যুজ়বেন্দ্র চহাল। —ফাইল চিত্র।
এশিয়া কাপের দল নির্বাচিত হয়ে গেলেও বিতর্ক থামছে না। ভারতীয় দলে যুজ়বেন্দ্র চহালের দলে জায়গা না পাওয়ার পাশাপাশি পুরো সুস্থ না হওয়ার পরেও কে এল রাহুলের প্রত্যাবর্তন নিয়ে প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন ক্রিকেটার হরভজন সিংহ ও কৃষ্ণমাচারি শ্রীকান্ত।
হরভজন প্রশ্ন তুলেছেন চহালের বাদ যাওয়ার যৌক্তিকতা নিয়ে। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে প্রাক্তন ভারতীয় অফস্পিনার বলেছেন, ‘‘এই দলে চহালের অভাব ক্রমশ স্পষ্ট হবে। সাদা বলের ক্রিকেটে এই মুহূর্তে সেরা কার্যকরী ভারতীয় লেগস্পিনারের নাম করতে হলে চহালের ধারেকাছে কেউ নেই।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘হতে পারে সাম্প্রতিক কয়েকটা ম্যাচে ও ভাল বোলিং করেনি কিন্তু তাই বলে ওকে খারাপ বোলার বলে দাগিয়ে দেওয়া যেতে পারে না। ছন্দে ফেরার জন্য কাউকে বিশ্রাম দেওয়াই যেতে পারে কিন্তু চহালের মতো বোলারকে দলে রাখলেই সবচেয়ে ভাল হত।’’
প্রাক্তন ভারতীয় অফস্পিনার আরও যোগ করেন, ‘‘চহাল তো পরীক্ষিত ম্যাচউইনার বোলার। দলে ওর উপস্থিতির খুবই প্রয়োজন রয়েছে। আমি কিন্তু এখনও মনে করি, বিশ্বকাপের দরজা চহালের কাছে বন্ধ হয়ে যায়নি। মনে রাখা দরকার, এ বার বিশ্বকাপ হবে ভারতে। চহালকে কিন্তু দলে রাখতেই হবে। কোনও ক্রিকেটারের মনোবল বাড়াতে হলে তাকে দলের সঙ্গেই রাখা উচিত। তাকে রাতারাতি বাদ দিয়ে চাপ তৈরি করে আখেরে কিন্ত কারও কোনও উপকার হবে না।’’
নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ১৯৮৩ বিশ্বকাপজয়ী ভারতীয় দলের সদস্য শ্রীকান্ত তোপ দেগেছেন রাহুলকে দলে ফেরানো নিয়ে। তিনি বলেছেন, ‘‘বলা হয়েছে যে, রাহুলের এখনও নাকি হাল্কা চোট রয়েছে। যে ক্রিকেটারের চোট রয়েছে, তাকে কী ভাবে দলে রাখা যেতে পারে! কোন নীতিতে ক্রিকেটারদের নেওয়া হচ্ছে। আমাদের সময় ফিট ক্রিকেটারদেরই নির্বাচিত করা হত। যার চোট রয়েছে, তাকে কেন দলে নিতে হবে? তা হলে প্রশ্ন দাঁড়াল নির্বাচনের মানদণ্ডটা কিসের ভিত্তিতে তৈরি হবে।’’
সেখানেই না থেমে শ্রীকান্ত আরও বলেছেন, ‘‘যদি বিশ্বকাপে কাউকে খেলাতে হয়, তা হলে তাকে শুধুমাত্র সেই প্রতিযোগিতার জন্য নির্বাচিত করা হোক। শুনলাম, রাহুল নাকি শুরুর দিকে কয়েকটা ম্যাচে না-ও খেলতে পারে। সেই কারণেই নাকি সঞ্জু স্যামসনকে রিজ়ার্ভ ক্রিকেটার হিসেবে রাখা হয়েছে! এটা কী ধরনের দল নির্বাচন, তা মাথায় ঢুকছে না।’’
নির্বাচক কমিটির প্রাক্তন চেয়ারম্যান শুনিয়েছেন অতীতের একটি ঘটনাও। তিনি বলেছেন, ‘‘খুব সম্ভবত টেস্ট ম্যাচ ছিল দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে। ভিভিএস লক্ষ্মণ ফিট ছিল না। ঠিক হয়, যদি সময়ের মধ্যে লক্ষ্মণ সুস্থ হয়ে যায়, তা হলে ওকে খেলানো হবে। কিন্তু ম্যাচের দিন ও ফিট হয়নি। বাধ্য হয়ে সেই সময় রোহিত শর্মাকে দলে নেওয়া হয় কিন্তু অনুশীলনে ও-ও ফুটবল খেলতে গিয়ে চোট পেল এবং দল থেকে ছিটকে গেল। তার পরেই টেস্ট অভিষেক হয়েছিল ঋদ্ধিমান সাহার।’’
শ্রীকান্ত যোগ করেছেন, ‘‘সেই দিনই আমরা ঠিক করে নিয়েছিলাম, ভবিষ্যতে ঝুঁকি নিয়ে আর কোনও ক্রিকেটারকে নির্বাচিত করা যাবে না। নির্বাচনের দিন যদি কোনও ক্রিকেটার ফিট না থাকে, তা হলে তাকে দলেই নেওয়া হবে না। ভারতীয় ক্রিকেটে এখন তো প্রতিভার অভাব নেই। কিন্তু অহেতুক ঝুঁকি নিয়ে সেই ধরনের একটা সঙ্কট তৈরি করা হল।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy