মিচেল স্টার্ক। ছবি: টুইটার।
বলের পাশাপাশি ব্যাট হাতেও ক্রমশ নির্ভরযোগ্য হয়ে উঠছেন মিচেল স্টার্ক। অস্ট্রেলীয় জোরে বোলার কী ভাবে সাফল্য পাচ্ছেন ব্যাট হাতে? স্টার্ক জানিয়েছেন, একটি গোপন কম্মের কথা।
ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট বিশ্বকাপ ফাইনালে স্টার্ক ৪১ রান করেছিলেন। গত চার বছরে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ রানের টেস্ট ইনিংস। অ্যাশেজ সিরিজ়ের লর্ডস টেস্টেও ব্যাট হাতে রান পেয়েছেন অস্ট্রেলীয় জোরে বোলার। এই দু’টি ইনিংসই স্টার্ক খেলেছিলেন স্ত্রী অ্যালিসা হিলির একটি ব্যাট দিয়ে। সম্প্রতি টেস্ট ক্রিকেটে রান পাওয়ায় স্ত্রীর ব্যাটটিকেই কৃতিত্ব দিয়েছেন স্টার্ক।
হিলি অস্ট্রেলিয়ার মহিলা দলের অধিনায়ক। কী জাদু রয়েছে তাঁর ব্যাটে? স্টার্ক বলেছেন, ‘‘আগে যে ব্যাটটা ব্যবহার করতাম, হিলির ব্যাটটা সেটার থেকে কিছুটা হালকা। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ় থেকে এই ব্যাটে খেলছি। অনরিখ নোখিয়া বেশ ভাল গতিতে বল করছিল ওই সিরিজ়ে। ওর বল সামলানোর জন্য একটু কম ওজনের ব্যাটের খোঁজ করছিলাম। এক দিন হিলির ব্যাগে এটা দেখতে পাই। ওকে না বলেই নিয়েছিলাম। তার পর থেকে ওর ব্যাট দিয়েই টেস্ট খেলছি।’’ ব্যাট চুরি করা স্টার্ক এর পর হাসতে হাসতে বলেছেন, ‘‘হিলি কিন্তু প্রথমে জানত ওর ব্যাটটা হারিয়ে গিয়েছে।’’
কী ভাবে পেলেন ব্যাটটা? স্টার্ক বলেছেন, ‘‘বাড়িতে অনেকগুলো ক্রিকেট ব্যাগ রয়েছে। এক দিন ব্যাগগুলো পরিষ্কার করছিলাম। হিলি তখন একটা সফরে গিয়েছিল। ব্যাগগুলোর একটার মধ্যে পেয়েছিলাম ব্যাটটা। হাতে নিয়ে দেখলাম একটু হালকা। ঠিক যেমন আমি খুঁজছিলাম। ব্যাগটায় আরও দু’টো ব্যাট ছিল। সেগুলো রেখে দিয়েছিলাম।’’ হিলি বাড়ি ফিরে ব্যাটটা খোঁজেননি? স্টার্ক বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ খুজেছিল। আমাকে বলেছিল, ‘এই ব্যাগে আমার তিনটে ব্যাট ছিল। আর একটা কোথায়?’ উত্তরে বলেছিলাম, আমি দু’টো ব্যাটই পেয়েছি। তুমি কি নিশ্চিত, যে তিনটি ব্যাট ছিল? পরে জানিয়েছিলাম, আর একটা আমার ক্রিকেট ব্যাগে রেখেছি।’’
স্ত্রীর ব্যাট নিলেও হাতলের গ্রিপ জুতসই ছিল না। তাই প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করিয়ে নেন স্টার্ক। তবে এর মধ্যে নতুনত্ব কিছু নেই। একে অন্যের ক্রিকেট সরঞ্জাম ব্যবহার করে থাকেন স্টার্ক এবং হিলি। ২০১৬-১৭ মরসুমে মহিলাদের বিগ ব্যাশ লিগে হিলি খেলেছিলেন স্টার্কের একটি ব্যাট দিয়ে। সাফল্যও পেয়েছিলেন। তবে স্টার্কের ব্যাটের হাতল কেটে একটু ছোট করিয়ে নিয়েছিলেন নিজের সুবিধা মতো। স্টার্ক এবং হিলি দু’জনকেই ব্যাট সরবরাহ করে একটি ক্রীড়া সরঞ্জাম প্রস্তুতকারী সংস্থা। তাই অন্যের ব্যাটে খেললেও কারও পক্ষে দেখে বোঝার উপায় থাকে না সহজে।
ক্রিকেট মাঠে তাঁরা সব সময় পরস্পরের পাশে থাকার চেষ্টা করেন নিজের খেলা না থাকলে। দু’জনে এক সঙ্গে অনুশীলনও করেন। পরস্পরকে পরামর্শ দেন। অ্যাশেজ সিরিজ়েও তাঁদের দেখা গিয়েছে পরস্পরের ম্যাচ দেখতে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy