ভারতীয় ক্রিকেটে একের পর এক অভিযোগ উঠল। অভিযোগ করলেন বোর্ডের সঙ্গে যুক্ত প্রাক্তন আধিকারিক। —ফাইল চিত্র
ভারতীয় ক্রিকেটে উঠল একের পর এক অভিযোগ। ম্যাচ গড়াপেটা থেকে শুরু করে দলে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে আর্থিক প্রতারণা— কী নেই সেই তালিকায়। এমনকি যৌন হেনস্থারও অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ করেছেন আইপিএস অফিসার নীরজ কুমার। ২০১৫ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের ‘দুর্নীতি দমন শাখা’র প্রধান ছিলেন তিনি।
আত্মজীবনীতে একের পর এক দাবি করেছেন নীরজ। তিনি জানিয়েছেন, ম্যাচ গড়াপেটা তো হিমশৈলের চূড়া। দেশের ক্রিকেটের আরও অন্ধকার দিক রয়েছে। তবে বিসিসিআইয়ের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করেননি তিনি। নীরজের অভিযোগের কেন্দ্রে রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলি।
আত্মজীবনীতে নীরজ লিখেছেন, ‘‘বিসিসিআইয়ে ৩ বছর কাটিয়ে আমি বুঝতে পেরেছি যে ম্যাচ গড়াপেটা তো দুর্নীতির হিমশৈলের চূড়া মাত্র। রাজ্য সংস্থা্র প্রশাসক ও অন্য কর্তারা যে ধরনের দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত থাকেন তার কাছে ম্যাচ গড়াপেটা খুব ছোট ঘটনা।’’
ঠিক কী কী অভিযোগ করেছেন নীরজ? নিজের বইয়ে তিনি লিখেছেন, ‘‘ক্রিকেট প্রশাসক ও উঠতি ক্রিকেটারদের মধ্যে বেআইনি আর্থিক লেনদেন ঘটত। আমাদের কাছে প্রায়ই অভিযোগ আসত যে রঞ্জি দল বা আইপিএলে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে কোনও উঠতি ক্রিকেটারের পরিবারের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা নিয়েছেন কোনও প্রশাসক বা কোচ। তার পর থেকে তিনি উধাও।’’ কিন্তু টাকা দেওয়ার খুব বেশি প্রমাণ অভিযোগকারীরা দেখাতে পারতেন না বলে তার কোনও সুরাহা হত না বলেও জানিয়েছেন তিনি।
টাকার পাশাপাশি দলে সুযোগ পাইয়ে দেওয়ার নামে যৌন হেনস্থার অভিযোগও তাঁদের কাছে আসত বলে দাবি করেছেন নীরজ। বেশির ভাগই হত তৃণমূল স্তরে।
এই প্রসঙ্গে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার কথা তুলেছেন নীরজ। আত্মজীবনীতে তিনি লিখেছেন, ‘‘ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড যে টাকা রোজগার করে তার একটা বড় অংশ রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলিকে দেয়। কিন্তু সেই টাকা কাজে লাগানো হয় না। ২০১৫ সালে জম্মু-কাশ্মীর ক্রিকেট সংস্থার কর্তাদের বিরুদ্ধে সিবিআই তদন্ত হয়েছিল। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছিল যে বোর্ডের দেওয়া টাকা নয়ছয় করেছে তারা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy