সৌহার্দ: সিরিজ় দক্ষিণ আফ্রিকারই। ম্যাচের পরে ডুসেনকে অভিনন্দন কোহলির। হতাশ ভারতীয় খেলোয়াড়েরা। শুক্রবার কেপ টাউনে। রয়টার্স
সেই শেষ লড়াইটা জয় করা হল না। ভারত এ বার হারল সাত উইকেটে। এতেই বোঝা যাচ্ছে প্রথম টেস্টে হারের পরে দক্ষিণ আফ্রিকা কী ভাবে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিন থেকেই দক্ষিণ আফ্রিকার উঠে দাঁড়ানোর ব্যাপারটা শুরু হয়ে গিয়েছিল। দ্বিতীয় দিনের খেলা বৃষ্টির জন্য ভেস্তে যাওয়ায় ওদের সুবিধে হয়েছিল। তাতে প্রথম দিন কতটা খারাপ বোলিং করেছিল, সেটা ওদের বোঝার সুযোগ চলে আসে। বাকি সাত উইকেট ওরা ৫৫ রানের মধ্যে ফেলে দেয়। এর পর থেকে আর ভারতীয় ব্যাটাদের বড় রান করার সুযোগ দেয়নি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারেরা।
এটা ঠিক, এই ধরনের পিচে ব্যাটিং করা সহজ নয়। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংও খুব শক্তিশালী নয়। তবুও ওদের ব্যাটাররা অনেক বেশি সংকল্প এবং সহনশীলতা দেখিয়েছে ক্রিজ়ে পড়ে থাকার ব্যাপারে। ভারতীয় ব্যাটাররা যা দেখাতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটিংকে আরও হয়তো শক্ত পরীক্ষার মুখে ফেলা যেত যদি দুই টেস্টেই তাড়া করার জন্য আরও ৭০ রান বেশি থাকত।
ভারতীয় বোলাররা সর্বস্ব উজাড় করে দিয়েছে। কিন্তু ভারতীয় ব্যাটাররা যথেষ্ট রান তুলতে পারেনি জয়ের জন্য। হঠাৎ করে কয়েকটা বাউন্ডারি আসার পরে জয়ের জন্য লক্ষ্য যখন বিপক্ষের আরও কাছাকাছি চলে এসেছে, ভারতীয় দল মনঃসংযোগ হারায়।
এর পরে কয়েকটা সিদ্ধান্ত ভারতীয় দলের পক্ষে যায়নি। এ রকম ম্যাচে এই ধরনের ঘটনা যে ঘটতে পারে, সেটা বোঝার মতো ভারতীয় দল যথেষ্ট ক্রিকেট খেলেছে। তাই এ রকম ঘটনার মোকাবিলা করার সেরা উপায় হল ব্যাপারটা হজম করে এগিয়ে যাওয়া।
হতাশ লাগল দেখে যে, লাঞ্চের পরে হাল ছেড়ে দিয়েছিল ভারতীয় দল। তখন জেতার জন্য আরও একবার শেষ চেষ্টা করার বদলে উমেশ যাদব আর আর অশ্বিনকে আনা হল বোলিংয়ে। ওদের অসম্মান করছি না। কিন্তু এই ধরনের পিচে ওরা অতটা কার্যকর হয়ে ওঠেনি। অশ্বিন যখন বোলিং করছিল। ফিল্ডিং ছড়ানো ছিল। ফলে সহজেই খুচরো রান নিতে পেরেছে দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটাররা। আর সেটা যত হয়েছে, জয়ের জন্য লক্ষ্য তত কাছে চলে এসেছে ওদের। যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি নিশ্চয়ই শেষ একটা চেষ্টা করার জন্য মুখিয়ে ছিল। কিন্তু ওরা সেই সুযোগ আর পায়নি। ফলে ভারত শেষ মুহূর্তে হার বাঁচানোর সুযোগ হারিয়েছে।
প্রথম টেস্টে ও রকম হারের পরও দক্ষিণ আফ্রিকা যে ভাবে ঘুরে দাঁড়িয়েছে, ওদের কৃতিত্ব দিতেই হবে। ডিন এলগার সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে ওদের। এলগার ওর সাহস আর কঠিন মানসিকতার সাহায্যে দলের অন্যদের পথ দেখিয়েছে। (টিসিএম)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy