লখনউয়ে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে নিউ জ়িল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত সমতা ফেরালেও সেই মাঠের উইকেট প্রশ্নের মুখে। একানা স্টেডিয়ামের পিচ নিয়ে দু’দলই ক্ষুব্ধ। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেট দলের বোলিং কোচ পরশ মামব্রের মতে, কেন পিচ এমন হল, তার জবাব একমাত্র পিচ প্রস্তুতকারকই দিতে পারবেন।
ম্যাচ শেষে সাংবাদিক বৈঠকে মামব্রে বলেছেন, ‘‘পিচ খারাপ হওয়ার জন্য দল দায়ী নয়। দল কোনও রকম নির্দেশ দেয়নি। তাই পিচের দায় সম্পূর্ণ ভাবে পিচ প্রস্তুতকারকের। তিনিই বলতে পারবেন কেন এ রকম পিচ হল।’’
এই রকম পিচে ম্যাচ জিতে ভাগ্যের কথা শোনা গিয়েছে মামব্রের মুখে। হার্দিক পাণ্ড্যদের বোলিং কোচ বলেছেন, ‘‘এই পিচে ১২০-১৩০ রান করলে তাড়া করা সমস্যা। ভাগ্য ভাল যে ওদের ৯৯ রানে আটকে রাখতে পেরেছি। সেটা তুলতে গিয়েই সমস্যা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত যে জিতেছি সেটাই আসল। ভাগ্য ভাল ছিল বলে আমরা জিতেছি।’’
আরও পড়ুন:
পিচে যে বল ঘুরবে তা আগে থেকেই বুঝতে পেরেছিলেন মামব্রে। তাই তাঁরা দলে অতিরিক্ত স্পিনার খেলিয়েছেন। তার ফলও পেয়েছে ভারত। সেই প্রসঙ্গে মামব্রে বলেছেন, ‘‘আমরা উইকেট দেখেই ভেবেছিলাম বল ঘুরবে। কারণ, মাঝে কিছুটা ঘাস থাকলেও দু’প্রান্তে কিছু ছিল না। খুব শুকনো উইকেট ছিল। তাই এই পিচে রান তোলা কঠিন হবে জানতাম। সেটাই হল।’’
ভারতীয় দলের অধিনায়ক হার্দিকের গলাতেও শোনা গিয়েছে উইকেটের সমালোচনা। হার্দিক বলেছেন, ‘‘এই রকম উইকেট আমাদের কাছে একটা ধাক্কা। আমাদের আরও ভাল উইকেট রয়েছে। খেলা যাতে ভাল উইকেটে হয়, তা নিশ্চিত করতে হবে। এই রকম উইকেটে ১২০ রান তুললেই জেতা সম্ভব।’’
কঠিন উইকেটে ম্যাচ বের করার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা ছিল ভারতীয় দলের। হার্দিক বলেছেন, ‘‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল উইকেট বাঁচিয়ে খেলা। ঝুঁকি না নেওয়া এবং সুযোগ মতো রান তুলে স্কোর বোর্ডকে সচল রাখা। শিশির অবশ্য তেমন প্রভাব ফেলেনি। তবে নিউ জ়িল্যান্ডের বোলাররা আমাদের থেকে বেশি স্পিন করিয়েছে বল। উইকেটের চরিত্র আমাদের হতাশ করেছে। জোরে বোলারদের জন্যও এই উইকেট ভাল নয়।’’