মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
২০২৩ সালে এক দিনের বিশ্বকাপের পর থেকে আর জাতীয় দলে দেখা যায়নি মহম্মদ শামিকে। চোটের কারণে দীর্ঘ দিন বাইরে থেকেছেন। অস্ত্রোপচার হয়েছে। সুস্থ হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও জাতীয় দলে জায়গা পাননি। শোনা গিয়েছিল, অস্ট্রেলিয়া সফরের শেষ দু’টি টেস্টে তিনি খেলতে পারেন। কিন্তু তা-ও হয়নি। আবার ভারতীয় দলে ফিরতে তৈরি শামি। নেটে ঘাম ঝরাচ্ছেন পেসার। ইংল্যান্ড সফরেই কি আবার জাতীয় দলে প্রত্যাবর্তন হবে শামির?
সমাজমাধ্যমে নিজের একটি ভিডিয়ো দিয়েছেন শামি। ২৭ সেকেন্ডের সেই ভিডিয়োয় দেখা যাচ্ছে, একের পর এক বল করছেন তিনি। একই রকম গতি। একই রকম লাইন, লেংথ। বেশ কয়েকটি বলে উইকেটও ভেঙে দেন তিনি। ভিডিয়োর ক্যাপশনে শামি লেখেন, “গতি ও আবেগের মিশেলে ক্রিকেটবিশ্বকে দেখাতে তৈরি।” শামিকে দেখে বোঝা যাচ্ছে, পুরো দমে বল করছেন তিনি। কোনও সমস্যা হচ্ছে না বাংলার পেসারের।
চোট সারিয়ে ফিরে বাংলার হয়ে রঞ্জি, সৈয়দ মুস্তাক আলি ও বিজয় হজারে ট্রফি খেলেছেন শামি। তবে সব ম্যাচে দেখা যায়নি তাঁকে। বাংলাও তাঁকে বিশ্রাম দিয়ে খেলিয়েছে। দেখে বোঝা গিয়েছে, কোনও রকমের ঝুঁকি নিতে চায়নি তারা। টেস্টে না খেললেও সাদা বলের ক্রিকেট খেলতে পারেন শামি। কারণ, সেখানে ধকল অনেকটাই কম। ১৯ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। সেই প্রতিযোগিতার জন্য শামির নাম ভাবা হচ্ছে। তেমনটা হলে প্রস্তুতির জন্য ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সাদা বলের সিরিজ়েই জাতীয় দলে দেখা যেতে পারে তাঁকে। শামি ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি তৈরি।
সদ্য অস্ট্রেলিয়ার কাছে টেস্ট সিরিজ় হেরেছে ভারত। সেখানে শামির অভাব বোঝা গিয়েছে। তাঁর খেলা নিয়ে বার বার জল্পনা হয়েছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত শামি খেলেননি। শামির ফিটনেস নিয়ে বিসিসিআইয়ের লুকোচুরিতে ক্ষুব্ধ রবি শাস্ত্রী। তাঁর প্রথম প্রশ্ন, এত দিন সময় পেয়েও কেন শামিকে ফিট করে তোলা গেল না? তাঁর দ্বিতীয় প্রশ্ন, শামির ফিটনেস নিয়ে কেন স্পষ্ট করে কিছু বলা হল না? কেন গোটা অস্ট্রেলিয়া সফরের সময়ই শামির খেলা নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি করে রাখা হল?
শাস্ত্রীর মতে, শামিকে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টেস্ট সিরিজ়ে অত্যন্ত প্রয়োজন ছিল। ভারতীয় দলের দায়িত্বে থাকলে ফিট না হওয়া শামিকে নিয়েই অস্ট্রেলিয়ায় যেতেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। শাস্ত্রী বলেন, ‘‘অস্ট্রেলিয়ায় শামির অভাব অনুভূত হয়েছে। এটা নিয়ে কোনও প্রশ্ন থাকতে পারে না। সত্যি বলতে, আমি বেশ অবাক হয়েছি। শামিকে নিয়ে সংবাদমাধ্যমে নানা খবর বেরোচ্ছিল। অথচ ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড প্রকাশ্যে কিছু জানাচ্ছিল না। জানি না জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে এত দিন ধরে কী করছে শামি? ঠিক কী হয়েছে ওর? কত দিন লাগবে ওর সুস্থ হতে? বোর্ড কিছুই ঠিকঠাক জানায়নি। শামির মতো বোলারকে আমি অবশ্যই অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাতাম।’’
ফিট না-হওয়া শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় নিয়ে গিয়ে কী করতেন? শাস্ত্রী বলেছেন, ‘‘শামিকে দলের সঙ্গে রাখতাম। দলের সঙ্গে থেকেই ফিট হয়ে উঠতে পারত। ভারতীয় দলের ফিজিয়োর অধীনে থাকত। দরকার পড়লে অস্ট্রেলিয়ার সেরা ফিজিয়োদের দেখাতে পারতাম। বিশ্বের সেরা ফিজিয়োদের অনেকে অস্ট্রেলীয়। চোখের সামনে থাকত। তাতে পরিকল্পনা করতে অনেক সুবিধা হত।’’ শাস্ত্রী আরও বলেছেন, ‘‘সিরিজ়ের মাঝপথে অন্তত শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো যেত। সত্যি খুব অবাক হয়েছি। দলের সঙ্গে থাকলে হয়তো শেষ টেস্টটা খেলতে পারত। নীতীশ কুমার রেড্ডিকে দিয়ে পরিস্থিতি সামলাতে হত না। এটা বোঝা উচিত, শামি পুরো ফিট না থাকলেও দিনে কয়েকটা ওভার বল করতে পারে। দলে তো আরও বোলার আছে। শামিকে বাড়তি চাপ না দিয়েও খেলানো যেত। ওর কয়েকটা ওভারই পার্থক্য তৈরি করে দিতে পারে।’’ এখন দেখার, ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে জাতীয় দলে শামি ফেরেন কি না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy