রবিচন্দ্রন অশ্বিন। —ফাইল চিত্র।
যে দিন প্রথম টেস্ট দলে সুযোগ পেয়েছিলেন, ভাবেননি এমন দিনও দেখতে পাবেন। ধর্মশালায় নিজের শততম টেস্ট খেলতে নামবেন রবিচন্দ্রন অশ্বিন। ভারতের তৃতীয় স্পিনার হিসাবে এই নজির গড়বেন তিনি। ব্যক্তিগত মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়েও কি অখুশি অশ্বিন? সব থেকে বড় কষ্টের কথা মনে পড়ছে তাঁর।
ম্যাচের আগে সাংবাদিক বৈঠক করেন অশ্বিন। সেখানেই ভারতীয় স্পিনার বলেন, “ক্রিকেট এমন একটা খেলা যেখানে নিজে থেকে অনেক কিছু শেখা যায়। নিজের সমালোচনা করতে হয়। কোথায় ভুল হচ্ছে সেটা দেখে শুধরে নিতে হয়। কারণ, ভারতে প্রচুর সমালোচক। পান থেকে চুন খসলে হবে না। কিন্তু তার মধ্যে অনেকে ঠিকও বলেন। আমি তাই সবটা শোনার চেষ্টা করি।”
তার পরেই নিজের সব থেকে বড় কষ্টের কথা সামনে নিয়ে আসেন অশ্বিন। ভারতীয় স্পিনার বলেন, “আমার সব থেকে কষ্ট যে, উইকেট নেওয়ার পরে সে ভাবে উল্লাস করতে পারি না। অন্যরা যে ভাবে সাফল্য উদ্যাপন করে সেটা আমি পারি না। কারণ, আমি সারা ক্ষণ খেলা নিয়ে ভাবি। বিপক্ষের সেরা ব্যাটারকে কী ভাবে আউট করব সেটা মাথায় ঘোরে। খেলা শেষের পরেও পরের দিনের পরিকল্পনা করতে থাকি। সব সময় খেলার মধ্যে থাকায় অন্য কিছু আমার মাথায় ঢোকে না।”
মাইলফলকের সামনে দাঁড়িয়ে নিজের থেকেও পরিবারের কথা বেশি মনে পড়ছে অশ্বিনের। কারণ, অশ্বিনের মতে এই নজিরের জন্য তাঁর থেকেও তাঁর পরিবার বেশি খুশি হবে। অশ্বিন বলেন, “আমার কাছে ১০০তম ম্যাচ খুবই গুরুত্বুপূর্ণ। কিন্তু আমার থেকেও আমার বাবা, মা, স্ত্রী ও সন্তানদের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আমার থেকে বেশি উৎসাহী আমার সন্তানেরা। কারণ, আমার সাফল্যের জন্য ওরাও অনেক ত্যাগ করেছে। নইলে আজকের জায়গায় আমি আসতে পারতাম না। আমার বাবা আজও রোজ ৫০টা ফোন ধরে। ছেলেকে নিয়ে কথা বলে। তাই ওদের কথা আরও বেশি মনে পড়ছে।”
ভারতের হয়ে এখনও পর্যন্ত মোট ২৮০টি ম্যাচ খেলেছেন অশ্বিন। তার মধ্যে ৯৯টি টেস্টে ৫০৭টি, ১১৬টি এক দিনের ম্যাচে ১৫৬টি ও ৬৫টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৭২টি উইকেট নিয়েছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy