বিরাট কোহলি। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের স্পিন বল খেলার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে পুণে টেস্ট। নিউ জ়িল্যান্ডের মিচেল স্যান্টনার রোহিত শর্মাদের ২০টি উইকেটের মধ্যে ১৩টি নিয়েছেন। এই সুযোগে ভারতীয় স্পিন খেলার দক্ষতা নিয়ে খোঁচা দিয়েছেন বিরাট কোহলির বন্ধু এবি ডিভিলিয়ার্স।
ঘরের চেনা পিচে ভারতীয় ব্যাটারেরা স্যান্টনারের মতো স্পিনারের বল বুঝতে সমস্যা পড়েছেন। ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড দ্বিতীয় টেস্ট শেষ হওয়ার পর তা স্বীকারও করে নিয়েছিলেন রোহিত। দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন অধিনায়ক ডিভিলিয়ার্স নিজের ইউটিউব চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘ভারতে গেলেই একটা কথা শোনা যায়। তা হল, ভারতীয় ক্রিকেটারেরা স্পিনের বিরুদ্ধে সেরা। এটা একটা ধারণা। তার মানে ওদের সব ব্যাটারই স্পিন বল খেলার ব্যাপারে বিশ্বসেরা, তা নয়। স্পিন সহায়ক উইকেটে ভাল স্পিনারের বিরুদ্ধে খেলা সব সময় কঠিন। কে কত ভাল ব্যাটার, সেটা তখন গুরুত্বপূর্ণ নয়। বিশেষ করে চাপের সময় তো বটেই। তবে কোনও ব্যাটারের সঠিক মানসিকতা, যোগ্যতা এবং দক্ষতা থাকলে সে বিশ্বের সব পরিস্থিতিতে রান করতে পারে।’’
কোহলির বন্ধু আরও বলেছেন, ‘‘ভারতীয় ব্যাটারদের খেলায় তেমন ভুল নেই। ওরা সবাই সত্যিই ভাল ব্যাটার। প্রত্যেকে স্পিন খেলতে পারে। অধিকাংশ দলই ব্যাপারটা জানে এবং ভারত সফরের আগে প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেয়। আগের মতো সময় নেই। ৯০-এর দশক বা এই শতাব্দীর শুরুর দিকের থেকে অনেক কিছু বদলে গিয়েছে। সে সময় বিরাট কোহলিও দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে শতরান করেছে।’’
ডিভিসিয়ার্সের মতে, স্পিন সহায়ক পিচ তৈরি করে ভারতই বিপদ ডেকে এনেছে। নিউ জ়িল্যান্ডের মতো দলের বিরুদ্ধে এই ধরনের কৌশল কার্যকর নাও হতে পারে। আইপিএলে কোহলির প্রাক্তন সতীর্থ বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় টেস্টে ভারত টস হেরেছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত বল ঘুরবে, এমন উইকেট তৈরি করে একটু বেশি ঝুঁকি নিয়ে ফেলেছিল ওরা। বিশেষ করে নিউ জ়িল্যান্ডের মতো একটা দলের বিরুদ্ধে সতর্ক থাকা দরকার। ওরা দ্রুত মানিয়ে নিতে পারে। যেমন গ্লেন ফিলিপসকে কেউই স্পিনার হিসাবে গুরুত্ব দেয় না। কিন্তু স্পিন সহায়ক উইকেটে অনিয়মিত স্পিনারও বিপজ্জনক হয়ে উঠতে পারে। তা ছাড়া, ব্যাট করতে নামার আগে প্রতিপক্ষ দল প্রথম ইনিংসে ভাল রান করলে চাপ তৈরি হয়। ভারত হয়তো ভেবেছিল, পছন্দের পিচে নিউ জ়িল্যান্ডের সঙ্গে সব কিছুই ওদের মনের মতো হবে।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘টস হারার পর প্রতিপক্ষ প্রথমে ব্যাট করে বড় রান তুলে ফেললে চাপ তৈরি হবেই। আমার মনে হয়েছে নিউ জ়িল্যান্ড ভাল প্রস্তুতি নিয়ে এসেছে। ওদের কাছে সব প্রশ্নের উত্তর রয়েছে। বিশেষ করে বোলিং বিভাগ এক দম প্রস্তুত। নিউ জ়িল্যান্ডের জোরে বোলারেরাও যথাযথ ভূমিকা পালন করছে।’’
রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে ১০ বছর এক সঙ্গে আইপিএল খেলেছেন ডিভিলিয়ার্স এবং কোহলি। তাঁদের ঘনিষ্ঠ বন্ধুত্বের কথাও অজানা নয়। ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব পরিণত হয়েছে পারিবারিক বন্ধুত্বে। সেই ডিভিলিয়ার্সও ভারতীয়দের স্পিন খেলার দক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy