রবি শাস্ত্রী। — ফাইল চিত্র।
ভারতীয় দলের জন্য নতুন কোচ খুঁজছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। সেই সময় আবার কোচিংয়ে ফেরার ইঙ্গিত দিলেন রবি শাস্ত্রী। রবিচন্দ্রন অশ্বিনের এক প্রশ্নের উত্তরে এই ইঙ্গিত দিয়েছেন শাস্ত্রী। ধারাভাষ্য ছেড়ে আবার কি কোচিংয়ে ফিরবেন তিনি?
ভারতীয় দলের কোচের দায়িত্ব ছাড়ার পর ২০২১ সাল থেকে আবার ধারাভাষ্যের কাজে ফিরে গিয়েছেন শাস্ত্রী। ভারতীয় দলের কোচ হিসাবে যথেষ্ট সাফল্য পেলেও কখনও কোনও আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির কোচ হিসাবে দেখা যায়নি ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ককে। সম্প্রতি অশ্বিনের ইউটিউব চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকার শাস্ত্রী বলেছেন, ভারতীয় ক্রিকেটের তরুণ প্রতিভাদের দেখে তিনি উচ্ছ্বসিত। তরুণ ক্রিকেটারদের সাহায্য করতে পারলে সব সময় খুশি হন। তাঁর এই মন্তব্য থেকেই তৈরি হয়েছে নতুন জল্পনা।
শাস্ত্রীর কাছে অশ্বিন সরাসরি জানতে চান, তিনি কোচিংয়ে ফিরতে ইচ্ছুক কিনা। জবাবে শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘তেমন ইচ্ছা নেই। ভারতীয় দলের সঙ্গে প্রায় সাত বছর কাটিয়েছি। তবে ভবিষ্যৎ কেউ বলতে পারে না। কেমন পরিস্থিতি তৈরি হবে এবং কোনও ভাবে জড়িত হতে হবে কি না, বলা সম্ভব নয়।’’ নিজে আর ভারতের কোচ হতে আগ্রহী না হলেও দেশের স্বার্থে বিশেষ পরিস্থিতি বা প্রয়োজনে দায়িত্ব নিতে রাজি বলে বুঝিয়ে দিয়েছেন শাস্ত্রী।
অশ্বিনকে ভারতীয় দলের প্রাক্তন কোচ আরও বলেছেন, ‘‘সকলেই জানে আমার অভিজ্ঞতা সম্পর্কে। আমি কী করতে পারি, সে সম্পর্কেও সকলের ধারণা রয়েছে। ভারতীয় দলের সঙ্গে সব মিলিয়ে প্রায় সাত বছর কাটিয়েছি। তুমিও সে সময় দলের গুরুত্বপূর্ণ অংশ ছিলে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সম্ভবত মানুষের সব থেকে কঠিন সময় কেটেছে কোভিডকালে। বিচ্ছিন্ন ভাবে থাকতে হত। সাজঘর এবং ডাগআউট ছাড়া কোথাও যাওয়া যেত না। সেই পরিস্থিতি থেকে আমরা সকলেই বেরিয়ে আসতে চেয়েছিলাম। ধারাভাষ্যের কাজ আমাকে আবার মত প্রকাশের স্বাধীনতা দিয়েছে। এই কাজের একটা আলাদা আনন্দ রয়েছে।’’
তরুণ ক্রিকেটারদের যে কোনও সময় পরামর্শ দিতে বা সাহায্য করতে প্রস্তুত শাস্ত্রী। তাঁর কাছে রোজগার মুখ্য বিষয় নয়। আইপিএলের কোনও ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির কোচ হিসাবে কি দেখতে পাওয়া যেতে পারে? শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘কোনও সম্ভাবনাই খারিজ করে দেওয়া যায় না। যারা ক্রিকেট খেলেছে এবং খেলাটার সঙ্গে নিজেকে জড়িয়ে ফেলেছে, তারা সব সময় তরুণদের সাহায্য করতে ভালবাসে। সব সময় টাকার অঙ্ক দিয়ে ভাবার কারণ নেই। ক্রিকেটে কিছু অবদান রাখার চেষ্টা হিসাবেও দেখা যেতে পারে। যত দিন কর্মক্ষম থাকব, তত দিন তরুণদের সঙ্গে নিজের জ্ঞান, অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে চাইব। যদি কখনও কোনও দলের দায়িত্ব নিই, তা হলেও এটাই থাকবে মূল লক্ষ্য। তারকা ক্রিকেটারদের সঙ্গে সময় কাটানোর জন্য নয়। তরুণ প্রতিভাদের আগামী দিনের জন্য তৈরি করা এবং তাদের মাথার ছাদ নিশ্চিত করাই লক্ষ্য থাকবে।’’
শাস্ত্রী জানিয়েছেন, আগ্রাসী এবং নির্মম ক্রিকেট তাঁর পছন্দ। এ নিয়ে আপস করতে রাজি নন। তরুণ ক্রিকেটারদের রক্তে আগ্রাসী ক্রিকেট ঢুকিয়ে দিতে চান। নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসেন। যদিও আপাতত ধারাভাষ্যকার হিসাবেই কাজ চালিয়ে যেতে চান। কোচিংয়ে ফেরার পরিকল্পনা নেই তাঁর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy