বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে হতাশ বিরাট কোহলি। ছবি: রয়টার্স
৮ অক্টোবর। বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ জেতার পরে ভারতের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেয়েছিলেন বিরাট কোহলি। ১৯ নভেম্বপ। বিশ্বকাপ ফাইনাল হারার পরেও ভারতের সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পেলেন সেই বিরাটই। মাঝের ৪১ দিনে কখনও লোকেশ রাহুল, কখনও সূর্যকুমার যাদব, আবার কখনও রবীন্দ্র জাডেজার হাতে উঠেছে সেই পুরস্কার। কিন্তু ৪১ দিন পরে বদলে গেল ছবিটা। বদলে গেল উল্লাসের ছবিটা। বদলে গেল ভারতের সাজঘরের ছবিটা।
বিশ্বকাপ ফাইনালের পরে ভারতের সাজঘরের একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়। সেখানে প্রথম ম্যাচ থেকে সেমিফাইনাল পর্যন্ত প্রতিটি ম্যাচের পরে ভারতীয় দলের সেরা ফিল্ডার নির্বাচনের ঝলক দেখানো হয়। ভিডিয়োয় বোঝা যাচ্ছিল, প্রতিটি ম্যাচের পরে কতটা আনন্দ করেছেন ক্রিকেটারেরা। কিন্তু একটি ম্যাচেই সবটা বদলে গেল।
সাজঘরে সব ক্রিকেটারের সঙ্গে বসেছিলেন ভারতের বোলিং কোচ টি দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘এটা আমাদের কাছে খুব কঠিন মুহূর্ত। এই ফল মেনে নেওয়া কঠিন। কিন্তু মাথা উঁচু করে তোমরা মাঠ ছেড়েছ। নিজেদের সেরাটা দিয়েছ। তোমাদের নিয়ে আমরা গর্বিত।’’ তার পরেই সেরা ফিল্ডারের প্রসঙ্গে যান দিলীপ। তিনি বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকে এটা আমরা করছি। এই ম্যাচেও তোমরা প্রত্যেকে নিজেদের উজাড় করে দিয়েছ। যেটা আমার সব থেকে ভাল লেগেছে সেটা হল এই দলের সবাই সবার জন্য খেলে। এই ম্যাচের সেরা ফিল্ডার যখনই মাঠে নামে তখনই নিজের সবটা দেয়। শুধু তাই নয়, বাকিদেরও অনুপ্রাণিত করে। তার নাম বিরাট কোহলি।’’
নাম শোনার পরে দেখা যায় কোনও রকমে উঠে আসছেন বিরাট। তাঁর গলায় মেডেল পরিয়ে দেন জাডেজা। কিন্তু তাঁদের মুখে হাসি ছিল না। ছিল হতাশা আর দুঃখ। পুরো সাজঘরকে বিধ্বস্ত দেখাচ্ছিল। এত ভাল খেলার পরে শেষ ধাপে হার মেনে নিতে পারছিলেন না তাঁরা। সত্যিই, ৪১ দিনে বদলে গেল গোটা সাজঘরের ছবিটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy