(বাঁ দিক থেকে) রোহিত শর্মা, গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
মেঘলা আবহাওয়া। আগের কয়েক দিন টানা বৃষ্টি হয়েছে। পিচ ঢাকা ছিল। এই পরিস্থিতিতে যে কোনও অধিনায়ক চাইবেন টস জিতে বল করতে। কিন্তু সকলকে অবাক করে দিয়ে রোহিত শর্মা টস জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিলেন। বেঙ্গালুরুতে নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম ইনিংসে ভেঙে পড়ল ভারতের ব্যাটিং। মাত্র ৪৬ রানে অল আউট হয়ে গেল তারা। ভারতের তিন সিদ্ধান্ত ডুবিয়ে দিল দলকে। অধিনায়ক রোহিত ছাড়াও তালিকায় রয়েছেন গৌতম গম্ভীর ও বিরাট কোহলি।
রোহিতের প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত
টস জিতে রোহিত ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন। কারণ হিসাবে বলেন, “আমরা জানি পিচ ঢাকা ছিল। হয়তো শুরুতে উইকেট একটু ভেজা থাকবে। তাই আমরা ব্যাট করে বড় রান করতে চাই। আমরা এই ম্যাচ থেকে ফয়সালা চাই। তাই যা ঠিক মনে হয়েছে তাই করেছি।”
রোহিতের কথা থেকে পরিষ্কার, ব্যাট করা কঠিন হবে জেনেও ব্যাটিং নিয়েছেন তিনি। গত সিরিজ়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কানপুরে আক্রমণাত্মক ব্যাট করে জিতেছিল ভারত। এই টেস্টেও একটি গোটা দিন বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছে। সেই জন্যই কি আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। ভেবেছিলেন কানপুরের মতোই ব্যাট করবেন। বাংলাদেশ আর নিউ জ়িল্যান্ডের বোলিং আক্রমণ যে এক নয় সেটা কি ভুলে গেলেন রোহিত? না হলে কেন নিউ জ়িল্যান্ডকে তাদের পরিচিত আবহাওয়ায় বল করতে পাঠিয়ে দিলেন। অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী কি হয়ে পড়েছিলেন ভারত অধিনায়ক। সেই কারণেই নিজের পায়ে কুড়ুল মারলেন। যে পিচে তিনি রান তোলার কথা ভাবছিলেন সেই পিচে ৩১.২ ওভারে ৪৬ রানে অল আউট হয়ে গেল ভারত। দেশের মাটিতে সর্বনিম্ন রান করল তারা। রোহিতের সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হয়ে ফিরে এল।
গম্ভীরের ব্যাটিং অর্ডার বদল
ভুল করলেন কোচ গম্ভীরও। জাতীয় দলের দায়িত্বে তিনিও নতুন। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ব্যাটিং অর্ডারে বদল করেছিলেন। অশ্বিনকে আগে ব্যাট করতে পাঠিয়েছিলেন। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লেগেছিল। কিন্তু বেঙ্গালুরুতে হল না। কোহলি আট বছর আগে শেষ বার তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমেছিলেন। তার পর থেকে চার নম্বরেই খেলছেন তিনি। যতই খারাপ ফর্মে থাকুন, এই দলের সেরা ব্যাটার তিনি। তাঁকে কেন আগে পাঠালেন গম্ভীর।
শুভমন গিল খেলতে পারেননি। তিন নম্বরে লোকেশ রাহুল বা সরফরাজ় খানকে নামাতে পারতেন গম্ভীর। রাহুল আগে ওপেন করতেন। ফলে তিন নম্বর তাঁর কাছে অপরিচিত নয়। প্রয়োজনে ঋষভ পন্থকেও নামানো যেত। কিন্তু কোহলিকে আগে নামিয়ে দিলেন কোচ। অপরিচিত জায়গায় শূন্য রানে আউট হয়ে ফিরে এলেন তিনি।
পিছনের পায়ে খেলার বল সামনের পায়ে খেলে আউট কোহলি
যে ভাবে কোহলি আউট হলেন তা নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ব্যাট করতে নামার আগেই তিনি দেখেছিলেন দু’দিকেই বল সুইং করছিল। তাই নেমে ক্রিজ় থেকে একটু এগিয়ে দাঁড়িয়ে ছিলেন কোহলি। সুইং কাটানোর জন্য এই পদ্ধতি নিয়েছিলেন। এগিয়ে দাঁড়ানোর ফলে এমনিতেই কিউয়ি পেসারদের বল দ্রুত তাঁর কাছে যাচ্ছিল। এই পরিস্থিতিতে তাঁকে পিছনের পায়ে খেলতে হত। উইলিয়াম ও’রৌরকির যে বলে তিনি আউট হন সেটি একটু বেশি লাফায়। কোহলির গ্লাভসে লেগে ক্যাচ ওঠে। ভাল ক্যাচ ধরেন গ্লেন ফিলিপ্স। কোহলি সামনের পায়ে ছিলেন বলে বলটি নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। পিছনের পায়ে খেললে অনেক সহজে সামলাতে পারতেন।
শেষ ২৩টি ইনিংসে শতরান নেই কোহলি। গড় মাত্র ২৫। তাঁর উচিত ছিল এই পিচে একটু সাবধানে খেলা। প্রথমের দিকে বল ছাড়া। কিন্তু সামনের পায়ে খেলতে গিয়ে তা করতে পারলেন না কোহলি। শূন্য রানে আউট হলেন। আরও এক বার ব্যর্থ হলেন। তাঁর সঙ্গে ব্যর্থ হল গোটা দল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy