সদ্য চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছে ভারত। তার পরেই রঞ্জি ট্রফিতে ম্যাচ ফি বাড়ানোর দাবি উঠল। এখনকার ক্রিকেটারদের কাছে ক্রিকেট আরও জনপ্রিয় করে তোলার জন্য এই দাবি তুলেছেন সুনীল গাওস্কর। তবে বোর্ড মানবে কি না সে বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।
এক ওয়েবসাইটের কলামে গাওস্কর লিখেছেন, “পরের মরসুম থেকে আবার রঞ্জি ট্রফির ম্যাচ ফি বাড়ানো দরকার। জাতীয় দলের হয়ে না খেলা ক্রিকেটারেরা যে টাকা পায়, তার সঙ্গে রঞ্জি ট্রফিতে কঠোর পরিশ্রম করা ক্রিকেটারের বেতনের পার্থক্য অনেক।”
গাওস্কর এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেছেন মুম্বই ক্রিকেট সংস্থার (এমসিএ) কথা। লিখেছেন, “জাতীয় দলের ম্যাচ ফি-র মতো সমান টাকা দেয় মুম্বই। যদি বাকি রাজ্যগুলোও একই কাজ করে, তা হলে ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলা খেলোয়াড়েরা অনেক টাকা উপার্জন করতে পারবে।”
আরও পড়ুন:
তিনি আরও লিখেছেন, “প্রত্যেক রাজ্য সংস্থা বোর্ডের থেকে প্রচুর অর্থ পায়। তার বেশির ভাগই পড়ে থাকে ব্যাঙ্কে। পরিকাঠামো তৈরি বা ক্রিকেটের উন্নতিতে তা কাজে লাগানো হয় না। অথচ সেই কারণেই টাকাগুলো দেওয়া হয়। তাই রাজ্যগুলো সেই টাকায় রঞ্জি খেলা ক্রিকেটারদের বাড়তি বেতন দিতেই পারে। আশার কথা, এখন প্রচুর মানুষ প্রশাসনে আসছে যারা খেলাটাকে সত্যিই ভালবাসে। তারা ক্রিকেটের উন্নতিতে বিশ্বাসী। সে কারণেই হয়তো আগামী দিনে কেউ ক্রিকেটের বদলে অন্য পেশা বেছে নেবে না।”
এখন মোটামুটি অভিজ্ঞ ক্রিকেটারেরা দিনপিছু ৬০ হাজার টাকা করে পান। অর্থাৎ চার দিন খেললে দু’লক্ষ ৪০ হাজার টাকা। কেউ যদি রঞ্জিতে সব ম্যাচ খেলে ফাইনালে ওঠেন তা হলে প্রায় ২৫ লাখ টাকা পাবেন। এ ছাড়া সাদা বলের ক্রিকেটে বাকি দুই ফরম্যাটে খেলেও ভাল রোজগার সম্ভব। তবে চেষ্টা চলছে, যাতে একটি ঘরোয়া মরসুম থেকে ক্রিকেটারেরা অন্তত এক কোটি টাকা রোজগার করতে পারেন।