এ বারের আইপিএলে দিল্লি ক্যাপিটালসের হয়ে খেলছেন লোকেশ রাহুল। প্রথম কয়েকটি ম্যাচেই নজর কেড়েছেন তিনি। ওপেন থেকে শুরু করে মিডল অর্ডার, সবেতেই স্বচ্ছন্দ এই ডানহাতি ব্যাটার। রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে অবশ্য একটু সমস্যায় পড়েছেন রাহুল। দ্রুত রান করতে পারেননি। ৩২ বলে ৩৮ রান করেছেন। তাঁর ব্যাটিংয়ের সমালোচনা করেছেন চেতেশ্বর পুজারা। তাঁর মতে, রাহুল শুধু নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করছিলেন।
দিল্লি-রাজস্থান ম্যাচের পর পুজারা বলেন, “রাহুল সিনিয়র ক্রিকেটার। আমার মনে হয় প্রথম ১৫-২০টা বল খেলার পর ও হাত খোলার পরিকল্পনা নিয়ে নামে। কিন্তু আমার মতে, তার মাঝেই ওকে হাত খুলতে হবে। উইকেটে এক বার থিতু হয়ে যাওয়ার পর ওকে বড় ইনিংস খেলতে হবে। কারণ, পরের ব্যাটারদের পক্ষে শুরু থেকে হাত খোলা সম্ভব হবে না।”
পুজারার মতে, বার বার ব্যাটিং অর্ডারে বদলের ফলে সমস্যা হচ্ছে রাহুলের। ভারতীয় ব্যাটার বলেন, “রাহুলের ব্যাটিং অর্ডার বার বার বদলাচ্ছে। আমার মনে হয়, ওর মানিয়ে নিতে একটু সমস্যা হচ্ছে। পাওয়ার প্লে-তে রাহুল শুরু থেকে আক্রমণাত্মক ব্যাট করে। কিন্তু রাজস্থানের বিরুদ্ধে ওর খেলা দেখে মনে হয়েছে, নিজের উইকেট বাঁচানোর চেষ্টা করছিল। দলের জন্য খেলেনি রাহুল। নিজের জন্য খেলছিল। তাতে দিল্লি সমস্যায় পড়তে পারত।”
আরও পড়ুন:
পুজারার কথা থেকে স্পষ্ট, রাহুল রাজস্থানের বিরুদ্ধে স্বার্থপর ব্যাট করেছেন। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ২০ ওভারে ১৮৮ রান করেছিল দিল্লি। রাহুল একটু দ্রুত রান তুললে দলের রান ২০০ পার হতে পারত। ১৮৯ রান তাড়া করতে নেমে একটা সময় জেতার মতো জায়গায় পৌঁছে গিয়েছিল রাজস্থান। শেষ ৬ বলে ৯ রান করতে পারেনি তারা। খেলা গড়ায় সুপার ওভারে। সেখানে রাজস্থানের বিরুদ্ধে ১২ রান তাড়া করতেও রাহুলই শুরুতে নেমেছিলেন। ট্রিস্টান স্টাবসের সঙ্গে মিলে দলকে জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি।
দিল্লি জিতে যাওয়ায় রাহুলের ইনিংসের কেউ সমালোচনা করেননি। তবে যদি দিল্লি হারত, তা হলে হয়তো রাহুলের সমালোচনা দলের অন্দরেই হত। দল জিতলে সাজঘরের পরিবেশ ফুরফুরে থাকে। সেটাই হয়তো রাখতে চাইছে দিল্লি। তবে পুজারার কথা থামাতে পারেনি তারা। রাহুলের সমালোচনা করেছেন তিনি। পাল্টা অবশ্য রাহুল এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেননি।
- ১৮ বছরের খরা কাটিয়ে ট্রফি জিতেছে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। প্রথম বার আইপিএল জেতার স্বাদ পেয়েছেন বিরাট কোহলি। ফাইনালে পঞ্জাব কিংসকে ছ’রানে হারিয়েছে বেঙ্গালুরু।
- ট্রফি জেতার পরের দিনই বেঙ্গালুরুতে ফেরেন বিরাট কোহলিরা। প্রিয় দলকে দেখার জন্য প্রচুর সমর্থক জড়ো হয়েছিলেন চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে। সেখানে হুড়োহুড়িতে পদপিষ্ট হওয়ার ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে অন্তত ১১ জনের। আহত ৫০-এরও বেশি। ঘটনাকে ঘিরে দায় ঠেলাঠেলি শুরু হয়েছে।
-
১১ মৃত্যুর জের, আইপিএল জয়ের উৎসবে কী কী করা যাবে না, শনিবার ঠিক করবে বোর্ড, আর কী কী নিয়ে আলোচনা?
-
‘লক্ষ লক্ষ মানুষের ভিড় হবে’! বেঙ্গালুরুতে কোহলিদের উৎসবের আগে সতর্ক করেছিল পুলিশই, তবু কেন এড়ানো গেল না দুর্ঘটনা
-
আইপিএলের শেষ পর্বে ছিলেন না, ভারত-পাক সংঘাত, না কি ‘বিশেষ’ কারণে খেলতে আসেননি স্টার্ক?
-
‘ভিড়ের চাপে স্ত্রীয়ের হাত ছুটে যায়’, পদপিষ্টে প্রিয়জন হারিয়ে কথা বলার ভাষা নেই পরিবারের
-
অফিসে খোলা পড়ে ল্যাপটপ, আরসিবি-র অনুষ্ঠান দেখেই ফিরবেন বলেছিলেন, ফিরে এল তথ্যপ্রযুক্তি কর্মী কামাক্ষীর দেহ