বাবর আজ়মদের প্রাক্তন বোর্ড প্রধান রামিজ় রাজা এখনও বিতর্কে। দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরেও সেই বিতর্ক থামছে না। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই রামিজ় রাজা সরিয়ে দিয়েছিলেন দলের দুই কোচকে। তাই নিয়ে কম বিতর্ক হয়নি। দায়িত্ব থেকে সরে যাওয়ার পরে সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন রামিজ়। জানালেন, কোচেদের সরিয়ে দেওয়ার সম্পূর্ণ অধিকার ছিল তাঁর। তিনি শুধু নিজের কাজটা করেছিলেন।
২০২১ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রামিজ় যখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান হন তখন দলের প্রধান কোচ মিসবা উল হক ও বোলিং কোচ ওয়াকার ইউনিস। দুই প্রাক্তন ক্রিকেটারকেই সরিয়ে দেন তিনি। প্রধান কোচ করে তিনি নিয়ে আসেন আর এক প্রাক্তন ক্রিকেটার সাকলিন মুস্তাককে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের মাত্র এক মাস আগে রামিজ়ের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা শুরু হয়েছিল। সেটা নিয়েই মুখ খুললেন তিনি।
পাকিস্তানের এক টেলিভিশন চ্যানেলে রামিজ় বলেছেন, ‘‘চেয়ারম্যান হিসাবে ওদের সরিয়ে দেওয়ার অধিকার আমার ছিল। সেই সময় যেটা দরকার ছিল সেটাই করেছি। তবে কাউকে অপমান করা হয়নি। ওদের সম্পূর্ণ সম্মান দেওয়া হয়েছে। দু’বছরের পুরো বেতন দিয়ে দেওয়া হয়েছে। এখন যে ওরা সাকলিনকে সরিয়ে মিকি আর্থারকে নিয়ে আসার কথা ভাবছে সেটা নিয়ে তো কোনও কথা হচ্ছে না।’’
তবে সাকলিনকে সহজে সরিয়ে দেওয়া যাবে না বলে জানিয়েছেন রামিজ়। তাঁর কথায়, ‘‘আগে প্রতি বছর চুক্তি করা হত। এমনিতেও মিসবা, ওয়াকারের চুক্তি কয়েক মাস আগে শেষ হয়ে যেত। ওয়াকারের সঙ্গে আমি খেলেছি। তাই ওর সঙ্গে আমি কথা বলেছিলাম। মিসবাকে বুঝিয়েছিল বোর্ডের সিইও। তবে সাকলিনের সঙ্গে আমি তিন বছরের চুক্তি করেছি। তাই সহজে ওকে সরাতে পারবে না। আমি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলাম, আমি চলে গেলেও যাতে দল ভাল হাতে থাকে।’’
পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের চেয়ারম্যান পদে থাকার সময় তিনি খুনের হুমকি পেয়েছিলেন বলেও দাবি করেছেন রামিজ়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাকে খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল। সেই কারণেই আমি বুলেটপ্রুফ গাড়ি ব্যবহার করতাম। নিজের জন্য সেই গাড়ি কিনিনি। এখনও সেই গাড়ি পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের দফতরে রয়েছে। নাজম (বোর্ডের নতুন চেয়ারম্যান) চাইলে সেটা ব্যবহার করতেই পারে।’’
কিন্তু তাঁকে কে বা কারা হুমকি দিয়েছিলেন সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি রামিজ়। তিনি বলেছেন, ‘‘আমি এই বিষয়ে বেশি কিছু বলতে পারব না। শুধু এটুকুই বলব যে ২০২২ সালের মার্চ মাসে অস্ট্রেলিয়া যখন আমাদের দেশে খেলতে এসেছিল তখন আমি হুমকি পেয়েছিলাম। আমি অভিযোগ করেছিলাম। পুলিশের ডিআইজি আমার বাড়িতে এসেছিলেন। তার পরেই আমাকে বুলেটপ্রুফ গাড়ি দেওয়া হয়েছিল। নইলে কেন দেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy