সুনীল নারাইন। গত বার খারাপ খেললেও কেকেআর ধরে রেখেছে তাঁকে। —ফাইল চিত্র
১৯ ডিসেম্বর আইপিএলের নিলাম। তার আগে ১০টি দলই জানিয়ে দিয়েছে কোন কোন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে তারা। কিন্তু তাঁদের মধ্যে এমন কয়েক জন ক্রিকেটার রয়েছেন যাঁরা গত বার খারাপ খেললেও তাঁদের দল ছেড়ে দেয়নি। ধরে রেখেছে। ভাগ্যের জোরে দলে থেকে গিয়েছেন তাঁরা।
সুনীল নারাইন (কলকাতা নাইট রাইডার্স): গত বছর ১৪টি ম্যাচ খেলে মাত্র ১১টি উইকেট নিয়েছিলেন নারাইন। ১০টি ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে করেছিলেন মাত্র ২১ রান। এই বছর তাঁকে ছেড়ে দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা থাকলেও শেষ পর্যন্ত নারাইনকে ধরে রেখেছে কলকাতা। আরও এক বার খেলার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
ম্যাথু ওয়েড (গুজরাত টাইটান্স): অস্ট্রেলিয়ার টি-টোয়েন্টি দলের অধিনায়ক হলেও গত বছর গোটা মরসুম বেঞ্চে বসে কাটিয়েছেন। ঋদ্ধিমান সাহা খেলায় দলে তাঁর জায়গা হয়নি। এ বারও গুজরাতের যে সব বিদেশি ক্রিকেটার রয়েছেন তাতে ওয়েড ক’টি ম্যাচ খেলবেন তা নিশ্চিত নয়। তার পরেও গুজরাত তাঁকে ধরে রেখেছে।
দীনেশ কার্তিক (আরসিবি): ২০২২ সাল দুর্দান্ত গেলেও ২০২৩ সাল খুবই খারাপ গিয়েছে কার্তিকের। গোটা মরসুমে মাত্র ১৪০ রান করেছেন তিনি। গড় ১১.৬৬। দেখে মনে হয়েছিল, এ বার আর কার্তিককে রাখবে না বিরাট কোহলির দল। কিন্তু নিলামের আগে ৫ কোটি ৫০ লক্ষ টাকার ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে আরসিবি।
স্যাম কারেন (পঞ্জাব কিংস): ১৮ কোটি ৫০ লক্ষ টাকায় তাঁকে কিনেছিল পঞ্জাব। কিন্তু ১৪টি ম্যাচে মাত্র ১০টি উইকেট নিয়েছেন ইংল্যান্ডের এই অলরাউন্ডার। ওভার প্রতি ১০ রানের বেশি দিয়েছেন। ব্যাট হাতে ২৭৬ রান করেছেন তিনি। নিজের দরের প্রতি সুবিচার করতে পারেননি কারেন। তার পরেও তাঁকে ধরে রেখেছে পঞ্জাব।
রাজবর্ধন হাঙ্গারগেকর (চেন্নাই সুপার কিংস): গত বছর মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলেছেন এই পেস বোলার। দেড় কোটি টাকা দিয়ে কিনে বাকি গোটা মরসুম তাঁকে বসিয়ে রেখেছে মহেন্দ্র সিংহ ধোনির দল। কিন্তু এ বার তাঁকে ছেড়ে দেয়নি চেন্নাই। ধরে রেখেছে। ভাল খেলতে না পারলেও আরও এক বার সুযোগ পেয়েছেন হাঙ্গারগেকর।
দীপক হুডা (লখনউ সুপার জায়ান্টস): গত বছর ১২টি ম্যাচে মাত্র ৮৪ রান করেছেন হুডা। গত বারের পারফরম্যান্সের পরে ৫ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকার ক্রিকেটারকে ছেড়ে দেওয়ার সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু লখনউ তাঁকে ধরে রেখেছে। সৈয়দ মুস্তাক আলি ও বিজয় হজারে ট্রফিতে ভাল খেলায় আরও এক বার সুযোগ দেওয়া হয়েছে হুডাকে।
জেসন বেহরেনডর্ফ (মুম্বই ইন্ডিয়ান্স): গত বার যশপ্রীত বুমরা না খেলায় ১২টি ম্যাচে সুযোগ পেয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার পেসার। নিয়েছিলেন ১৪টি উইকেট। ওভার প্রতি প্রায় ১০ রান করে দিয়েছিলেন। এ বার বুমরা ফিরে আসায় অনেকে ভেবেছিলেন বেহরেনডর্ফকে ছেড়ে দেবে মুম্বই। কিন্তু তাঁকে ধরে রেখেছেন রোহিত শর্মারা।
ফজ়লহক ফারুকি (সানরাইজার্স হায়দরাবাদ): গত বার মাত্র চারটি ম্যাচে খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন আফগানিস্তানের এই ক্রিকেটার। নিয়েছিলেন চারটি উইকেট। একেবারেই ভাল ফর্মে ছিলেন না তিনি। কিন্তু তার পরেও এ বারের নিলামের আগে ফারুকিকে ধরে রেখেছে হায়দরাবাদ।
খলিল আহমেদ (দিল্লি ক্যাপিটালস): ২০২২ সালে ভাল খেললেও ২০২৩ সালে ৯টি ম্যাচ খেলে ৯টি উইকেট নিয়েছিলেন খলিল। ওভার প্রতি ৯ রানের বেশি দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় পেসারদের মধ্যে নজর কাড়তে না পারলেও এ বারেও ৫ কোটি ২৫ লক্ষ টাকার ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে দিল্লি।
রিয়ান পরাগ (রাজস্থান রয়্যালস): ২০২৩ সালে সাতটি ম্যাচে মাত্র ৭৮ রান করেছেন পরাগ। তাঁর জন্য বার বার রাজস্থানের মিডল অর্ডার সমস্যায় পড়েছে। কিন্তু তার পরেও ২০২৪ সালের আইপিএলেন নিলামের আগে এই ভারতীয় ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছে রাজস্থান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy