(বাঁ দিকে) মনোজ তিওয়ারি এবং গৌতম গম্ভীর। —ফাইল চিত্র।
গৌতম গম্ভীরের ক্রিকেট কেরিয়ার তখন শেষের মুখে। মনোজ তিওয়ারি তাঁর থেকে অনেকটাই ছোট। দু’জনে একসঙ্গে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়েও খেলেছেন। তবু ২০১৫ সালে রঞ্জি খেলতে নেমে দিল্লি বনাম বাংলা ম্যাচে মনোজকে হুমকি দিয়েছিলেন গম্ভীর।
বাংলার প্রাক্তন অধিনায়ক মনোজ এখন অবসর নিয়েছেন। কিন্তু মানুষ গম্ভীরের আচরণ ভোলেননি। মনোজ বলেন, “২০১৫ সালের রঞ্জি ম্যাচ। গম্ভীর হঠাৎ আমার উপর রেগে গেল। ওর মনে হয়েছিল আমি সময় নষ্ট করছি। স্লিপ থেকে আমাকে কটূক্তি করছিল। অকথ্য ভাষায় আক্রমণ করছিল। তার পরেই বলল, ‘সন্ধেবেলা দেখা কর, মারব।’ আমিও ছাড়ার পাত্র নই। বলেছিলাম, ‘সন্ধেবেলা কেন, এখনই মারো।’”
২০১২ সালে মনোজের মারা চারেই আইপিএল ফাইনালে জিতেছিল কেকেআর। সেই সময় দলের অধিনায়ক ছিলেন গম্ভীর। শুরুর দিকে সম্পর্ক ভাল থাকলেও পরে তা নষ্ট হয়ে যায়। মনোজ মনে করেন, তিনি ভাল খেললে তা সহ্য করতে পারতেন না গম্ভীর। বাংলার বহু যুদ্ধের নায়ক বলেন, “কেকেআরে থাকাকালীন আমাদের ঝগড়া হত। বার বার আমাকে ব্যাটিং অর্ডারে নীচের দিকে নামিয়ে দেওয়া হত। এক বার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে প্রীতি ম্যাচে আমি ১২৯ রান করেছিলাম। গম্ভীর করেছিল ১১০ রান। তাতেও ওর রাগ। আমি সানস্ক্রিন মাখছিলাম। হঠাৎ গম্ভীর এসে বলল, ‘তুমি এখানে কী করছ? সবাই মাঠে চলে গিয়েছে।’”
মনোজ জানিয়েছেন, গম্ভীর তাঁকে না খেলানোর হুমকিও দিয়েছিলেন। বাংলার হয়ে ১০ হাজারের বেশি রান করা প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “ইডেনে আমাদের ঝগড়া হয়েছিল ব্যাটিং অর্ডার নিয়ে। আমি হতাশ হয়ে শৌচালয়ে ঢুকে গিয়েছিলাম। গম্ভীর সেখানে চলে আসে। আমাকে বলে, ‘এই আচরণ চলবে না। খেলাব না তোমায়।’ আরও অনেক কিছুই বলেছিল। আমাকে হুমকি দিয়েছিল। তবে সেখানে বোলিং কোচ ওয়াসিম আক্রম চলে আসায় হাতাহাতি হয়নি। যদিও প্রথম প্রথম আমাকে নিয়ে অনেক ভাল কথাই বলত। আমার প্রতিভার তারিফ করত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy