প্রতিরোধ: শনিবার লিভারপুল তারকা সালাহকে রোখার চেষ্টা। ছবি: রয়টার্স।
কিছুক্ষণের জন্য ইপিএল টেবলে শীর্ষস্থান হারালেও আবার আগের জায়গায় ফিরে গেল ম্যাঞ্চেস্টার সিটি শনিবার বার্নলিকে ২-০ হারিয়ে।
পাঁচ মিনিটেই সিটি এগিয়ে গিয়েছিল কেভিন দ্য ব্রুইনের গোলে। রদ্রির ক্রস থেকে রাহিম স্টার্লিং বল সাজিয়ে দেন কেভিনের উদ্দেশে। তিনি গোল করতে ভুল করেননি। প্রথমার্ধের মাঝামাঝি সিটির জয় নিশ্চিত করেন ইলখাই গুন্দোয়ান। এই জয়ে ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে রইল পেপ গুয়ার্দিওলার দল। ৭২ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে লিভারপুল।
তবে এই ম্যাচের আগে ওয়াটফোর্ডকে হারিয়ে ইপিএল আরও জমিয়ে দিল লিভারপুল। এই জয়ে পয়েন্ট টেবলের শীর্ষস্থানে পৌঁছে গিয়েছিল তারা। অন্তত কয়েক ঘণ্টার জন্য। ১৫ জানুয়ারিও ‘দ্য রেডস’ ম্যাঞ্চেস্টার সিটির চেয়ে ১৪ পয়েন্টে পিছিয়ে ছিল। কিন্তু এর পরে অ্যানফিল্ডে টানা ১০ নম্বর জয় পেপে গুয়ার্দিওলার দলের চেয়েও তাদের এগিয়ে দেয় কিছুক্ষণের জন্য। পেপে-এর দলের সঙ্গে লিভারপুলের লড়াই ১০ এপ্রিল। যে ম্যাচ নিয়ে অনেকের ধারণা, এই লড়াইয়েই ঠিক হয়ে যাবে এ বারের লিগ কার দখলে থাকবে।
প্রধমার্ধের মাঝামাঝি উয়াই কুসকার গোল করার প্রয়াস অ্যালিসন আটকে দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে দিয়েগো জোটার গোল লিভারপুলকে এগিয়ে দেয়। জো গোমেজ়ের ক্রস থেকে পর্তুগালের ফরোয়ার্ড জোটা দুই ওয়াটফোর্ডের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়ের বাধা সামলে লাফিয়ে হেডে গোল করেন। গোমেজ় লিগে এই নিয়ে দ্বিতীয় বার প্রথম একাদশে নেমে গোল করতে সাহায্য করলেন। লিভারপুলের দ্বিতীয় গোল ম্যাচের শেষ দিকে পেনাল্টি থেকে ফ্যাবিনহোর। কুসকা ফাউল করেন জোটাকে। সেই সুযোগে ২-০ করে ফেলেন তিনি।
এ দিকে, ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেনের নতুন ক্লাব ব্রেন্টফোর্ডের হয়ে প্রথম গোলের সুবাদে ১৯৩৯ সালের পরে তারা প্রথম বার চেলসিকে হারাল তারা। ম্যাচের ফল ৪-১। ডেনমার্কের মিডফিল্ডার ছাড়া জোড়া গোল ভিতালি জ্যানেল্ট এবং অপর গোলদাতা ইয়োয়ানে উইসা।
ম্যাচে যদিও প্রথমে এগিয়ে গিয়েছিল চেলসি। আন্তোনিয়ো রুডিগারের গোলে। এর পরে ভিতালি দ্বিতীয়ার্ধের প্রথম দিকে সমতা ফেরান। ব্রেন্টফোর্ডের দ্বিতীয় গোল এরিকসেনের। ব্রায়ান মিয়োমোর ক্রস থেকে তিনি দলকে এগিয়ে দেন। উল্লেখ্য, গত বছর ইউরো ২০২০ চলাকালীন খেলার মাঝেই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন এরিকসেন। তার পরে দীর্ঘদিন মাঠের বাইরে ছিলেন তিনি। সেরি আ-র দল ইন্টার মিলান তাঁকে দলে রাখতে চায়নি। এর পরেই তিনি নতুন বছরে এসে সই করেন ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই দলে। এ বার তিনি গোলও করে ফেললেন।
ব্রেন্টফোর্ডের তৃতীয় গোল ভিতালির। ইভান টোনির পাস থেকে। এর পরে পরিবর্ত হিসেবে নামা উইসা ব্রেন্টফোর্ডকে দাপটে জয় পেতে সাহায্য করেন গোল করে। ঘরের মাঠে এই হারের পরে চেলসি তৃতীয় স্থানে রইলেও দ্বিতীয় স্থানে থাকা লিভারপুলের চেয়ে তারা ১৩ পয়েন্টে পিছিয়ে গেল।
জয় বায়ার্নের: এ দিন বুন্দেশলিগায় জয় পেল বায়ার্ন মিউনিখ। ৪-১ ফলে তারা হারাল ফ্রেইবার্গকে। চোটের কারণে চার ম্যাচ বাইরে থাকার পরে এই ম্যাচে দলে ফিরেছিলেন লিয়ন গোরেৎস্কা। প্রথমার্ধ গোলশূন্য থাকার পরে ৫৮ মিনিটে তিনিই প্রথম এগিয়ে দেন বায়ার্নকে। এর পাঁচ মিনিট পরেই নিলস পিটারসেন সমতা ফিরিয়েছিলেন ফ্রেইবার্গের হয়ে। কিন্তু গোল খাওয়ার পরে তেড়েফুঁড়ে খেলতে শুরু করে বায়ার্ন। ৭৩ মিনিটে বায়ার্নের হয়ে ব্যবধান বাড়ান সার্জ ন্যাব্রি। ৮২ মিনিটে ৩-১ করেন কিংসলে কোম্যান। সংযুক্ত সময়ে ৪-১ করেন মার্সেল সাবিৎজার। এই জয়ের ফলে ২৮ ম্যাচে ৬৬ পয়েন্ট নিয়ে বুন্দেশলিগার শীর্ষে থাকল বায়ার্ন। অন্য ম্যাচে আর বি লাইপজ়িসের বিরুদ্ধে ১-৪ হারল বরুসিয়া ডর্টমুন্ড।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy