মহম্মদ শামি। —ফাইল চিত্র।
বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি খেলতে মহম্মদ শামির অস্ট্রেলিয়ায় যাওয়া এখনও অনিশ্চিত। ফিটনেস সংক্রান্ত রিপোর্ট হাতে পাওয়ার পর শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানোর কথা বিবেচনা করবেন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই) কর্তারা এবং জাতীয় নির্বাচকেরা। ১ ডিসেম্বর, রবিবার বাংলা-মেঘালয় ম্যাচের পর শামিকে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
চোট সারিয়ে ফেরা শামি ফিটনেস জরিপ করার জন্য রাজকোটে রয়েছেন বিসিসিআইয়ের ক্রীড়াবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান নিতিন পটেল, জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির ট্রেনার নিশান্ত বোরদোলোই এবং অন্যতম জাতীয় নির্বাচক শিবসুন্দর দাস। বাংলার হয়ে সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফি খেলছেন শামি। বাংলা দলের সঙ্গে থাকলেও শামির দেখভাল করছেন বিসিসিআইয়ের দায়িত্বপ্রাপ্তেরা। তাঁদের রিপোর্টের উপর নির্ভর করবে শামির বর্ডার-গাওস্কর ট্রফি খেলা। বিসিসিআই সূত্রে খবর, তৃতীয় টেস্টের যথেষ্ট আগে পাঠানো না গেলে শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় আর না-ও পাঠানো হতে পারে। তাই রবিবারের মেঘালয় ম্যাচ শামির কাছে অনেকটা ‘টেস্ট’ পরীক্ষার মতো। নজরদারিতে থাকবেন বোর্ডের তিন জন।
শামির ফিটনেস নিয়ে সংশয় রয়েছে বোর্ড কর্তাদের একাংশ এবং জাতীয় নির্বাচকদের। লম্বা স্পেলে বল করতে তাঁর সমস্যা হবে বলে মনে করা হচ্ছে। ওজন কমিয়ে ফিটনেস বৃদ্ধি করতে বলা হয়েছে শামিকে। কারণ দীর্ঘ দিন খেলার মধ্যে না থাকায় তাঁর ওজন কিছুটা বেড়েছে। শামি লম্বা স্পেলে বল করতে পারবেন কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছেন তাঁরা। চোট সারিয়ে প্রায় এক বছর পর মাঠে ফেরা শামিকে নিয়ে কোনও হঠকারী সিদ্ধান্ত নিতে চাইছেন না বিসিসিআই কর্তারা। আগামী চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাঁকে সম্পূর্ণ ফিট হয়ে পেতে চাইছেন তাঁরা। তাই বিশেষজ্ঞদের মতামত না দেখে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাইছে না বোর্ড। টি-টোয়েন্টির পারফরম্যান্স দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটের জন্য প্রয়োজনীয় ফিটনেস মাপতে চাইছেন না অজিত আগরকরেরা।
গত ১৩ নভেম্বর বাংলার হয়ে রঞ্জির ট্রফির ম্যাচে মাঠে ফেরেন। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে ৭ উইকেট নিয়ে আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। অনেকেই ভেবেছিলেন, শামিকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠানো হবে। শামি যোগ দিলে বর্ডার-গাওস্কর ট্রফিতে ভারতের বোলিং আরও শক্তিশালী হবে। কিন্তু সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতে শামির পারফরম্যান্সে হতাশ জাতীয় নির্বাচকেরা। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে ৪৬ রানে ১ উইকেট নেন। দ্বিতীয় ম্যাচে হায়দরাবাদের বিরুদ্ধে ২১ রানে ৩ উইকেট নেন। আবার তৃতীয় ম্যাচে মিজ়োরামের বিরুদ্ধে ৪৬ রান দিয়েও উইকেট পাননি। মধ্যপ্রদেশের বিরুদ্ধেও ৩৮ রান দিয়ে কোনও উইকেট পাননি শামি।
চোট সারিয়ে ফেরা শামি ধারাবাহিকতার অভাব স্পষ্ট। আগামী ৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া দ্বিতীয় টেস্ট। তৃতীয় টেস্ট শুরু হবে ১৪ ডিসেম্বর থেকে। পাঁচ ম্যাচের সিরিজের প্রথম টেস্ট জিতে এগিয়ে রয়েছে ভারত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy