পাকিস্তানের বেহাল দশা ঘুচছে না। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ব্যর্থতার পর নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে প্রথম টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ উইকেটে হারল সলমন আঘার দল। প্রথমে ব্যাট করে ১৮.৪ ওভারে ৯১ রানে শেষ হয়ে যায় পাকিস্তানের ইনিংস। জবাবে ১০.১ ওভারে ১ উইকেটে ৯২ আয়োজকদের।
টস জিতে পাকিস্তানকে আগে ব্যাট করার সুযোগ দেন নিউ জ়িল্যান্ড অধিনায়ক মিচেল ব্রেসওয়েল। ক্রাইস্টচার্চের ২২ গজে তাও সুবিধা করতে পারেননি পাকিস্তানের ব্যাটারেরা। ইনিংসের শুরু থেকে নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারাতে শুরু করে আঘার দল। দুই ওপেনার মহম্মদ হ্যারিস এবং হাসান নওয়াজ় শূন্য রানে আউট হয়ে যান। চার নম্বরে ব্যাট করতে নামা ইরফান খান করেন ১ রান। এই ১ রানেই ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় পাকিস্তান। বেশ কিছু দিন বাদে দলে ফেরা শাদাব খানও (৩) ব্যর্থ হলেন পাঁচ নম্বরে ব্যাট করতে নেমে।
১১ রানে ৪ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরার চেষ্টা করেন তিন নম্বরে নামা অধিনায়ক আঘা এবং ছ’নম্বরে নামা খুশদিল শাহ। তাতেও বিশেষ লাভ হয়নি। ২০ বলে ১৮ রান করে আউট হয়ে যান আঘা। খুশদিল করেন ৩০ বলে ৩২ রান। তিনটি ছক্কা মারেন তিনি। পাকিস্তানের ব্যাটারের মধ্যে বলার মতো রান কেউই পাননি আর। আট নম্বরে নেমে জাহানদাদ খান ১৭ বলে ১৭ রান করেন ১টি ছয়ের সাহায্যে। নিউ জ়িল্যান্ডের বোলারদের সামনে পাকিস্তানের কোনও ব্যাটারকেই স্বচ্ছন্দ দেখায়নি।
কিউয়ি বোলারদের মধ্যে সফলতম জ্যাকব ডাফি ১৪ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন। ৮ রানে ৩ উইকেট কাইল জেমিসনের। ২৭ রান খরচ করে ২ উইকেট ইশ সোধির। এ ছাড়া ১১ রানে ১ উইকেট জ়াকারি ফাউলকসের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে তেমন কোনও সমস্যায় পড়েনি আয়োজকেরা। টিম সাইফার্টের উইকেট হারিয়ে ৯.৫ ওভার বাকি থাকতেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় নিউ জ়িল্যান্ড। সাইফার্ট করেন ২৯ বলে ৪৪ রান। ৭টি চার এবং ১টি ছয় মারেন তিনি। অন্য ওপেনার ফিন অ্যালেন ১৭ বলে ২৯ রান করে অপরাজিত থাকেন। ২টি করে চার এবং ছয় এসেছে তাঁর ব্যাট থেকে। শেষ পর্যন্ত ২২ গজে তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিম রবিনসন। তিন নম্বরে নেমে তিনি করেন ১৫ বলে অপরাজিত ১৮।
পাকিস্তানের কোনও বোলারকেই রেয়াত করেননি কিউয়ি ব্যাটারেরা। ১৫ রানে ১ উইকেট নিয়েছেন আবরার আহমেদ। রবিবারের জয়ে পাঁচ ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল নিউ জ়িল্যান্ড।