আদালতে দাঁড়িয়ে পৃথ্বী শয়ের বিরুদ্ধে একাধিক গুরুতর অভিযোগ জানিয়েও মিলল না রেহাই। পুলিশ হেফাজতের শেষ দিন ভোজপুরী অভিনেত্রী স্বপ্না গিলকে আদালতে হাজির করানো হয়। ১৪ দিনের বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিলেন বিচারক। পৃথ্বীকে শারীরিক ভাবে হেনস্থার ঘটনায় ধৃত আরও তিন জনকেও ১৪ দিন বিচার বিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

দু’পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শোনার পর বিচারক ২০ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অভিযুক্তদের বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন। বিচারক খারিজ করে দেন জামিনের আর্জি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৩, ১৪৮, ১৪৯, ৩৮৪, ৪৩৭, ৫০৪ এবং ৫০৬ ধারায় মামলা রুজু করেছে ওশিওয়ারা থানার পুলিশ। আপাতত জেলে থাকতে হবে তাঁদের।

পৃথ্বীর বন্ধু আশিস যাদব পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন স্বপ্না-সহ আট জনের বিরুদ্ধে। তাঁর অভিযোগ ছিল, বেসবল ব্যাট দিয়ে তাঁদের গাড়িতে হামলা, ৫০ টাকা না দিলে মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন স্বপ্নারা।

গত শুক্রবার আদালতে হাজির করানো হলে স্বপ্না অভিযোগ করেছিলেন, পৃথ্বী তাঁর বুকে এবং হাতে আঘাত করেছেন। মুম্বইয়ের ক্রিকেটার টাকা দিয়ে বিষয়টি মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দেন বলেও অভিযোগ করেছিলেন সমাজমাধ্যমে পরিচিত ভোজপুরী অভিনেত্রী।

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি ঘটনার রাতেই গ্রেফতার করা হয়েছিল স্বপ্না এবং তাঁর বন্ধুদের। আদালতে স্বপ্না বলেছিলেন, ‘‘আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা সত্য নয়। বরং পৃথ্বীই আমার বুকে এবং হাতে মেরেছেন। আঘাত করার পর আমার কাছে ক্ষমা চান ক্রিকেটার। পুলিশের কাছে অভিযোগ দায়ের না করার জন্যও অনুরোধ করেন আমাকে।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমরা পুলিশের কাছে যাই সাহায্যের জন্য। ওঁরা ৮-১০ জন মতো ছিলেন। আর আমরা মাত্র দু’জন ছিলাম।’’ পৃথ্বীকে তিনি চেনেন না এবং কখনও দেখেননি বলেও দাবি করেছিলেন আদালতে।

তাঁর আরও অভিযোগ ছিল, ৫০ হাজার টাকা নগদ দিয়ে মিটিয়ে নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মত্ত পৃথ্বী। ঘটনার দিন রাতে ওশিওয়াড়া থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন স্বপ্না এবং তাঁর বন্ধুরা। স্বপ্না অসংলগ্ন কথাবার্তা বলায় তাঁকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।