ঘটনার সময় মুম্বইয়ের রেস্তরাঁয় ক্রিকেটার পৃথ্বী শ (বাঁ দিকে)। অভিনেত্রী স্বপ্না গিল, যিনি পৃথ্বীর বিরুদ্ধে অভিযোগ করেছিলেন। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেটার পৃথ্বী শ’য়ের বিরুদ্ধে ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেছিলেন অভিনেত্রী স্বপ্না গিল। তার মধ্যে শ্লীলতাহানি ও মারধরের অভিযোগও ছিল। সেই সব অভিযোগ অসত্য বলে জানাল মুম্বই পুলিশ। তদন্তের পরে রিপোর্ট জমা দিয়েছে তারা। সেখানেই এই কথা জানিয়েছে বিমানবন্দর থানার পুলিশ।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, স্বপ্নার অভিযোগ অনুযায়ী পৃথ্বীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে কোনও প্রমাণ পাওয়া যায়নি। যে রেস্তরাঁয় এই ঘটনা ঘটেছিল সেখানকার কর্মীদের বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। কর্মীরা জানিয়েছেন, ঘটনার দিন পৃথ্বী শুধুমাত্র স্বপ্না ও তাঁর বন্ধুদের ছবি তুলতে নিষেধ করেছিলেন। কোনও রকম খারাপ কথা বলেননি। উল্টে স্বপ্না ও তাঁর বন্ধু শোবিত ঠাকুর অনেক খারাপ কথা বলেন পৃথ্বীকে। এমনকি তাঁকে হুমকিও দেন বলে জানিয়েছেন কর্মীরা। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে উপস্থিত রেস্তরাঁ কর্মীদের বয়ান থেকে স্পষ্ট যে পৃথ্বী নির্দোষ।
১৫ ফেব্রুয়ারি রাতে সান্তাক্রুজ়ের এক বিলাসবহুল রেস্তরাঁয় জনাকয়েক বন্ধুর সঙ্গে নৈশভোজে গিয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটার পৃথ্বী। ক্রিকেটারের সঙ্গে নিজস্বীর আবদার করেন বেশ কিছু অনুরাগী। তাঁদের মধ্যে কয়েক জনের আবদার মেটান পৃথ্বী। একের পর এক আবদার আসতে থাকায় কিছুটা বিরক্ত হয়ে নিজস্বী তুলতে অস্বীকার করেন তিনি। রেস্তরাঁর ম্যানেজার ওই অনুরাগীদের বাইরে বার করে দিলে রাগের চোটে বেসবল ব্যাট দিয়ে মেরে পৃথ্বীর গাড়ির কাচ ভেঙে দেন তাঁরা। ক্রিকেটারের এক বন্ধু অভিযোগ জানালে সেখানেই উঠে আসে ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্নার নাম। তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
অন্য দিকে, পৃথ্বী’র বিরুদ্ধে ‘নির্যাতন’-এর অভিযোগ করেন স্বপ্না গিল। আদালতে তিনি দাবি করেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্যি নয়। বরং পৃথ্বীই আমার বুকে ও হাতে মেরেছেন।’’ পুলিশি হেফাজতের মেয়াদ শেষ হওয়ার পর প্রথমে ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয় ভোজপুরী অভিনেত্রীকে। পৃথ্বীকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার ঘটনায় ধৃত আরও তিন জনকেও ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেন মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক। প্রথমে তাঁদের জামিনের যে আবেদন করা হয়, তাতে কিছু অসঙ্গতি থাকায় খারিজ করে দেন বিচারক। পরে আবার জামিনের জন্য আবেদন করেন স্বপ্নার আইনজীবী। তাঁর মক্কেলের বিরুদ্ধে ওঠা সব অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন তিনি। দু’পক্ষের আইনজীবীদের সওয়াল শোনার পর জামিন মঞ্জুর করেন বিচারক। জামিন পান অভিনেত্রী। তার পরেই পৃথ্বীর বিরুদ্ধে ১০ ধারায় মামলা দায়ের করেন তিনি। সেই অভিযোগেরই তদন্ত রিপোর্ট জমা দিয়েছে পুলিশ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy