উইকেট নিয়ে কোহলি, পুজারার সঙ্গে উচ্ছ্বাস অশ্বিনের। তিন উইকেট পেলেন তিনি। ছবি: পিটিআই
ম্যাচ শুরুর আগেই পিচ পরীক্ষা করতে এসে সঞ্জয় মঞ্জরেকর বললেন, নাগপুরের থেকে অনেক ভাল লাগছে এই উইকেট। মাঝের দিকে একটু ঘাসও রয়েছে। আশা করি অস্ট্রেলিয়ার থেকে এ বার ভাল লড়াই পাওয়া যাবে। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনের শেষে সেটা বলাই যায়। প্রথম ম্যাচের মতো একেবারে তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল না অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং। উসমান খোয়াজা এবং পিটার হ্যান্ডসকম্বের ব্যাটে লড়াই দিল অস্ট্রেলিয়া। তবু প্রথম দিনের শেষে কিছুটা এগিয়ে ভারতই। প্রথম দিনে অস্ট্রেলিয়ার ২৬৩ রানের জবাবে ভারত বিনা উইকেটে ২১। ভারত পিছিয়ে ২৪২ রানে।
ঘূর্ণি পিচ হলেও জোরে বোলাররা যে সাফল্য পেতে পারেন, এটা ভারতের দিকে তাকালেই বোঝা যাবে। প্রথম দু’টি এবং শেষ দু’টি উইকেট তুলে নিলেন মহম্মদ শামি। প্রথম ইনিংসে তাঁর নামের পাশে চার উইকেট। মহম্মদ সিরাজ় ভাল বল করলেও উইকেট পাননি। রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং রবীন্দ্র জাডেজা নিজেদের ছন্দেই। দু’জনেরই নামের পাশে তিনটি করে উইকেট। অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশ দেখলে বিস্মিত হওয়া ছাড়া উপায় নেই। খ্যাতনামী সব জোরে বোলার উপহার দিয়েছে যে দেশ, তাদের প্রথম একাদশে মাত্র একজন পেসার! তিন জন প্রথম সারির স্পিনার, তিন জন বিকল্প স্পিনারে দল সাজিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় টেস্টে প্যাট কামিন্সের এই সিদ্ধান্ত ব্যুমেরাং হতেই পারে।
টসে হেরে ভারতের দিনটা ভাল শুরু হয়নি। রোহিত জানালেন, টসে জিতলে তিনিও ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিতেন। ম্যাচ শুরু হওয়ার পর সেটা বোঝা যাচ্ছিল। শামি এবং সিরাজকে খেলতে অসুবিধা হচ্ছিল না দুই অজি ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার এবং খোয়াজার। কিন্তু ওয়ার্নারের খারাপ ছন্দ জুটি ভাঙে। বাইরের বলে খোঁচা লাগাতে গিয়ে ফিরে গেলেন। চলতি সিরিজ়ে তাঁর খারাপ অব্যাহত। দ্বিতীয় উইকেটে ধস সামাল দিয়েছিলেন খোয়াজা এবং মার্নাস লাবুশেন।
তবে সেই জুটিও বেশি ক্ষণ টেকেনি। অশ্বিনের ঘূর্ণিতে তাঁর প্রতিরোধও ভেঙে পড়ে। ভারতীয় স্পিনারদের বল যে অস্ট্রেলীয়রা ভাল খেলেন, তাঁদেরই একজন স্টিভ স্মিথ নেমেছিলেন। কিন্তু অশ্বিনের সামনে টিকলেন মাত্র দু’বল। তিনিও বাইরের একটি বলে রক্ষণ করতে গিয়ে উইকেটকিপার শ্রীকর ভরতের হাতে ক্যাচ দিলেন। অস্ট্রেলিয়া দলে ফিরিয়েছিল বাঁ হাতি ব্যাটার ট্রেভিস হেডকে। তাঁকে তুলে নেন শামি।
কোটলার পিচে কী ভাবে খেলতে হয়, সতীর্থদের সেই পাঠ দিচ্ছিলেন খোয়াজা। উপমহাদেশের পিচে সাম্প্রতিক কালে বেশ সফল তিনি। দরকারি সুইপ, রিভার্স সুইপ মেরে ভারতীয় বোলারদের ব্যস্ত রাখছিলেন। তবে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কারণেই উইকেট খোয়াতে হল তাঁকে। জাডেজার একটি বলে রিভার্স সুইপে চার মেরেছিলেন। পরের বল আবার রিভার্স সুইপ করতে গেলেন। বলের বাউন্স সামান্য বেশি হওয়ায় তা ব্যাটের ঠিক জায়গায় লাগেনি। তবে পয়েন্টে থাকা কেএল রাহুল ডান দিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে এক হাতে অসাধারণ ভঙ্গিতে সেই ক্যাচ তালুবন্দি করেন। প্রথম দিনে মনে রাখার মতো একটি দৃশ্য ছিল এটি।
খোয়াজা ফেরার পর মনে করা হয়েছিল অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস বেশি ক্ষণ টিকবে না। কিন্তু হ্যান্ডসকম্ব এবং অধিনায়ক কামিন্স মিলে ধস সামাল দেন। দাঁতে দাঁত চেপে লড়লেন দু’জনে। সপ্তম উইকেটে ৫৯ রানের ওই জুটি অস্ট্রেলিয়ার দুশো রান তো পার করলই, তাদের আত্মবিশ্বাসও কিছুটা বাড়িয়ে দিল। কামিন্স আউট হওয়ায় অবশ্য অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস বেশি ক্ষণ টেকেনি। আরও অন্তত সাত রান কম হত তাদের। জাডেজার বলে হ্যান্ডসকম্বের ক্যাচ নিয়েছিলেন অশ্বিন। তবে জাডেজা নো-বল করায় বেঁচে যান তিনি। শেষ পর্যন্ত ২৬৩ রানে ইনিংস শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy