এক দিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপ ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ থেকে বিদায় নিয়ে সবে শুক্রবারই দেশে ফিরেছে শ্রীলঙ্কা। সে দিনই তাদের নিলম্বিত (সাসপেন্ডেড) করে দিল আইসিসি। ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনায় সরকারের হস্তক্ষেপের কারণেই তাদের নিলম্বিত করা হয়েছে বলে জানিয়েছে আইসিসি। শুক্রবার এক বিবৃতিতে সেই খবর জানিয়েছে তারা। ফলে সাসপেনশন না উঠলে আইসিসি-র আর কোনও প্রতিযোগিতায় দেখা যাবে না শ্রীলঙ্কাকে। প্রসঙ্গত, পরের বছর জানুয়ারি-ফেব্রুয়ারিতে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপ হওয়ার কথা রয়েছে শ্রীলঙ্কায়। এই পরিস্থিতিতে সেই প্রতিযোগিতার ভাগ্য বিশ বাঁও জলে।
শুক্রবার এক বিবৃতিতে আইসিসি জানিয়েছে, তাদের বোর্ড শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল। সেখানেই ঠিক হয়েছে যে সদস্য দেশ হিসাবে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট গুরুতর নিয়ম ভেঙেছে। আইসিসি-র সদস্য হিসাবে তাদের স্বাধীন সংস্থা হিসাবে কাজ করার কথা। কোনও সরকারি হস্তক্ষেপ বরদাস্ত করা হবে না। সেই নিয়ম মানা হয়নি। আগামী ২১ নভেম্বর আবার আইসিসি-র বৈঠক রয়েছে। সে দিন আবার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে এবং পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
বিশ্বকাপে ভারতের কাছে ৩০২ রানে হারের ধাক্কার পরে শ্রীলঙ্কার গোটা ক্রিকেট বোর্ডকে বরখাস্ত করে দিয়েছিল সে দেশের সরকার। অন্তর্বর্তী বোর্ডের সদস্যদের নামও ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু সেই ঘটনার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পুরনো বোর্ডকে দায়িত্বে ফিরিয়ে আনে শ্রীলঙ্কার আদালত।
শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী রোশন রণসিংহে গোটা বোর্ডকে বরখাস্ত করে দেওয়ার পরে সেই বোর্ডের প্রধান শাম্মি সিলভা আদালতে আবেদন করেন। তাঁর অভিযোগ ছিল, নিয়মের বাইরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ক্রীড়ামন্ত্রী। তাঁদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগও অস্বীকার করেন তিনি। সেই আবেদনের শুনানি শুরু হয়েছে। শুনানি চলাকালীন আপাতত দু’সপ্তাহ পুরনো বোর্ডকেই দায়িত্বে থাকার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এই নির্দেশের ফলে অর্জুন রনতুঙ্গের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী কমিটি দায়িত্ব নিতে পারেনি। আদালত নির্দেশ দেওয়ার পরেই বোর্ডের বাকি কর্তারা নিজেদের দায়িত্ব বুঝে নেন। আপাতত দু’সপ্তাহ তাঁদেরই শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট চালানোর কথা ছিল। কিন্তু আইসিসি নিলম্বিত করায় পুরো ব্যাপারটিই অনিশ্চয়তার মুখে।
বিশ্বকাপের আগে থেকে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে দুর্নীতির একের পর এক অভিযোগ উঠেছিল। তার পরেও বিশ্বকাপের কথা মাথায় রেখে সেই কমিটিকে দায়িত্বে রেখে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বিশ্বকাপে দলের এই খেলা মেনে নিতে পারেননি ক্রীড়ামন্ত্রী। তাই কড়া পদক্ষেপ করেন তিনি। ভারতের কাছে ৩০২ রানে হারার পরেই পুরো বোর্ডকে পদত্যাগ করতে বলেছিলেন রণসিংহে। প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়ারই নির্দেশ দিয়েছিলেন তিনি। রনসিংহে বলেছিলেন, ‘‘ওরা দুর্নীতি ছাড়া কিছু বোঝে না। দেশের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে। ওদের উচিত পদত্যাগ করা। শ্রীলঙ্কাবাসীর কাছে প্রকাশ্যে ক্ষমা চাওয়া উচিত ওদের।’’ গত শনিবার থেকে শ্রীলঙ্কার কলম্বোতে রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল বার করেছে ক্ষুব্ধ জনতা। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের দফতরের বাইরেও বিক্ষোভ দেখিয়েছে তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy