মুম্বই ক্রিকেট হারাল আরও এক নক্ষত্রকে। প্রয়াত পদ্মাকর শিভালকর। মৃত্যুকালে বয়স হয়েছিল ৮৪ বছর। ঘরোয়া ক্রিকেটে মুম্বইয়ের হয়ে ২০ বছর খেলেছেন। ধারাবাহিক সাফল্য পাওয়া সত্ত্বেও কোনও দিন জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি। বিষাণ সিংহ বেদির সঙ্গে একই সময়ে খেলার কারণে ভারতীয় দলে কোনও দিন তাঁর কথা ভাবাই হয়নি।
কিছু দিন আগে মিলিন্দ রেগে চলে গিয়েছিলেন। এ বার শিভালকরও চলে গেলেন। খবর পেয়ে সুনীল গাওস্কর লিখেছেন, “খুবই খারাপ খবর। খুব কম সময়ের মধ্যে মুম্বই ক্রিকেটের দুই তারকা মিলিন্দ এবং পদ্মাকর চলে গেল। অনেক জয়ের কারিগর ছিল ওরা।” নিজের বই ‘আইডল্স’-এ শিভালকরকে নিজের আদর্শ হিসাবে বর্ণনা করেছিলেন গাওস্কর।
১৯৬১-৬২ মরসুমে ২১ বছর বয়সে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে খেলা শুরু করেন শিভালকর। ৪৭ বছর বয়স পর্যন্ত খেলেছেন। ১২৪টি প্রথম শ্রেণির ম্যাচ খেলে ৫৮৯টি উইকেট নিয়েছেন। ইনিংসে পাঁচ উইকেট ৪২ বার এবং ম্যাচে ১০ উইকেট ১৩ বার রয়েছে। ১৯৭২-৭৩ মরসুমে মুম্বইয়ের হয়ে রঞ্জি ফাইনালে দুই ইনিংসে যথাক্রমে ১৬ রানে আট উইকেট এবং ১৮ রানে পাঁচ উইকেট নিয়েছিলেন। টানা ১৫তম রঞ্জি জিতেছিল মুম্বই।
গাওস্কর লিখেছেন, “ভারতের অধিনায়ক হিসাবে আমার অন্যতম আক্ষেপ হল, জাতীয় দলে ‘প্যাডি’কে নেওয়ার জন্য নির্বাচকদের রাজি করাতে না পারা। জাতীয় দলে খেলা অনেক ক্রিকেটারের থেকে ও বেশি যোগ্য ছিল। এটাই ভাগ্য। ও এমন বোলার ছিল, যে বিপক্ষের সেরা ব্যাটারকে বলে বলে আউট করে মুম্বইকে জিতিয়েছে। সারা দিন ধরে বল করে যেতে পারত।”
আরও পড়ুন:
জাতীয় দলে না খেলার জন্য আক্ষেপ ছিল। তবে কোনও দিন তা প্রকাশ করেননি শিভালকর। দেব আনন্দের সিনেমার সংলাপ ধার করে বলেছিলেন, যা ভবিতব্য সেটাকেই তিনি মেনে নিয়েছেন। সেই আক্ষেপ নিয়েই চলে গেলেন ভারতের ঘরোয়া ক্রিকেটের অন্যতম সেরা এক ক্রিকেটার।