হুঙ্কার: দিল্লিকে জিতিয়ে উচ্ছ্বাস জোQDনাসেনের। সোমবার। টুইটার
টানা পাঁচটা ম্যাচ হেরে ডব্লিউপিএল থেকে প্রায় বিদায়ের মুখে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর। যাদের এখন মেয়েদের এই টি-টোয়েন্টি লিগে নতুন ‘চোকার্স’ বলা হচ্ছে।
সোমবার প্রথমে ব্যাট করে আরসিবি তোলে চার উইকেটে ১৫০। জবাবে দু’বল বাকি থাকতে, চার উইকেট হারিয়ে ম্যাচ জিতে নিল দিল্লি ক্যাপিটালস। দিল্লির হয়ে সর্বোচ্চ রান করেন অ্যালিস ক্যাপসি (৩৮)।
সোমবার ডি ওয়াই পাটিল স্টেডিয়ামে এই রকম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে ব্যর্থ হলেন স্মৃতি মন্ধানা। আরসিবি অধিনায়ক মাত্র আট রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান।
আরসিবি ইনিংসকে টানেন তিন নম্বরে নামা এলিস পেরি। ৫২ বলে অপরাজিত ৬৭ করেন তিনি। মারেন চারটে চার, পাঁচটা ছয়। শেষ দিকে ঝড় তুলেছিলেন বাংলার উইকেটকিপার ব্যাটার রিচা ঘোষ। রিচা করে যান ১৬ বলে ৩৭ রান। তিনটে চার, তিনটে ছয় পাওয়া যায় রিচার ব্যাট থেকে। দিল্লির বোলারদের মধ্যে শিখা পাণ্ডে তিন উইকেট নেন।
জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১১ ওভারে দিল্লি ক্যাপিটালসের স্কোর ছিল তিন উইকেট হারিয়ে ৮৮। আগের ম্যাচে বিধ্বংসী ব্যাট করা শেফালি বর্মা শূন্য রান করে ফিরে যান। অধিনায়ক মেগ ল্যানিংয়ের সংগ্রহ ১৫। এর পরে দিল্লিকে জয় এনে দেন মারিজ়ান ক্যাপ (অপরাজিত ৩২) এবং জেস জোনাসেন (অপরাজিত ২৯)। মেয়েদের লিগ শুরুর আগে আরসিবি-কে নিয়ে তুমুল আগ্রহের সৃষ্টি হয়েছিল। কিন্তু তারা পুরোপুরি হতাশ করল।
ম্যাচের পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে স্মৃতি বলেন, ‘‘আমাদের বোলাররা দারুণ বল করেছে। যে কারণে ম্যাচটা ২০ ওভার পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া গেল। আমারা উন্নতি করছি। কিন্তু আরও অনেক উন্নতি করতে হবে।’’ দিল্লির জয়ের অন্যতম নায়ক, ম্যাচের সেরা ক্রিকেটার জেস জোনাসেন বলেন, ‘‘ম্যাচটা এতটা হাড্ডাহাড্ডি হবে, বুঝতে পারিনি। তবে শেষ পর্যন্ত থেকে যে দলকে জেতাতে পেরেছি, তাতেই আমি খুশি।’’ যোগ করেন, ‘‘ঘরোয়া ক্রিকেটে আমি মাঝের দিকেই ব্যাট করি। যে কারণে এখানে উপরের দিকে খেলতে সমস্যা হচ্ছে না। আশা করব, এই ভাবে খেলে যেতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy