কিংবদন্তি: গ্লস্টারশায়ারের হয়ে খেলার সময় মাইক। —ফাইল চিত্র।
তাঁর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট জীবন বেশি দিন স্থায়ী হয়নি বর্ণবিদ্বেষের কারণে দক্ষিণ আফ্রিকা নির্বাসিত হওয়ায়। তবে তার মধ্যেও আগ্রাসী ব্যাটিং ও দুর্ধর্ষ পেসার হিসেবে নজর কেড়ে নিয়েছিলেন বিশ্বের। দক্ষিণ আফ্রিকা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যখন প্রত্যাবর্তন ঘটাল তখন তিনি ফিরে আসেন সেই দলের কোচ হিসেবে। ১৯৯২ সালে তাঁর কোচিংয়েই বিশ্বকাপে সেমিফাইনালে উঠে চমকে দিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেই কিংবদন্তি মাইক প্রক্টর প্রয়াত।
বয়স হয়েছিল ৭৭। কয়েক দিন ধরেই গুরুতর অসুস্থ হয়ে ভর্তি ছিলেন হাসপাতালে। তাঁর স্ত্রী দক্ষিণ আফ্রিকার ওয়েবসাইট নিউজ২৪-কে বলেছেন, ‘‘ওর অস্ত্রোপচারের সময়ে জটিলতা দেখা গিয়েছিল। আইসিইউতে থাকার সময় হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়। জ্ঞান ছিল না। আর জ্ঞান ফিরল না।’’ ক্রিকেটার ও কোচ ছাড়াও ধারাভাষ্য, আইসিসি ম্যাচ রেফারি এবং দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট দলের নির্বাচক কমিটির আহ্বায়কের দায়িত্ব সামলেছেন তিনি।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সাতটি টেস্ট খেললেও প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তাঁর ৪০১ ম্যাচে ৪৮টি শতরান-সহ ২১,৯৩৬ রান রয়েছে। সঙ্গে ১৪১৭টি উইকেট। অনেকে মনে করেন, আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার সুযোগ থাকলে তাঁর বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডারদের পাশে জায়গা করে নেওয়ার ক্ষমতা ছিল। খেলেছেন গ্লস্টারশায়ার, রোডেশিয়া, ওয়েস্টার্ন প্রভিন্সের মতো দলে। এক দশকেরও বেশি খেলেছেন গ্লস্টারশায়ারের হয়ে। সেই ক্লাবের সর্বকালের অন্যতম সেরা বিদেশি খেলোয়াড় হিসেবে তাঁকে ধরা হয়। ক্লাবের পক্ষ থেকে শোকবার্তায় বলা হয়, ‘‘গ্লস্টারশায়ার ক্রিকেট প্রাক্তন খেলোয়াড় ও ক্লাবের কিংবদন্তি মাইক প্রক্টরের প্রয়াণে বিধ্বস্ত। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭। গ্লস্টারশায়ার পরিবারের সবাই এই শোকের সময় মাইকের পরিবারের পাশে রয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy