—প্রতীকী চিত্র।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় টেস্টে ১৬৪ রানে শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস। কিংস্টনের ২২ গজে জেডেন সিলসের কৃপণ বোলিং চাপ তৈরি করে বাংলাদেশের ইনিংসের উপর। সিলসের নিখুঁত লাইন এবং লেংথের জবাব দিতে পারেননি সফরকারীরা। সেই চাপের সামনে দাঁড়াতে পারল না মেহদি হাসান মিরাজের দল। টেস্ট ক্রিকেটে নজিরও গড়লেন সিলস।
টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে অন্যতম কৃপণ বোলিং করলেন সিলস। ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের জোরে বোলার ১৫.৫ ওভার বল করে খরচ করলেন মাত্র ৫ রান। ১০টি ওভারে কোনও রান দিলেন না। ওভার প্রতি তিনি খরচ করেছেন ০.৩১ রান। চাপে পড়ে বাংলাদেশের চার ব্যাটার আউটও হলেন। টেস্ট ম্যাচের এক ইনিংসে অন্তত ১০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে ১৯৭৮ সাল থেকে সিলসই হলেন কৃপণতম। শুধু জোরে বোলারদের পারফরম্যান্স ধরা হলে, এক ইনিংসে অন্তত ১৫ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে তিনিই টেস্টের ইতিহাসে কৃপণতম। এ ক্ষেত্রে তিনি উমেশ যাদবের বিশ্বরেকর্ড ভাঙলেন। ২০১৫ সালে দিল্লিতে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে ওভার প্রতি উমেশ খরচ করেছিলেন ০.৪২ রান। সেই ইনিংসে ২১ ওভার বল করে ৩টি উইকেটও পেয়েছিলেন ভারতের জোরে বোলার। সিলসের চেয়েও কৃপণ বোলিংয়ের নজির রয়েছে। তবে সে ক্ষেত্রে ইনিংসে অন্তত ১৫ ওভার বল করেননি সংশ্লিষ্ট বোলার। ১৯২৮ সালে ডারবানে দক্ষিণ আফ্রিকার প্রথম ইনিংসে ১৩ ওভারে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ইংল্যান্ডের প্রাক্তন জোরে বোলার বব ওয়ায়েট। সেই ইনিংসে তিনি ওভার প্রতি খরচ করেছিলেন ০.৩০ রান। একটুর জন্য এই বিশ্বরেকর্ডটি করতে পারেননি সিলস।
অন্য দিকে, উমেশের রেকর্ড ভাঙলেও সব ধরনের বোলারদের মধ্যে টেস্টে কৃপণতম বোলিংয়ের রেকর্ড রয়েছে আর এক ভারতীয়ের দখলে। ইনিংসে অন্তত ১০ ওভার বল করা বোলারদের মধ্যে এই কৃপণতম বোলিংয়ের বিশ্বরেকর্ড প্রাক্তন বাঁহাতি স্পিনার বাপু নাদকার্নির। ১৯৬৪ সালে চেন্নাইয়ে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ৩২ ওভার বল করে ২৭টি মেডেন নিয়েছিলেন তিনি। খরচ করেছিলেন ৫ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি ০.১৫ রান। এই তালিকায় নাদকার্নির পর দ্বিতীয় স্থানে থাকলেন সিলস। তালিকায় তৃতীয় স্থানে ইংল্যান্ডের প্রাক্তন ক্রিকেটার জিম লেকার। তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপ টাউনে ১৪.১ ওভার বল করে ৯টি ওভার মেডেন পান। ৭ রান খরচ করে নেন ২ উইকেট।
বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস ১৬৪ রানে শেষ হওয়ার পর দ্বিতীয় দিনের খেলার শেষে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের রান ১ উইকেটে ৭০। ক্রেগ ব্রেথওয়েট ৩৩ রানে এবং কেসি কার্টি ১৯ রানে অপরাজিত রয়েছেন। বাংলাদেশের ওপেনার শাদমান ইসলাম (৬৪) এবং অধিনায়ক মিরাজ (৩৬) ছাড়া কেউই বলার মতো রান করতে পারেননি। সিলসের ৪ উইকেটের পাশাপাশি ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন শামার জোসেফ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy