ম্যাচ জেতালেন অক্ষর ছবি: পিটিআই
ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখ থেকে জয় ছিনিয়ে নিলেন অক্ষর পটেল। বাঁ হাতি অলরাউন্ডারের দাপটে শেষ ম্যাচ বাকি থাকতেই এক দিনের সিরিজ পকেটে পুরল ভারত। শেষ ওভারে হল ম্যাচের ফয়সালা। ৩১২ রান তাড়া করতে নেমে অর্ধশতরান করেন শ্রেয়স আয়ার ও সঞ্জু স্যামসন। কিন্তু শেষ দিকে ৩৫ বলে অক্ষরের অপরাজিত ৬৪ দলকে জেতাল।
ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং শুরু করেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার। হোপের সঙ্গে মিলে কাইল মেয়ার্স পাওয়ার প্লে-তে দ্রুত রান করছিলেন। ভারতের হয়ে প্রথম এক দিনের ম্যাচ খেলতে নামা আবেশ খানকে নিশানা করেছিলেন তাঁরা। শুরুটা ভাল হল না ডান হাতি পেসারের। প্রথম তিন ওভারেই ৪০ রান দেন তিনি।
ভারতকে ম্যাচে ফেরালেন স্পিনাররা। দীপক হুডা নিজের প্রথম বলেই মেয়ার্সকে ৩৯ রানের মাথায় আউট করেন। তিন নম্বরে নামা শামরা ব্রুকস হোপের সঙ্গে জুটি বাঁধেন। ৩৫ রানের মাথায় তাঁকে আউট করেন অক্ষর পটেল। ব্রেন্ডন কিংকে শূন্য রানের মাথায় সাজঘরে ফেরান যুজবেন্দ্র চহাল।
তিন উইকেট পড়ার পরে হোপের সঙ্গে জুটি বাঁধেন অধিনায়ক পুরান। অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে রান করলেন তাঁরা। প্রায় প্রতি ওভারে একটি করে বাউন্ডারি আসছিল। ফলে রানের গতি কমেনি। এক বার হাত জমে যাওয়ার পরে বড় শট খেলতে শুরু করেন পুরান। বিশেষ করে স্পিনারদের মারছিলেন তিনি। দেখে মনে হচ্ছিল শতরান করবেন। কিন্তু ৭৪ রানের মাথায় উইকেট ছেড়ে খেলতে গিয়ে শার্দুল ঠাকুরের বলে বোল্ড হন পুরান।
অধিনায়ক না পারলেও শতরান করলেন হোপ। চহালের বলে ছক্কা মেরে এক দিনের ক্রিকেটে নিজের ১৩তম শতরান করলেন এই ডান হাতি ব্যাটার। শেষ পর্যন্ত ১১৫ রান করে শার্দুলের বলে আউট হন তিনি। ভারতের হয়ে সব থেকে সফল বোলার শার্দুল। ৫৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন তিনি।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা খুব ধীরে করেন শিখর ধবন। অন্য ওপেনার শুভমন গিল ছন্দে থাকলেও রান তোলার গতি খুব বেশি ছিল না। মাঝে বৃষ্টির জন্য খেলা বেশ কিছু ক্ষণ বন্ধ থাকে। ফের খেলা শুরু হলেও ধবনের ছন্দ ফেরেনি। মাত্র ১৩ রান করে আউট হন তিনি।
শুভমন ভাল খেললেও বড় রান করতে পারেননি। ৪৩ রান করে সাজঘরে ফেরেন তিনি। রান পাননি সূর্যকুমার যাদবও। তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন শ্রেয়স আয়ার ও সঞ্জু স্যামসন। দু’জনে মিলে দলের রানকে এগিয়ে নিয়ে যেতে থাকেন। দুই ব্যাটারই অর্ধশতরান করেন। দেখে মনে হচ্ছিল তাঁরা ভারতকে জয়ের কাছে নিয়ে যাবেন। কিন্তু ৬৩ রান করে শ্রেয়স আউট হয়ে যান। সঞ্জু করেন ৫৪ রান। পাঁচ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ভারত।
শেষ ১০ ওভারে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ছিল ১০০ রান। উইকেটে ছিলেন দীপক হুডা ও অক্ষর পটেল। প্রতি ওভারে ১০ রান করে করতে হত ভারতকে। এই অবস্থায় হাত খোলা শুরু করেন অক্ষর। বাঁ হাতি ব্যাটারকে সঙ্গ দিচ্ছিলেন দীপক। তিনি ৩৩ রান করে আউট হলেও অক্ষর উইকেটে ছিলেন। আলজারি জোসেফের এক ওভারে খেলার ছবিটা বদলে দেন তিনি। তাঁকে থামাতে পারছিলেন না ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোনও বোলার।
মাত্র ২৭ বলে এক দিনের ক্রিকেটে প্রথম অর্ধশতরান করেন অক্ষর। শেষ ওভারে জয়ের জন্য ৮ রান দরকার ছিল ভারতের। হাতে ছিল মাত্র ২ উইকেট। প্রথম বলে রান হয়নি। পরের বলে ১ রান নেন অক্ষর। তৃতীয় বলে সিঙ্গল নেন মহম্মদ সিরাজ। চতুর্থ বলে ছক্কা মেরে দলকে জিতিয়ে দেন অক্ষর। ৩৫ বলে ৬৪ রান করে অপরাজিত থাকেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy