ভারতীয় দল থেকে এখন অনেক দূরে ‘অবাধ্য’ ঈশান কিশন। নেই বোর্ডের বার্ষিক চুক্তিতেও। আইপিএলই তাঁর কাছে নির্বাচকদের জবাব দেওয়ার একমাত্র জায়গা। প্রথম ম্যাচে হায়দরাবাদ সানরাইজার্সের হয়ে শতরান করে রবিবার যে ভাবে হুঙ্কার দিচ্ছিলেন, তাতে স্পষ্ট বুঝিয়ে দিলেন অনেক ক্ষোভ জমে রয়েছে তাঁর মধ্যে।
ঘরোয়া ক্রিকেট না খেলার কারণে ভারতীয় দল থেকে অনেক দিন আগেই বাদ পড়েছিলেন। রাহুল দ্রাবিড়ের জমানায় সেই যে বাদ পড়েছিলেন, গৌতম গম্ভীরের জমানায় এসেও ভাগ্য বদলায়নি। তবে ঈশান ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন। ঝাড়খণ্ডের হয়ে এই মরসুমে খেলতে দেখা গিয়েছে তাঁকে।
২০২৩ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে ঘরের মাঠে টি-টোয়েন্টি সিরিজ় খেলেছিলেন ঈশান। তার পর জায়গা করে নিয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে। কিন্তু সেখানে প্রথম ম্যাচে খেলার সুযোগ পাননি তিনি। এর পরেই ব্যক্তিগত কারণে বোর্ডের থেকে ছুটি নিয়ে সিরিজ়ের মাঝে দল ছাড়েন ঈশান। কিন্তু দেশে না ফিরে তিনি চলে গিয়েছিলেন দুবাই। সেখানে নৈশপার্টিতে দেখা যায় তাঁকে। যা ভাল ভাবে নেয়নি বোর্ড।
আরও পড়ুন:
কোচ রাহুল দ্রাবিড় এবং বোর্ডের পক্ষ থেকে বার বার ক্রিকেটারদের ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার উপর জোর দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু ঈশান সে কথা শোনেননি। তিনি হার্দিক পাণ্ড্যের সঙ্গে অনুশীলন করেন। সেই সময় রঞ্জি চলছিল। ঝাড়খণ্ড ক্রিকেট সংস্থাকে কিছু না জানিয়েই ব্যক্তিগত অনুশীলনে ব্যস্ত থাকেন ঈশান। গত বছর আইপিএলেও খেলতে দেখা যায় তাঁকে। কিন্তু ১১৪ ম্যাচে ৩২০ রান করা ঈশানের ব্যাটে এসেছিল মাত্র একটি অর্ধশতরান। যা তাঁকে জাতীয় দলের দরজা খুলে দিতে পারেনি।
এ বারের আইপিএলটা শুরু হল শতরান দিয়ে। আইপিএলে এটাই তাঁর প্রথম শতরান। এর আগে ২০২০ সালে ৯৯ রানে শেষ হয়েছিল তাঁর ইনিংস। হায়দরাবাদে শতরান করে ঈশান বলেন, “দারুণ খুশি। খুব চাইছিলাম শতরানটা হোক। দল ভাল খেলছে। সাজঘরের পরিবেশ খুব ভাল। অধিনায়ক প্যাট কামিন্স আমাদের স্বাধীনতা দেয়। নিজের মতো খেলা যায় এখানে। অভিষেক (শর্মা) এবং (ট্রেভিস) হেড শুরুটা ভাল করেছিল। আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল ওই ইনিংস। ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। এই পিচে বোলারদের খুব নিখুঁত হতে হবে। খুব বেশি কিছু করার চেষ্টা করলে হবে না।”
রবিবার ঈশান তিন নম্বরে ব্যাট করতে নামেন। ৪৭ বলে ১০৬ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি। ১১টি চার এবং ছ’টি ছক্কা মারেন। তাঁর ইনিংসে ভর করেই ২৮৬ রান তোলে হায়দরাবাদ।