যশস্বী জয়সওয়াল। — ফাইল চিত্র।
আইপিএলে এবং ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিক ভাবে ভাল খেলে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন যশস্বী জয়সওয়াল। তার আগেই যশস্বীর ছোটবেলার পরিশ্রম এবং লড়াই প্রকাশ্যে আসে। জানা যায়, কী ভাবে ফুচকা বিক্রেতা থেকে ক্রিকেটার হয়েছেন তিনি। পরিশ্রম করলেও ফুচকা বিক্রি করার বিষয়টি যে ভুল, তা এত দিন পরে জানা গেল। এক সাক্ষাৎকারে যশস্বীর কোচ জ্বালা সিংহ জানিয়েছেন, ভুল খবর রটানো হয়েছে তাঁর ছাত্রের নামে।
জ্বালা বলেছেন, “২০১৩ সালে যশস্বীর সঙ্গে আমার আলাপ হয়। তখন ও আজাদ ময়দানের তাঁবুতে থাকত। আর্থিক সামর্থ্য খুব বেশি ছিল না। ওর বাবা পরিশ্রম করে কোনও রকমে পরিবারকে টানত। আজাদ ময়দানে অনেক ফুচকা বিক্রেতা বসত। যশস্বী ওদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়েছিল। গল্পগুজব করত। কখনও সখনও ওদের হয়ে ফুচকা বিক্রি করে ২০-২৫ টাকা রোজগারও করত। কিন্তু নিজে কখনও ফুচকা বিক্রি করেনি।”
জ্বালার দাবি, সমাজমাধ্যমে একটা ছবি এবং ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়ে যেখানে ফুচকা বিক্রেতা এক ব্যক্তি নিজেকে যশস্বীর বাবা বলে দাবি করেন। ২০১৮ সালে যশস্বী প্রথম বার অনূর্ধ্ব-১৯ দলে নির্বাচিত হওয়ার পর একটি টিভি চ্যানেল তাঁর সাক্ষাৎকার নেন। সেখানে ফুচকা বিক্রির ওই ভিডিয়োটি চায় তারা। জ্বালা আপত্তি করলেও শোনা হয়নি। সেই ভিডিয়ো ওই খবরের চ্যানেলে চালানো হয়। তখন থেকেই সবাই জেনে যান, যশস্বী ছোটবেলার ফুচকা বিক্রি করতেন।
জ্বালা বলেছেন, “যশস্বীর বাবা কাজের সূত্রে মাত্র কয়েক বার মুম্বই এসেছে। গোটা সময়েই আমার পরিবারের সঙ্গে ছিল। কখনও ওকে ছাত্র হিসাবে মানিনি। নিজের সন্তানের মতো রেখেছি এবং চেষ্ট করেছি সব সুযোগসুবিধা দিতে। তাই ফুচকা বিক্রি করার এই ভুল খবরগুলো দেখলে খুব হতাশ হই। গোটা ব্যাপারটা আংশিক ভাবে সত্য। কিন্তু সেটাকেই যখন রং চড়িয়ে দেখানো হয়, তখন ব্যথা লাগে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy