতীয় বাঁ-হাতি পেসার জ়াহির খান মনে করেন, প্রত্যেক টেস্টেই ২০টি করে উইকেট তোলার ক্ষমতা রয়েছে ভারতীয় পেস বিভাগের। বুমরা, শামিদের বৈচিত্রই বিপদে ফেলবে দক্ষিণ আফ্রিকাকে।
ভারতীয় দলের বোলার হিসেবে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গ্রেম স্মিথের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন জ়াহির। তাঁর সামনে পড়লেই নাজেহাল হয়ে উঠত তাঁর জীবন। কিন্তু সে দেশ থেকে এখনও টেস্ট সিরিজ় জিতে ফেরা হয়নি ভারতের। জ়াহির মনে করেন, বুমরা-শামিদের যুগেই তা সম্ভব। এটাই সব চেয়ে বড় সুযোগ দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে টেস্ট সিরিজ় জিতে ফেরার।
মঙ্গলবার এক ভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে জ়াহির বলেছেন, ‘‘বিশ্বের যে কোনও প্রান্তে দাপটের সঙ্গে বল করে চলেছে ভারতীয় পেসাররা। ইংল্যান্ড থেকে অস্ট্রেলিয়া সফরে ভারতীয় পেসারদের দাপট নজর কেড়েছে ক্রিকেটবিশ্বের। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরেও আলাদা কিছু হবে না।’’ যোগ করেন, ‘‘প্রত্যেক টেস্ট ম্যাচেই ২০টি করে উইকেট তোলার ক্ষমতা রয়েছে এই ভারতীয় পেস বিভাগের। সবচেয়ে ভাল বিষয়, ভারতীয় পেস বিভাগের মতো বৈচিত্র আর কোনও দলের কাছে নেই।’’
জ়াহির যা বলেছেন, তা চোখ বন্ধ করে মেনে নেওয়া যায়। কারণ, ভারতীয় পেস বিভাগে রয়েছেন বুমরা, শামি, ইশান্ত শর্মা, মহম্মদ সিরাজ, শার্দূল ঠাকুর ও উমেশ যাদব। প্রত্যেকেই অন্য ধরনের পেসার। কারও শক্তি গতি ও বাউন্স তো কেউ বিভ্রান্ত করেন সুইং ও সিমের নড়াচড়ায়। জ়াহিরের কথায়, ‘‘ইশান্তের মতো বোলার উচ্চতা কাজে লাগিয়ে উইকেটের যে কোনও জায়গা থেকে বাউন্স করাতে পারে। শামির শক্তি ওর সিমের নড়াচড়া। পিচ থেকে দু’দিকেই বল নড়াচড়া করাতে পারে। তার পরে আসে বুমরা। বর্তমানে বিশ্বসেরা। ওর গতি ও পপিং ক্রিজ়ের ব্যবহার বিশ্বের যে কোনও ব্যাটারকে চাপে ফেলে দিতে পারে।’’
জ়াহির এখানেই না থেমে বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় পেস বিভাগে রয়েছে শার্দূল ঠাকুর, উমেশ যাদব ও মহম্মদ সিরাজ। তিন জনেই তিন ধরনের বোলার। সত্যি কথা বলতে, এত বৈচিত্র আর কোনও দলের পেস বিভাগে হয়তো নেই।’’ প্রাক্তন বাঁ-হাতি পেসার যদিও মনে করেন, এক বাঁ-হাতি পেসারেরই শুধু অভাব রয়েছে ভারতীয় শিবিরে। বলে দিলেন, ‘‘শুধুমাত্র একজন বাঁ-হাতি পেসার থাকলেই সব দিক থেকে পূর্ণতা পেত এই পেস বিভাগ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy