যশপ্রীত বুমরা। ছবি: পিটিআই।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ব্যাট হাতে দলকে জেতাতে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছেন রোহিত শর্মা। কিন্তু ব্যাটের চেয়েও ভারতের জয়ে বোলারদের ভূমিকা বেশি। কারণ পাটা পিচে পাকিস্তানকে মাত্র ১৯১ রানে আটকে দিয়েছেন তাঁরা। সে কারণেই ম্যাচের সেরার পুরস্কার পেলেন যশপ্রীত বুমরা। পাঁচ বোলার দু’টি করে উইকেট পেলেও গুরুত্বের বিচারে বুমরার উইকেটগুলিকেই বেছে নেওয়া হয়েছে বাকিদের আগে। ম্যাচের পরে বুমরা জানালেন, কোন বুদ্ধি কাজে লাগিয়ে সাফল্য পেয়েছেন তিনি।
পর পর দু’টি ওভারে বুমরা তুলে নেন মহম্মদ রিজ়ওয়ান এবং শাদাব খানকে। বাবর আউট হওয়ার পর রিজ়ওয়ানই ছিলেন পাকিস্তানের ভরসা। তাঁর উইকেট পাকিস্তানের মেরুদন্ড ভেঙে দেয়। যে টুকু আশা ছিল তাও শেষ হয়ে যায় শাদাব ফিরতে। রিজ়ওয়ানের আউট প্রসঙ্গে বুমরা বলেন, “আমি আগেই দেখেছিলাম জাড্ডুর (রবীন্দ্র জাডেজা) বল ঘুরছে। তাই আমিও স্লোয়ার দেওয়ার চেষ্টা করেছি। যে বলে রিজ়ওয়ান আউট হয়েছে ওটা পেসারের নয়, স্পিনারের স্লোয়ার বলেই ধরতে চাই। কারণ, ওই বলে রান করা কঠিন হয়ে গিয়েছিল। একটানা ওই বল করেই সাফল্য পেয়েছি। রিজ়ওয়ানের ক্ষেত্রে বলটা কিছুটা রিভার্স সুইং করেছে।”
শাদাবের আউট হওয়াটাও একই রকমের বলে মনে করেন বুমরা। এই বলের নেপথ্যে পাকিস্তানের দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “চেষ্টা করেছিলাম আউটসুইঙ্গার দেওয়ার। কিন্তু বলটা শেষের দিকে গিয়ে কিছুটা রিভার্স সুইং করে উইকেট ভেঙে দেয়। আগে ওয়াকার ইউনিস এবং ওয়াসিম আক্রমকে এ রকম বল করতে দেখেছি। তাই আজ ওদের প্রশংসা পেয়ে ভাল লাগছে।”
ম্যাচের শুরুতেই উইকেটের চরিত্র বুঝে গিয়েছিলেন বলে জানান বুমরা। তাঁর কথায়, “বোলার হিসাবে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব উইকেট বুঝে ফেলা আমাদের কর্তব্য। দেখেই বুঝেছিলাম ধীরগতির পিচ। তাই গতির সাহায্য পাওয়া যাবে। তাই বৈচিত্র কাজে লাগিয়ে ব্যাটারদের জীবন কঠিন করে তুলতে চেয়েছিলাম।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy