এক দিনের সিরিজ় জিতলেও ভারতের বিরুদ্ধে প্রথম টেস্টের আগে চাপে শাকিবরা। ছবি: টুইটার।
এক দিনের সিরিজ় জিতে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ। টেস্ট সিরিজ়ে ভারত প্রথম একাদশের কয়েক জনকে পাচ্ছে না চোটের জন্য। তবু লোকেশ রাহুলের ভারতকে সমীহ করছে বাংলাদেশ। শাকিব আল হাসানরাও সম্ভবত পাবেন না গুরুত্বপূর্ণ এক জোরে বোলারকে।
চট্টগ্রামের উইকেট মূলত ব্যাটিং সহায়ক। উইকেট পাওয়া কঠিন। তার উপর চোটের জন্য অনিশ্চিত তাসকিন আহমেদ। স্বভাবতই কিছুটা চাপে বাংলাদেশ। এক দিনের ক্রিকেটে ভাল হলেও টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স উল্লেখযোগ্য নয়। চলতি বছরে আটটি টেস্ট খেলে মাত্র একটিতে জিতেছে তারা। ছ’টি টেস্টেই হারতে হয়েছে। ভারতের বিরুদ্ধে কখনও টেস্ট জেতেননি শাকিবরা। এমন উইকেটে শাকিবদের দরকার ছিল তাসকিনকে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ থেকে ভাল ছন্দে রয়েছেন তাসকিন। তিনি কি পারবেন বুধবার থেকে শুরু হওয়া টেস্টে? তাঁর ফিটনেস সমস্যা রয়েছে। মাঠে নামার জন্য সব রকম চেষ্টা করছেন। বাকিটা ছেড়ে দিচ্ছেন অধিনায়ক, কোচদের উপর। পিঠের চোটের জন্য প্রথম দু’টি এক দিনের ম্যাচ খেলতে পারেননি। তৃতীয় এক দিনের ম্যাচে খেললেও পাঁচ দিন খেলার ধকল নিতে পারবেন কি না নিশ্চিত নন। তাসকিনের বক্তব্য, ‘‘আমার চাপ নিয়ে কাজ করছে কোচিং স্টাফরা। সবে চোট সারিয়ে ফিরেছি। এখন মূলত ফিটনেস ফিরে পাওয়ার অনুশীলন করছি। স্বাভাবিক ছন্দে বল করার চেষ্টা করছি। অধিনায়ক, কোচরা মনে করলে আমাকে খেলাবেন। না হলে প্রথম টেস্টে আমার লেখার সম্ভাবনা নেই। আশা করছি দ্বিতীয় টেস্টে খেলব।’’
নিজের খেলা অনিশ্চিত হলেও সতীর্থদের সাহস দিচ্ছেন তাসকিন। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের প্রথমে চেষ্টা করতে হবে খেলাটা পঞ্চম দিন পর্যন্ত নিয়ে যাওয়ার। তার পর জয়ের কথা ভাবতে হবে। টেস্ট ক্রিকেট অন্য রকম চ্যালেঞ্জ। আমাদের এই চ্যালেঞ্জটা নেওয়া শিখতে হবে।’’ চট্টগ্রামের ২২ গজ দেখে তাসকিন মনে করছেন, বোলারদের জন্য কিছুই নেই। বিশেষ করে জোরে বোলারদের অপেক্ষা করতে হবে ব্যাটারের ভুলের জন্য। সতীর্থদের পরামর্শ দিয়ে তাসকিন বলেছেন, ‘‘সমান উইকেট। শেষ থেকে শুরু পর্যন্ত কোনও পার্থক্য নেই। এখানে বাড়তি চেষ্টা করে খুব একটা লাভ হবে না। বরং বিপক্ষে যেতে পারে। বেশি রান দিলে হবে না। ভারতের ব্যাটিং শক্তি খুব ভাল। নতুন বলে সুইং পাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। বল পুরনো হলে রিভার্স সুইং করানোর চেষ্টা করতে হবে।’’ ভারতের ব্যাটিংয়ের বিরুদ্ধে সফল হওয়ার নির্দিষ্ট পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। তাসকিন বলেছেন, ‘‘প্রতিপক্ষের জুটি ভাঙার চেষ্টা করতে হবে। বড় জুটি তৈরি করতে দিলে হবে না। উইকেটের জন্য ধৈর্য ধরতে হবে আমাদের। অপেক্ষা করতে হবে ওদের ভুলের জন্য। আমরা বল হাতে ভারতকে উড়িয়ে দেব ভাবলে ভুল হবে।’’
তা হলে কি টেস্ট সিরিজ়ে বাংলাদেশের ভাল ফলের তেমন সম্ভাবনা নেই? তাসকিন মানতে চাননি। তাঁর বক্তব্য, ‘‘জোরে বোলাররা সব সময়ই সবুজ উইকেটে বল করতে চায়। যদিও পরিস্থিতি বা পরিবেশ আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। দক্ষিণ আফ্রিকা এবং নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধেও আমাদের মন্থর এবং পাটা উইকেট দেওয়া হয়েছিল। এ রকম উইকেটেও ভাল বল করার দক্ষতা আয়ত্ত করতে হবে। বড় বোলাররা কিন্তু এমন উইকেটেও চার-পাঁচ উইকেট তুলে নিতে পারে। পরিস্থিতি নয়, নিজেদের উন্নতি নিয়ে ভাবা উচিত আমাদের।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy