জসপ্রীত বুমরাহ না থাকায় চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তিনিই ভারতের এক নম্বর জোরে বোলার। দলকে জেতানোর ভার তাঁর উপরেই থাকবে। সেই মহম্মদ শামিই স্বীকার করলেন, ভারতের হয়ে আর খেলতে পারবেন কি না তা নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছিল তাঁর মনে। নিজের ফিরে আসার নেপথ্যে পরিবারকে ধন্যবাদ দিয়েছেন তিনি।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলতে নামার আগে আইসিসি-র ওয়েবসাইটে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন শামি। সেখানেই জানিয়েছেন, ২০২৩ বিশ্বকাপের পর অস্ত্রোপচারের কারণে ১৪ মাস ক্রিকেট থেকে দূরে থাকা তাঁর কাছে কতটা অসহনীয় ছিল।
শামি বলেছেন, “বিশ্বকাপে দারুণ ফর্মে থাকার পর হঠাৎই নিজেকে অস্ত্রোপচারের টেবলে দেখতে পাওয়া, সেই ফর্মের পর চোট পাওয়া সত্যিই খুব কঠিন। প্রথম দু’মাস খালি ভাবতাম, আর কি ভারতের হয়ে খেলতে পারব? যে চোট পেয়েছিলাম তাতে ১৪ মাসের বিরতি আপনাকে মানসিক ভাবে ভেঙে দিতে পারে।”
৩৪ বছরের বাংলার পেসার অবশ্য ফিরেছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে বাংলার হয়ে নিয়মিত খেলার পর ইংল্যান্ড সিরিজ়ে দু’টি করে টি-টোয়েন্টি এবং এক দিনের ম্যাচ খেলেছেন। তবে এখনও সেই ১৪ মাসের কথা শামির মাথায় গেঁথে রয়েছে।
শামির কথায়, “চিকিৎসককে প্রথমেই প্রশ্ন করেছিলাম, কত দিনের মধ্যে মাঠে ফিরতে পারব। উনি বলেছিলেন, আগে আমাকে চলাফেরা করতে হবে, তার পর জগিং এবং দৌড়। তার পরেই আমি ভাবতে পারব ক্রিকেট খেলতে পারব কি না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট নিয়ে ভাবা তো তখন দূরের ব্যাপার।”
সক্রিয় ক্রীড়াবিদ থেকে ক্রাচ নিয়ে হাঁটার পর্ব কতটা কঠিন ছিল সে সম্পর্কে শামি বলেন, “আমি ভাবতাম কবে মাটিতে পা রেখে হাঁটতে পারব। মাঠে দৌড়তে থাকা একজন ক্রীড়াবিদের পক্ষে ক্রাচ নিয়ে হাঁটা বেশ কষ্টের। অনেক ভাবনা মাথায় আসত তখন। ক্রিকেট খেলতে পারব কি না, হাঁটতে পারব কি না এই সব।”
আরও পড়ুন:
দু’মাস পরে প্রথম বার মাটিতে পা রেখে শামিকে হাঁটতে বলেছিলেন চিকিৎসক। বাংলার পেসার তখন ভয় পেয়ে গিয়েছিলেন। শামির কথায়, “দু’মাস পরে চিকিৎসকেরা বললেন মাটিতে আস্তে করে পা রেখে চলার চেষ্টা করতে। বিশ্বাস করবেন না, আগে কোনও দিন মাটিতে পা রাখতে এত ভয় পাইনি। মনে হচ্ছিল প্রথম বার হাঁটতে শিখছি।”
ভারতের হয়ে খেলার অনুপ্রেরণাই তাঁকে আবার জাতীয় দলের জার্সি পরতে সাহায্য করেছে বলে মনে করেন শামি। তাঁর কথায়, “দেশের জার্সি পরার এই ইচ্ছে এবং আবেগটাই সবচেয়ে বড় অনুপ্রেরণা। এটাই আমাকে চাঙ্গা করে রাখে। এর জন্য যন্ত্রণা সহ্য করা যায়।”