সৌরভ কোনও রকম বিতর্কের রাস্তাতে হাঁটেননি। — ফাইল চিত্র
দিল্লির যন্তর মন্তরে দীর্ঘ দিন ধরেই চলছে কুস্তিগিরদের ধর্না। বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন মানুষ সেই নিয়ে মুখ খুলেছেন। এ বার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কেও সরব হতে দেখা গেল। আইপিএলের মাঝে দিল্লি ক্যাপিটালসের ডিরেক্টর রাজধানীতে একটি অনুষ্ঠানে হাজির হয়ে এ বিষয়ে কথা বললেন।
তবে সৌরভ কোনও রকম বিতর্কের রাস্তাতে হাঁটেননি। সৌরভ বলেছেন, “আশা করি ওদের সমস্যা তাড়াতাড়ি মিটে যাবে। কুস্তিগিররা দেশের হয়ে অনেক পদক জিতেছে। দেশকে সম্মান এনে দিয়েছে। তাই দ্রুত এর সমাধান হওয়া দরকার।”
তিনি আরও বলেছেন, “ওদের লড়াই ওদেরকেই লড়তে দেওয়া হোক। আমি সঠিক জানি না ওখানে কী হচ্ছে। সংবাদপত্র দেখে ওদের বিষয়ে জানতে পারি। খেলাধুলোর সঙ্গে যুক্ত থাকার সুবাদে একটা জিনিস ভালই শিখেছি। যদি কোনও বিষয়ে সম্পূর্ণ জ্ঞান না থাকে তা হলে সেই বিষয়ে মন্তব্য না করাই ভাল।”
জাতীয় কুস্তি সংস্থার প্রধান ব্রিজ ভূষণ শরন সিংহকে গ্রেফতারের দাবিতে গত ২৩ এপ্রিল থেকে ধর্নায় বসেছেন দেশের প্রথম সারির কুস্তিগিররা। সেই ধর্না শুক্রবার পড়েছে ১২তম দিনে। এর মধ্যে বহু ঘটনার সাক্ষী থেকেছে দেশ। ব্রিজ ভূষণের বিরুদ্ধে এফআইআর করার দাবিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল, তা এখন বদলে গ্রেফতারির দাবি তোলা হয়েছে। এর মাঝে কুস্তিগিরদের পক্ষে অনেকে সওয়াল করেছেন। অনেকে বিরোধিতা করেছেন। বুধবার পুলিশের সঙ্গে কুস্তিগিরদের খণ্ডযুদ্ধও হয়েছে।
৩ মে মধ্যরাতে হঠাৎ পুলিশ এবং বিক্ষোভকারীদের মধ্যে শুরু হয় কথা কাটাকাটি। শেষ পর্যন্ত তা হাতাহাতিতে পৌঁছয়। বিক্ষোভকারী কুস্তিগিরদের অভিযোগ, দিল্লি পুলিশের একটি দল মত্ত অবস্থায় বুধবার সন্ধ্যা থেকেই তাঁদের সঙ্গে অভব্য আচরণ করতে শুরু করেন। রাতে তাঁরা আচমকাই এসে মারধর করেন এবং মহিলা কুস্তিগিরদেরও গালিগালাজ করেন। তাঁদের দাবি, এতে দুই আন্দোলনকারী আহত হন। এক জনকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়।
বিনেশ সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “সারা দিন বৃষ্টি হওয়ার ফলে মাটি ভিজে থাকায় আমরা বিক্ষোভস্থলে খাট পাতার চেষ্টা করছিলাম। তখনই পুলিশ আমাদের উপর হামলা করে। একজনও মহিলা পুলিশকর্মী ছিলেন না। এই সময় ধাক্কধাক্কিতে কেউ কেউ মাথাতেও আঘাত পান।” এর পরেই কান্নায় ভেঙে পড়েন বিনেশ। তিনি বলেন, “আমরা কোনও দাগি আসামি নই যে পুলিশ আমাদের সঙ্গে এরকম আচরণ করবে। এই দিনটি দেখার জন্যই কি আমরা দেশের হয়ে এত পদক জিতলাম?”
বজরং সংবাদ সংস্থা এএনআইকে বলেন, “সারা দেশের মানুষের আমাদের পাশে এসে দাঁড়ানো উচিত। দিল্লি পুলিশ ব্রিজভূষণের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ না করে আমাদের উপর বলপ্রয়োগ করছে।” বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে চারটি পদক জেতা বজরং বলেন, “আমি সরকারকে অনুরোধ করব যেন আমার সব পদক ফিরিয়ে নেওয়া হয়।”
পুলিশের দাবি ছিল অন্য। দিল্লি পুলিশের ডিসিপি প্রণব তয়াল বলেন, “বুধবার রাতে আপ নেতা সোমনাথ ভারতীর নেতৃত্বে কয়েক জন অনুমতি ছাড়াই বিক্ষোভস্থলে এসে উপস্থিত হন। ঘটনাস্থলে পৌঁছেই তাঁরা পুলিশের ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করেন। সোমনাথ এবং তাঁর লোকেদের সমর্থন জোগান বিক্ষোভরত কুস্তিগিরেরা। পুলিশ যথাসময়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে অনভিপ্রেত ঘটনা রুখতে সক্ষম হয়েছে।” ডিসিপি আরও জানান, সোমনাথ এবং তাঁর দুই সমর্থককে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy