গত কয়েক বছর ধরেই কেকেআরের হয়ে খেলছেন তিনি। আগের বছরের মহানিলামে কেকেআর তাঁকে ২৩.৭৫ কোটি টাকায় কিনেছে। করেছে সহ-অধিনায়ক। সেই দলের সম্পর্কে নিজের অনুভূতি বর্ণনা করতে গিয়ে বেঙ্কটেশ আয়ার জানালেন, মাঠে নামলে কেকেআর নয়, মনে হয় বাংলার হয়েই খেলছেন।
এক সাক্ষাৎকারে বেঙ্কটেশ বলেছেন, “এই দলটার হয়ে খেলতে নামলে মনে হয় গোটা বাংলার জন্য খেলতে নামছি। অসাধারণ একটা অনুভূতি হয়। লিডারশিপ দলে থাকার মানে আরও বড় দায়িত্ব। আমি নিজের ১০০ শতাংশ দেব।”
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে দেখে বড় হয়েছেন। সেই সৌরভ যখন কেকেআরে খেলতেন, তখন থেকেই এই দলে খেলার ইচ্ছা ছিল বেঙ্কটেশের। সেটাই হয়েছে। বেঙ্কটেশের কথায়, “আমি ভাগ্যবান যে কেকেআরই প্রথম দল হিসাবে আমার সামনে একটা মঞ্চ তৈরি করে দিয়েছে। এই দলের প্রতিনিধিত্ব করা বিশেষ ব্যাপার। ঐতিহ্যশালী ইডেন গার্ডেন্সে খেলা বরাবরের স্বপ্ন ছিল।”
কেকেআরের হয়ে খেলার আগেই অবশ্য ইডেনে এসেছেন বেঙ্কটেশ। তবে খেলার সুযোগ পাননি। প্রথম বারের সেই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে বেঙ্কটেশ বলেছেন, “আমি সেই ম্যাচে না খেলে বাইরে বসেছিলাম। তবে সে দিনই মনে হয়েছিল, ইডেনে আসার সুযোগ পেয়ে জীবনে কিছু একটা করে ফেলেছি। সেই ইডেনে হাজার হাজার সমর্থক যখন আপনার নামে চিৎকার করছে তার থেকে ভাল কিছু আর হয় না। মনে হয় ৭০-৮০ হাজার সমর্থক আপনার পিছনে সব সময় রয়েছে। এটাই আপনার থেকে সেরাটা বার করে আনতে যথেষ্ট।”
আরও পড়ুন:
কেকেআর কী ভাবে সাধারণ ক্রিকেটারকেও নায়ক বানিয়ে দেয় তাঁর প্রসঙ্গ এসেছে বেঙ্কটেশের মুখে। উদাহরণ হিসাবে রিঙ্কু সিংহকে তুলে ধরেছেন তিনি। বলেছেন, “রিঙ্কু এখন নায়ক। গোটা ক্রিকেটবিশ্ব ওকে চেনে। এটাই কলকাতার মানুষের জাদু। আপনি কলকাতায় এলে ক্রিকেটের প্রেমে না পড়ে থাকতে পারবেন না। তাই এই দলের হয়ে খেলা বিরাট বড় ব্যাপার।”
এ ব্যাপারে শাহরুখ খানের অবদানের কথাও মেনে নিয়েছেন। বলেছেন, “এক জন দলমালিকের থেকেও, ও এক জন বড় ভাইয়ের মতো। এমন ভাবে মিশবে, মনে হবে সব সময় আপনার পাশে আছে। দলমালিকদের এতটা ভদ্র এবং বন্ধুত্বপূর্ণ না হলেও চলে। বিশেষত যেখানে মানুষটা শাহরুখের মতো বিশ্বখ্যাত তারকা। কিন্তু ও খুবই মাটির মানুষ। আলাপ হলে আপনার ইচ্ছে করবেই ওর জন্য কিছু করতে।”
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ