(বাঁদিকে) বিরাট কোহলি এবং রোহিত শর্মা (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
ক্রিকেটারদের জন্য ১০ দফা নির্দেশিকা বা নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। ভারতীয় দলে তারকা সংস্কৃতি বন্ধ করতে গৌতম গম্ভীরের পরামর্শে জারি করা হয়েছে বিধিনিষেধ। সেগুলির মধ্যে অন্যতম, বিদেশ সফরে কোনও ক্রিকেটার ব্যক্তিগত রাঁধুনি বা সহকারীকে নিয়ে যেতে পারবেন না। তবে ক্রিকেটারদের খাওয়াদাওয়া নিয়ে যাতে সমস্যা না হয়, তা নিশ্চিত করতে আরও একটি সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বিসিসিআই কর্তারা। এ বার থেকে বিদেশ সফরে ভারতীয় দলের সঙ্গে পাঠানো হবে দু’জন রাঁধুনিকে।
একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, বিদেশে গিয়ে ক্রিকেটারেরা খাবার নিয়ে সমস্যায় পড়ুন, চান না বোর্ডের কর্তারা। তাই দলের সঙ্গে দু’জন রাঁধুনিকে পাঠানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিরাট কোহলি, ঋষভ পন্থ-সহ ভারতীয় দলের একাধিক ক্রিকেটার তাঁদের খাওয়াদাওয়ার ব্যাপারে অত্যন্ত সতর্ক। পুষ্টিবিদদের নির্দেশ কঠোর ভাবে মেনে চলেন তাঁরা। যে কোনও খাবার মুখেও তোলেন না তাঁরা। বিদেশের হোটেলগুলিতে সব সময় তাঁদের চাহিদা মতো খাবার পাওয়া যায় না। আবার পাওয়া গেলেও সেখানকার রাঁধুনিদের নিজেদের চাহিদা বোঝাতে গিয়ে সমস্যায় পড়েন ক্রিকেটারেরা। তাই বিদেশ সফরের সময় দলের সঙ্গে দু’জন রাঁধুনি রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিসিসিআইয়ের এক কর্তা বলেছেন, ‘‘দলের জন্য আমরা একটি বিকল্প প্রস্তাব দিয়েছি। খেলোয়াড়দের চাহিদা মতো বোর্ডই দলের সঙ্গে দু’জন রাঁধুনিকে পাঠাবে। ক্রিকেটারদের বিভিন্ন চাহিদা নিয়ে আমরা আলোচনা করব। সেই মতো সব ব্যবস্থা করার চেষ্টা করা হবে।’’
গত ছ’সাত বছর ধরে ভারতীয় দলের কয়েক জন সদস্য নিজেদের খরচে ব্যক্তিগত রাঁধুনি নিয়ে বিদেশ সফরে যান। নিজেদের পুষ্টিবিদের পরামর্শ মতো খাবার খান তাঁরা। যদিও সেই রাঁধুনিরা ভারতীয় দলের হোটেলে থাকেন না। তাঁদের থাকার আলাদা ব্যবস্থা করেন ক্রিকেটারেরাই। তঁদের যাতায়াতের ব্যবস্থা, রান্নার ব্যবস্থা সবই নিজেদের দায়িত্বে করেন ক্রিকেটারেরা। তাঁরা সময় মতো দলের হোটেলে ক্রিকেটারদের খাবার পৌঁছে দেন। গম্ভীর চান না খাবার জায়গায় কোচ এবং ক্রিকেটার ছাড়া আর কেউ থাকুক। ওই কর্তা বলেছেন, ‘‘দু’জন রাঁধুনি ক্রিকেটারদের চাহিদা মতো আলাদা আলাদা খাবার তৈরি করে দিতে পারবেন। সকলে যাতে নিজেদের পছন্দ মতো খাবার পায়, তা নিশ্চিত করা হবে। দীর্ঘ বিদেশ সফরে অনেকেই বাড়ির খাবারের অভাব অনুভব করে। এটা স্বাভাবিক। বোর্ডের রাঁধুনিরা সেই অভাব পূরণ করবেন। বাড়ির মতো সাধারণ খাবার তৈরি করবেন তাঁরা।’’ তিনি আরও বলেছেন, ‘‘কিছু ক্রিকেটার খাবারের ব্যাপারে কঠোর শৃঙ্খলা মেনে চলে। বিশেষ করে চোট সারিয়ে ফেরার সময় ক্রিকেটারেরা খাবার নিয়ে ভীষণ সতর্ক থাকে। খাবারের পুষ্টিগুণ বজায় রাখা গুরুত্বপূর্ণ। একই সঙ্গে খেয়াল রাখতে হয়, যাতে ওজন বৃদ্ধি না পায়। তাই সেরা মানের উপাদান ব্যবহার করা হয় তাদের খাবারে। বোর্ড এই বিষয়ে সতর্ক এবং দলের জন্য খাবার তৈরিতে সেরা মানের উপাদানের ব্যবস্থা করা হবে।’’
শুধু কয়েক জন ক্রিকেটারের ব্যক্তিগত রাঁধুনি নিয়ে যাওয়া বন্ধ করাই নয়, আরও একটি লক্ষ্য রয়েছে বিসিসিআইয়ের। ভারতীয় দলের সমস্ত ক্রিকেটারের খাদ্যাভাসে শৃঙ্খলা আনতে চান বোর্ডকর্তারা। কয়েক জন ক্রিকেটার খাবার ব্যাপারে নিয়ম মেনে চললেও কয়েক জন আবার কোনও কিছু মানেন না। বোর্ডের রাঁধুনি রান্না করলে তাঁদেরও শৃঙ্খলায় বাঁধা যাবে। অর্থাৎ এক ঢিলে দুই পাখি মারতে চান বিসিসিআই কর্তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy