নিশ্চিত রোজগার নেই ভারতের বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ১৭ জন খেলোয়াড়ের। প্রতীকী ছবি।
দৃষ্টিহীনদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে পর পর তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। যে ক্রিকেটাররা বিশ্বমঞ্চে প্রতি বার দেশকে গর্বিত করছেন, তাঁদের অনেকেরই আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। তাই ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডকে পাশে দাঁড়ানোর অনুরোধ করলেন দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের ভারতীয় দলের অধিনায়ক অজয় কুমার রেড্ডি।
গত ১৭ ডিয়েম্বর ফাইনালে বাংলাদেশকে হারিয়ে টানা তিন বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত। বিশ্বজয়ী দলে ছিলেন মোট ১৭জন ক্রিকেটার। তাঁদের মধ্যে ১০ জনেরই নিশ্চিত কোনও আয় নেই। তবু ক্রিকেটার প্রতি ভালবাসা থেকে তাঁরা খেলে চলেছেন। শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করতে পারলেও অর্থনৈতিক প্রতিকূলতা তাঁদের বড় বাধা। অজয় বলেছেন, ‘‘আমরা পর পর তিন বার বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হলাম। তবু আমাদের দলের কোনও স্পনসর নেই। এ ভাবে খেলা চালিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের কাছেই অত্যন্ত কঠিন হয়ে উঠছে। পরিবার প্রতিপালনই আমাদের সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ। বেঁচে থাকার জন্য আয় তো করতেই হবে। না হলে কী ভাবে আমরা পরিবারের দায়িত্ব পালন করব।’’
২০১৭ সালেও অজয়ের নেতৃত্বে দৃষ্টিহীনদের বিশ্বকাপ জিতেছিল ভারত। তিনি বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড আমাদের স্বীকৃতি দিলেও উন্নয়নের কোনও রূপরেখা এখনও তৈরি হয়নি। এ নিয়ে কোনও কাজ হচ্ছে কিনা তাও জানি না আমরা। ক্রিকেট মাঠে আমরাও দেশকে গর্বিত করছি। আমরাও বিসিসিআইয়ের কেন্দ্রীয় চুক্তির আওতায় আসার যোগ্য।’’ উল্লেখ্য, তিন বার এই প্রতিযোগিতা হয়েছে। প্রতি বারই চ্যাম্পিয়ন ভারতীয় দল।
প্রতিযোগিতায় তিনটি শতরান করেছেন সুনীল রমেশ। তিনি বলেছেন, ‘‘আমরা কোনও আর্থিক সাহায্য পাই না। কোনও চাকরি নেই। কোনও আর্থিক নিরাপত্তা নেই। বিশ্বকাপ বা কোনও সিরিজ়ের আগে আমরা এক সঙ্গে হওয়ার সুযোগ পাই। তা ছাড়া আমাদের কোনও সুযোগ নেই। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড চাইলে আমরাও ক্রিকেটকে পেশা হিসাবে নিতে পারি।’’ প্রস্তুতির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড বা দক্ষিণ আফ্রিকার মতো দলগুলি যে আধুনিক সুযোগ সুবিধা পায়, তেমন কিছুই ভারতীয় দল পায় না বলেও আক্ষেপ প্রকাশ করেছেন বিশ্বজয়ী দৃষ্টিহীন ক্রিকেটাররা।
কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অজয় হতাশা প্রকাশ করে এই কথাগুলি বলেছেন বিশ্বজয়ী দৃষ্টিহীন ক্রিকেটাররা। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুরও। অনুরাগ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রাক্তন সভাপতিও। উল্লেখ্য, গত বছর এপ্রিল মাসে ডিফারেন্টলি এবেলড ক্রিকেট কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়াকে (ডিসিসিআই) স্বীকৃতি দেয় ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড। তার পরও দৃষ্টিহীন ক্রিকেটারদের অবস্থার পরিবর্তন হয়নি।
ডিসিসিআই সভাপতি জি মহান্তেশ বলেছেন, ‘‘বিসিসিআই আমাদের প্রতি যথেষ্ট সহানুভূতিশীল। আমাদের নানা ভাবে সাহায্য করে। পরিকাঠামো ব্যবহার করতে দেয়। প্রস্তুতিতে নানা ভাবে সহযোগিতা করে। কিন্তু পেশাদারিত্বের ক্ষেত্রে আমাদের আরও অনেক সাহায্য প্রয়োজন বিসিসিআইয়ের কাছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy