অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে সিরিজ় জিতে নিলেন বাটলাররা। ছবি: টুইটার।
অস্ট্রেলিয়াকে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচেও হারিয়ে দিল ইংল্যান্ড। ক্যানবেরায় প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড তোলে ৭ উইকেটে ১৭৮ রান। জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হল ৬ উইকেটে ১৭০ রানে। ৮ রানে জিতে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেলেন জস বাটলাররা।
টস জিতে ইংল্যান্ডকেই প্রথমে ব্যাট করতে পাঠান অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের সামনে ইংল্যান্ডের অধিকাংশ ব্যাটারই ব্যর্থ হলেন। দাউইদ মালান এবং মইন আলির ইনিংসের উপর ভর করেই লড়াই করার মতো জায়গায় পৌঁছয় তারা। তিন নম্বরে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ বলে ৮২ রান করলেন মালান। তাঁর ব্যাট থেকে এল সাতটি চার এবং চারটি ছয়। মইন করলেন ২৭ বলে ৪৪ রান। চারটি চার এবং দু’টি ছয় মারলেন তিনি। পঞ্চম উইকেটের জুটিতে তাঁরা চললেন ৯২ রান। তার আগে ৫৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ইংল্যান্ড। ওপেন করতে নেমে বাটলার করলেন ১৩ বলে ১৭ রান। ইংল্যান্ডের বাকি কোনও ব্যাটার দু’অঙ্কের রানও করতে পারলেন না। অ্যালেক্স হেলস (৪), বেন স্টোকস (৭), হ্যারি ব্রুক (১), স্যাম কারেনরা (৮) কেউই দলের ইনিংসকে নির্ভরতা দিতে পারলেন না। শেষ পর্যন্ত উইকেটে ছিলেন ক্রিস জর্ডান (৭) এবং ডেভিড উইলি (০)।
অস্ট্রেলিয়ার সফলতম বোলার মার্কাস স্টোইনিস ৩৪ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। ২৬ রানে ২ উইকেট অ্যাডাম জ়াম্পার। একটি করে উইকেট পেয়েছেন প্যাট কামিন্স এবং মিচেল স্টার্ক।
জবাবে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটারদেরও তেমন আগ্রাসী মেজাজে দেখা গেল না। রান পেলেন না দুই ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার (৪) এবং ফিঞ্চ (১৩)। ব্যর্থ হলেন গ্লেন ম্যাক্সওয়েলও (৮)। আয়োজকদের ইনিংস টানলেন মিচেল মার্শ এবং টিম ডেভিড। মার্শ করলেন ২৯ বলে ৪৫ রান। তিনটি চার এবং দু’টি ছক্কা এল তাঁর ব্যাট থেকে। ডেভিড ২৩ বলে ৪০ রানের ইনিংসটি সাজান পাঁচটি চার এবং একটি ছয় দিয়ে। স্টোইনিস করেন ১৩ বলে ২২ রান। শেয পর্যন্ত ২২ গজে ছিলেন ম্যাথু ওয়েড এবং কামিন্স। তাঁরা যথাক্রমে ১০ বলে ১০ রান এবং ১১ বলে ১৮ রান করলেও দলকে জয় এনে দিতে পারলেন না।
বল হাতে ইংল্যান্ডের জয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিলেন কারেন। ২৫ রান দিয়ে ৩ উইকেট নিলেন। একটি করে উইকেট নিয়েছেন স্টোকস, উইলি এবং রিসি টপলে। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ় জয় নিশ্চিত করে নিল ইংল্যান্ড। অন্য দিকে, ভারতের পর ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের কাছেও সিরিজ় হারলেন ফিঞ্চরা। যা টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে উদ্বেগ বাড়াতে পারে আয়োজক দেশের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy