আমির হুসেন লোন। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেট মহলে কাছে এখন পরিচিত মুখ আমির হুসেন লোন। জম্মু-কাশ্মীরের রাজ্য প্যারা ক্রিকেট দলের অধিনায়ক। ওয়াঘানা গ্রামের বাসিন্দা আমির বল করেন পা দিয়ে। ব্যাট করার সময় ব্যাট ধরেন গলা ও ঘাড়ের মাঝে। তাঁর ক্রিকেটীয় দক্ষতায় মুগ্ধ অসংখ্য ক্রিকেটপ্রেমী। উচ্ছ্বসিত সচিন তেন্ডুলকরও।
বাবার কারখানায় কাজ করার সময় আট বছর বয়সে দু’হাত বাদ পড়েছিল আমিরের। তবু সাহস হারাননি। ক্রিকেট থেকে দূরে সরে থাকেননি। অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন মনের জোরে। তাঁকে দেখে মুগ্ধ সচিন। তিনি সমাজমাধ্যমে জম্মু-কাশ্মীরের ক্রিকেটারের ভিডিয়ো সকলের সঙ্গে ভাগ করে নিয়ে লিখেছেন, ‘‘আমির অসম্ভবকে সম্ভব করে দেখিয়েছে। ওর খেলা দেখে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছি। ক্রিকেটের প্রতি কতটা ভালবাসা এবং দায়বদ্ধতা থাকলে এ ভাবে খেলা যায়! আশা করি এক দিন আমিরের সঙ্গে আমার দেখা হবে। সে দিন ওর নাম লেখা একটা জার্সি চেয়ে নেব। আমির লক্ষ লক্ষ মানুষের কাছে অনুপ্ররণা। বিশেষ করে যারা এই খেলাটাকে ভালবাসে।’’
ভারতের প্রাক্তন অধিনায়কের বার্তা পেয়ে আপ্লুত ৩৪ বছরের অলরাউন্ডার। আমির বলেছেন, ‘‘আমি কতটা আনন্দ পেয়েছি, সেটা বলে বোঝাতে পারব না। সচিন আমার জীবনের কাহিনি সকলের সঙ্গে ভাগ করে নেবেন ভাবতে পারিনি। আশা করি সচিনের সঙ্গে দ্রুত দেখা করার সুযোগ পাব। ছোট থেকেই সচিন স্যর আমার প্রিয় ক্রিকেটার। এখনও আমি তাঁকে দেখে অনুপ্রাণিত হই। সচিন স্যর আমাকে যে ভাবে তুলে ধরেছেন, সেটা জম্মু-কাশ্মীরের জন্য গর্বের। আমার অনন্তনাগ জেলার জন্য গর্বের।”
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে আমির বলেছিলেন, ‘‘দুর্ঘটনার পরেও আমি আশা ছাড়িনি। কঠিন পরিশ্রম করেছি। কারও উপর নির্ভর করিনি। সব নিজের যোগ্যতায় অর্জন করেছি। দুর্ঘটনার পরে পরিবার ছাড়া কেউ আমার পাশে ছিল না। এমনকি, সরকারও না। যা করেছি নিজের ক্ষমতায়।’’ আমিরের এই ক্ষমতার প্রকাশ দেখেছে ক্রিকেট বিশ্ব। সচিন তাঁকে পরিচিতি দিয়েছেন ক্রিকেট বিশ্বে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy