ঘরের মাঠে আবার হার কলকাতা নাইট রাইডার্সের। মঙ্গলবার লখনউ সুপার জায়ান্টসের কাছে ৪ রানে হারলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। ইডেনের ২২ গজে প্রথমে ব্যাট করে ঋষভ পন্থেরা করেন ৩ উইকেটে ২৩৮। ইনিংসের ১৪তম ওভার পর্যন্ত সমানে সমানে লড়াই করলেও পারল না কেকেআর। রাহানেদের ইনিংস শেষ হল ৭ উইকেটে ২৩৪ রানে। কেকেআরের হারের পাঁচটি কারণ খুঁজল আনন্দবাজার ডট কম।
কেকেআরের বোলিং ব্যর্থতা: কেকেআরের বোলারদের পারফরম্যান্স প্রত্যাশা মতো হয়নি। হর্ষিত রানা, স্পেনসার জনসন, সুনীল নারাইনদের বোলিংয়ে কোনও পরিকল্পনা দেখা যায়নি। বরুণ চক্রবর্তীকেও তেমন কার্যকর মনে হয়নি। লখনউয়ের টপ অর্ডার ব্যাটারদের আগ্রাসী ব্যাটিং ম্যাচের শুরু থেকেই চাপে ফেলে দেয় কেকেআর বোলারদের। বিশেষ করে মার্শ এবং পুরানের জুটির আগ্রাসনের সামনে দিশাহারা দেখিয়েছে রাহানেদের। মার্শ করেন ৪৮ বলে ৮১ রান। আরও বেশি আগ্রাসী ছিলেন পুরান। তাঁর ব্যাট থেকে এসেছে ৩৬ বলে ৮৭ রানের অপরাজিত ইনিংস। তাঁদের ৩০ বলে ওঠে ৭১ রান। অর্থাৎ ওভার প্রতি ১৪ রানের বেশি তুলেছেন তাঁরা। লখনউয়ের আর এক ওপেনার এডেন মার্করাম করেন ২৮ বলে ৪৭।
রাহানের দুর্বল নেতৃত্ব: দলের স্ট্রাইক বোলারেরা মার খেলেও আন্দ্রে রাসেলকে রাহানে বোলিং আক্রমণে আনেন অনেক পরে। ১৬তম ওভারে। অথচ বল করতে এসেই মার্শ-পুরান জুটি ভাঙেন অভিজ্ঞ রাসেল। বেঙ্কটেশ আয়ার, রমনদীপ সিংহদেরও আক্রমণে আনার কথা ভাবেননি রাহানে। কেকেআরের অধিনায়কের পরিকল্পনার অভাব স্পষ্ট দেখা গিয়েছে। চাপে ভুগেছেন তিনিও। যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী দেখায়নি অধিনায়ককে। তার প্রভাব পড়েছে কেকেআরের অন্য ক্রিকেটারদের উপরও।
রাহানের আউট: ম্যাচের অন্যতম টার্নিং পয়েন্ট রাহানের আউট। বড় রান তাড়া করতে নেমে বেশ ভাল ব্যাট করছিলেন কেকেআর অধিনায়ক। দ্রুত রান তুলছিলেন। তাঁর ৩৫ বলে ৬১ রানের ইনিংস থামল শার্দূল ঠাকুরের একটি সাধারণ বলে। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে ‘সফট ডিসমিসেল’। তিনি আউট হওয়ার পর কলকাতার ইনিংসের ছন্দ নষ্ট হয়। কমে যায় রান তোলার গতি।
কেকেআরের মিডল অর্ডারের ব্যর্থতা: রান তাড়া করার সময় রাহানে এবং বেঙ্কটেশের জুটি ভাল জায়গায় রেখেছিলেন দলকে। কিন্তু রাহানে ৩৫ বলে ৬১ রান করে আউট হওয়ার পরই চাপে পড়ে যায় কেকেআরের ইনিংস। রমনদীপ (১), অঙ্গকৃশ রঘুবংশী (৫), রাসেলেরা (৭) পর পর আউট হওয়ায় চাপে পড়ে যায় কেকেআর। শেষ দিকে মরিয়া চেষ্টা করেও দলকে জয় এনে দিতে পারেননি রিঙ্কু সিংহ। তিনি ১৫ বলে ৩৮ রান করে অপরাজিত থাকেন।
আরও পড়ুন:
ডেথ ওভারে লখনউয়ের বোলিং: কলকাতার ইনিংসের ১৬তম, ১৭তম এবং ১৮তম ওভারে দারুণ বল করলেন লখনউয়ের বোলারেরা। ১৬তম ওভারে আকাশ দীপ ১২ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ১৭তম ওভারে শার্দূল ৯ রান দিয়ে ১ উইকেট নেন। ১৮তম ওভারে দিগ্বেশ রাঠী উইকেট না পেলেও খরচ করেন মাত্র ৭ রান। এতে ওভার প্রতি রান তোলার লক্ষ্য বৃদ্ধি পাওয়ায় কেকেআরের ইনিংস চাপে পড়ে যায়। ১৯তম ওভারে আবেশ খান এবং ২০তম ওভারে রবি বিশ্নোইও খারাপ বল করেননি। শেষ পাঁচ ওভারেই বোলার পরিবর্তন করেছেন লখনউ অধিনায়ক পন্থ।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ