চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারতের প্রথম ম্যাচ বৃহস্পতিবার। কিন্তু বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে এসে রোহিত শর্মা যে ভাবে কাশছিলেন তাতে চিন্তার ভাঁজ সমর্থকদের কপালে। ১৭ মিনিট ৪১ সেকেন্ডের সাংবাদিক বৈঠকে রোহিত কাশলেন ১২ বার। কখনও খুকখুকে কাশি, কখনও বেশ জোরে কাশি।
বুধবার পাকিস্তান-নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ ছিল। ইনিংসের মাঝের সময় সাংবাদিক বৈঠক হয় রোহিতের। দুবাইয়ে অনুশীলনের আগে সাংবাদিক বৈঠকে করেন তিনি। সেই সময় বার বার কাশি হল তাঁর। পাশ থেকে একজন জল এগিয়ে দিয়েছিলেন, কিন্তু রোহিত খাননি। কাশতে কাশতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ায় ক্ষমাও চান ভারত অধিনায়ক। দুবাইয়ে বৃষ্টি হচ্ছে। কিছুটা ঠান্ডাও রয়েছে। রোহিতের কি ঠান্ডা লেগেছে? তা জানা যায়নি। তবে কাশির কারণে তাঁকে খুব স্বচ্ছন্দ দেখাল না। সমর্থকেরা চাইবেন মাঠে নেমে তাঁর ব্যাট যেন চলে স্বচ্ছন্দে।
দুবাইয়ে গত দু’দিন বৃষ্টি হয়েছে। ম্যাচের দিন আকাশ মেঘলা থাকবে বলে জানা গিয়েছে। তবে শিশির পড়বে কি না তা আন্দাজ করতে পারছেন না রোহিত। তিনি বলেন, “শিশির পড়বে কি না বোঝা মুশকিল। ভারতের বিভিন্ন জায়গায় খেলতে গিয়ে দেখেছি ম্যাচের আগের দিন শিশির পড়েছে, কিন্তু ম্যাচের দিন পড়েনি। তাই ওটা নিয়ে ভাবছি না। আকাশ মেঘলা থাকলে যদিও সেই অনুযায়ী খেলতে হবে। যদি বল করার সময় আকাশ মেঘলা থাকে, তা হলে এক রকম করে ভাবতে হবে, আবার ব্যাট করতে হলে অন্য রকম ভাবে ভাবতে হবে। পরিস্থিতি অনুযায়ী সিদ্ধান্ত নিতে হবে আমাদের।”

গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
আরও পড়ুন:
সাংবাদিক বৈঠকে রোহিতকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল দলে পাঁচ জন স্পিনার নিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলতে যাওয়ার প্রসঙ্গে। রোহিত বলেন, “পাঁচ জন কোথায়? দলে দু’জন স্পিনার রয়েছে আমাদের। বাকি তিন জন অলরাউন্ডার। ওরা ব্যাট করতে পারে, সঙ্গে বোলিংটাও করতে পারে। অনেক দলে তো পেসার-অলরাউন্ডার থাকে। তাদের তা হলে ছ’জন পেসার আছে বলতে হয়। আমাদের যেটা শক্তি, আমরা সেই অনুযায়ী দল গড়েছি।”
রোহিত এখনই পাকিস্তান ম্যাচ নিতে ভাবতে রাজি নন। তিনি একটি করে ম্যাচ দেখে এগোতে চাইছেন। প্রশংসা করেন দুবাইয়ের নেট বোলারদেরও। নিজেদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবেন বলে জানিয়েছেন রোহিত। প্রশংসা করেন সহ-অধিনায়ক শুভমন গিলের। রোহিত বলেন, “শুভমন খুব ভাল ব্যাটার। সাদা বলের ক্রিকেট এবং লাল বলের ক্রিকেটকে মিশিয়ে ফেললে হবে না। আমি পরিসংখ্যান দেখি না। জানি সুযোগ পেলে ও ভাল খেলবে। আগামী দিনে সব ধরনের ক্রিকেটেই ধারাবাহিক ভাবে খেলবে শুভমন।”
চোট সারিয়ে ফেরা মহম্মদ শামিকে চিন্তিত নন রোহিত। বাংলার পেসারের মতো বোলার ম্যাচ খেলতে পারলেই তাঁকে দলে নেওয়া উচিত বলে মনে করেন তিনি। রোহিত বলেন, “শামির মাপের এক জন খেলোয়াড় সুস্থ থাকলেই তাকে খেলানো উচিত। উইকেট ঠিক পেয়ে যাবে। আমরা চাইছিলাম চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির আগে শামি সুস্থ হয়ে যাক। সেটা হয়েছে। চিন্তা নেই কুলদীপকে (যাদব) নিয়েও। ওর হার্নিয়া অস্ত্রোপচার হয়েছে। তার পর খেলায় ফিরেছে। জানি ও নিজের সেরাটা দেবে। ওরা অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। আমরা বেশি চাপ নেব না। ম্যাচ ধরে ধরে এগোব।”