টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে নজির গড়লেন বাবর। ফাইল ছবি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ছন্দে ছিলেন না বাবর আজ়ম। তাঁর পারফরম্যান্স নিয়ে তীব্র সমালোচনা হচ্ছিল। সেমিফাইনালে নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে ছন্দে ফিরলেন বাবর। প্রতিযোগিতার গুরুত্বপূর্ণ সময়ে পাক অধিনায়ক শুধু রানই পেলেন নতুন নজিরও গড়লেন। শ্রীলঙ্কার রেকর্ড স্পর্শ করল পাকিস্তানও।
কেন উইলিয়ামসনের দলের বিরুদ্ধে ৪২ বলে ৫৩ রানের ইনিংস খেললেন বাবর। একই সঙ্গে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে অধিনায়ক হিসাবে পূর্ণ করলেন দু’হাজার রান। বিশ্বের দ্বিতীয় অধিনায়ক হিসাবে এই নজির গড়লেন বাবর। এর আগে অধিনায়ক হিসাবে ২০ ওভারের ক্রিকেটে দু’হাজার রান করার কৃতিত্ব রয়েছে অস্ট্রেলিয়ার অ্যারন ফিঞ্চের। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে ভারতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে এই নজির গড়েছিলেন ফিঞ্চ।
ফিঞ্চ অধিনায়ক হিসাবে ৭৬টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২২৩৬ রান করেছেন। বাবর পাকিস্তানের অধিনায়ক হিসাবে ৬৫টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ২০৩৩ রান করলেন। তৃতীয় স্থানে রয়েছেন নিউজ়িল্যান্ডের কেন উইলিয়ামসন। তিনি ৬৮টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে দেশের অধিনায়ক হিসাবে ১৯৮১ রান করেছেন। বিরাট কোহলি ৫০টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচে ভারতের অধিনায়ক হিসাবে ১৫৭০ রান করেছেন। কিন্তু তিনি নেতৃত্ব ছেড়ে দেওয়ায় দেশের অধিনায়ক হিসাবে টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিকে আর দু’হাজার রান করার সুযোগ পাবেন না। রোহিত শর্মা ভারতের অধিনায়ক হিসাবে ৫০টি ম্যাচে ১৫০০ রান করেছেন। অর্থাৎ ফিঞ্চ, বাবর, উইলিয়ামসনদের থেকে অনেকটাই পিছিয়ে রয়েছেন রোহিত।
চলতি বিশ্বকাপে একদমই ছন্দে ছিলেন না বাবর। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ২৫ রান ছাড়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের কোনও ম্যাচেই দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি তিনি। সেমিফাইনালের আগে পাকিস্তান ক্রিকেট দলের পরামর্শদাতা ম্যাথু হেডেন আশা প্রকাশ করে বলেছিলেন, সেমিফাইনালেই চেনা ছন্দে দেখা যাবে বাবরকে। মঙ্গলবার বাবরের সঙ্গে আলাদা করে দীর্ঘক্ষণ কথা বলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ক্রিকেটার। সেই মতোই সেমিফাইনালে দলের জয়ে ব্যাট হাতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখলেন বাবর। ৩৯ বলে অর্ধশতরান পূর্ণ করেন পাক অধিনায়ক। নিজের ৫৩ রানের ইনিংসটি সাজালেন সাতটি চারের সাহায্যে। প্রথম ওভারে ক্যাচ দিয়েও বেঁচে যান বাবর। তার পর আর তাঁকে আটকাতে পারেননি নিউজ়িল্যান্ডের বোলাররা। দলের জয় প্রায় নিশ্চিত করার পর ট্রেন্ট বোল্টের বলে আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
সিডনিতে নিউজ়িল্যান্ডকে হারিয়ে নজির গড়ল পাকিস্তানও। সব থেকে বেশি বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে ওঠার নজির গড়ল তারা। এই নিয়ে শ্রীলঙ্কার মতোই তৃতীয় বার প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠল পাকিস্তান। ২০০৭, ২০০৯ সালের পর আবার ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান। প্রথম বার মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারতের বিরুদ্ধে জয় না পেলেও ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয় পাকিস্তান। শ্রীলঙ্কা ২০০৯, ২০১২ এবং ২০১৪ সালে ফাইনালে উঠেছিল। শেষ বার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ চ্যাম্পিয়ন হয় ভারত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রটি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy