ফাইল চিত্র।
বেশ কয়েক বছর কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলার পরে এ বার নতুন দল, আমদাবাদের জার্সিতে আইপিএলে খেলতে দেখা যাবে শুভমন গিলকে। যে দলের ব্যাটিং কোচ এবং মেন্টর হয়ে এসেছেন গ্যারি কার্স্টেন। ভারতের বিশ্বকাপজয়ী এই প্রাক্তন কোচ উচ্ছ্বসিত তরুণ শুভমনকে নিয়ে। তিনি মনে করেন, একার হাতে ম্যাচ জেতানোর ক্ষমতা আছে তরুণ শুভমনের।
সম্প্রচারকারী চ্যনেলে কার্স্টেন বলেছেন, ‘‘নিয়মিত ভারতের হয়ে খেলা উচিত শুভমনের। ওকে সবসময়ই আমার দারুণ আকর্ষণীয় ক্রিকেটার মনে হয়েছে। ভারতীয় দলেও ওর নিয়মিত খেলার কথা। আশা করছি আগামী দিনে বিরাটদের (কোহলি) স্থায়ী সঙ্গী হয়ে উঠবে ছেলেটা।’’ যোগ করেন, ‘‘ওর যে রকম দক্ষতা, সে রকমই খেলাটা বোঝে। একার হাতেই ম্যাচ জিতিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা আছে শুভমনের।’’
আমদাবাদের ব্যাটিং কোচ হিসেবে শুভমনের সঙ্গে কাজ করতেও মুখিয়ে আছেন কার্স্টেন। সচিন তেন্ডুলকরদের প্রাক্তন কোচ বলেছেন, ‘‘আমি তাকিয়ে আছি শুভমনের সঙ্গে কাজ করার জন্য। আমার লক্ষ্যই হল আইপিএলে শুভমনের মধ্যে থেকে সেরা খেলাটা বার করে আনা।’’
আমদাবাদ দলের অধিনায়ক হয়েছেন হার্দিক পাণ্ড্য। দলে আছেন আফগানিস্তানের লেগস্পিনার রশিদ খানও। তাঁর দলের অধিনায়ককে নিয়ে কার্স্টেন বলেছেন, ‘‘আমি জানি হার্দিক অসাধারণ ক্রিকেটার। শুনেছি নতুন দলের সঙ্গে নিজেকে দ্রুত একাত্ম করে নিতে চায়। আমি নিশ্চিত, আইপিএলের মতো প্রতিযোগিতার গুরুত্বও বোঝে।’’ যোগ করেন, ‘‘আরও শুনেছি মাঠে নেমে নিজেকে প্রমাণ করতে তৈরি হয়ে আছে হার্দিক। কারণ এটা ওর ক্রিকেট জীবনের নতুন চ্যালেঞ্জ। আমাদের হাতে ওর মতো দক্ষ ক্রিকেটার থাকা সৌভাগ্যের।’’
আইপিএলে এত দিন হার্দিক মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের জার্সিতেই খেলেছেন। সেখানে তাঁর ৯২ ম্যাচে ১৪৭৬ রান। স্ট্রাইক রেটও দুর্দান্ত। ১৫৩.৯১। সঙ্গে উইকেট ৪২টি। অবশ্য চোটের জন্য হালফিলে সে ভাবে বোলিং করতে পারছেন না। হার্দিককে ছেড়ে দেওয়ার নেপথ্যে যেটা একটা বড় কারণ বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে।
হার্দিক ভারতীয় দলের হয়ে শেষ খেলেন আমিরশাহিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। পিঠের ব্যথা পুরোপুরি না সারায় তাঁকে নির্বাচকেরা রাখেননি নিউজ়িল্যান্ড ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে সিরিজ়ে। আমদাবাদ কিন্তু তার পরেও হার্দিকের উপরেই আস্থা রেখেছে। সঙ্গে বড় অঙ্কের টাকা খরচ করেছে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের আফগান স্পিনার রশিদকে নিতে।
কার্স্টেনের বিশ্বাস, গিল আর রশিদ আইপিএলে আমদাবাদকে সাফল্যের মুখ দেখাবেন। ‘‘দু’জনই অনবদ্য ক্রিকেট খেলে। রশিদের তো বিশ্বের নানা প্রান্তে খেলার অভিজ্ঞতা আছে। বলতে গেলে প্রতিটি ক্রিকেট কেন্দ্রেই নিজেকে প্রমাণ করেছে। তাই ওদের সঙ্গে কোচ হিসেবে কাজ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছি,’’ বলেছেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy