মাইলফলকের দিন বড় রান করতে পারলেন না বিরাট কোহলি। তাঁর ৩০০তম এক দিনের ম্যাচে গ্যালারিতে ছিলেন অনুষ্কা শর্মা। মাত্র ১১ রানে আউট হলেন কোহলি। তাঁর শট গ্লেন ফিলিপ্স তালুবন্দি করতেই স্তম্ভিত বিরাট-পত্নী। অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে থাকেন তিনি।
রবিবার নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে শুরুটা ভাল হয়নি ভারতের। শুভমন গিল এবং রোহিত শর্মা আউট হওয়ার পর ধুঁকতে থাকা ভারতের ইনিংস বাঁচানোর দায়িত্ব ছিল কোহলির কাঁধে। কিন্তু ফিলিপ্স ফিরিয়ে দিলেন তাঁকে। দুবাই স্টেডিয়ামে সপ্তম ওভারটি করছিলেন ম্যাট হেনরি। চতুর্থ বলটি অফ স্টাম্পের বাইরে ছিল। কোহলি সপাটে ব্যাট চালান। ফিলিপ্স বাদ দিয়ে অন্য কেউ থাকলে হয়তো বল বাউন্ডারিতে চলে যেত। পয়েন্টে ফিল্ডিং করছিলেন তিনি। তাঁর ডান দিকে বল ছিল। বল লক্ষ্য করে হাত বাড়িয়ে লাফ মারেন ফিলিপ্স। বল তালুবন্দি করার সময় তাঁর পা মাটি ছেড়ে উঠছে। প্রায় হাওয়ায় ভাসিয়ে দিলেন শরীর। তিনি যে জায়গায় দাঁড়িয়েছিলেন, বলটি ধরলেন তার থেকে একটু পিছনে। খুব সহজ ছিল না ক্যাচটা। কিন্তু ফিলিপ্স থাকলে সব ক্যাচই সহজ।
কোহলির থেকে ২৩ মিটার দূরে দাঁড়িয়েছিলেন ফিলিপ্স। ক্যাচ ধরার জন্য মাত্র ০.৬২ সেকেন্ড সময় পেয়েছিলেন তিনি। তার মধ্যেই বল ধরে ফেলেন ফিলিপ্স। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে মহম্মদ রিজ়ওয়ানের ক্যাচ অনেকটা এ ভাবেই ধরেছিলেন ফিলিপ্স।
আরও পড়ুন:
কোহলি ব্যাট করতে নামার পরেই গ্যালারিতে দেখা যায়, অনুষ্কা বসে রয়েছেন। বার বার ক্যামেরাম্যান তাঁকে দেখাচ্ছিলেন। কোহলি শুরুতে ভাল খেলছিলেন। অনুষ্কাও খুশি মনে বসেছিলেন। কিন্তু ফিলিপ্স বল তালুবন্দি করতেই হতভম্ব হয়ে যান অনুষ্কা। তিনি বলে ওঠেন, “হায় ভগবান!” ওই বল যে কেউ ধরতে পারে তা ভাবতেই পারেননি অনুষ্কা। হতাশ দেখায় তাঁকে। বেশ কিছু ক্ষণ মাথায় হাত দিয়ে বসে থাকেন তিনি। সাজঘরে ফেরার সময় কোহলিকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল, তিনিও বিশ্বাস করতে পারেননি ফিলিপ্স ক্যাচ ধরে ফেলবেন।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের কড়া নির্দেশিকার পর চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতীয় ক্রিকেটারেরা পরিবার নিয়ে যেতে পারেননি। তবে পরে বোর্ড নিয়ম কিছুটা শিথিল করেছে। একটি ম্যাচে পরিবার নিয়ে যেতে পারবেন ক্রিকেটারেরা। পাকিস্তান ম্যাচে গ্যালারিতে দেখা গিয়েছিল রোহিত শর্মার স্ত্রী রীতিকা সজদেহ ও কন্যা সামাইরাকে। কোহলির ৩০০তম এক দিনের ম্যাচের সাক্ষী থাকতে গিয়েছিলেন অনুষ্কা। কিন্তু আনন্দ করতে পারলেন না তিনি।