Advertisement
E-Paper

অভিযুক্ত ভাই, বোনদের থানায় এনে বেধড়ক মার

অভিযোগ, এক মহিলা কনস্টেবলের সাহায্যে উলঙ্গ করে তাঁদের মারা হয়। মারের চোটে এক মহিলার গর্ভপাতও হয়ে যায়।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

গ্রাফিক: তিয়াসা দাস।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৯ ০১:০৪
Share
Save

ভাই এক হিন্দু মেয়েকে অপহরণ করেছে, এই অভিযোগে গুয়াহাটির এক সংখ্যালঘু পরিবারের তিন বোনকে দরং জেলার বুড়া পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে বেধড়ক মারল পুলিশ।

অভিযোগ, এক মহিলা কনস্টেবলের সাহায্যে উলঙ্গ করে তাঁদের মারা হয়। মারের চোটে এক মহিলার গর্ভপাতও হয়ে যায়। ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে অসম রাজ্য মহিলা কমিশন। তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও। ডিআইজি (সেন্ট্রাল)-কে তদন্তের ভার দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশের পরেই ওসি মহেন্দ্র শর্মা ও মহিলা কনস্টেবল বিনীতা বড়ো সাসপেন্ড হয়েছেন।

পুলিশ সূত্রে খবর, দরংয়ের বুড়া এলাকা থেকে একটি মেয়েকে নিয়ে গুয়াহাটির রফিকুল ইসলাম পালিয়ে যান। মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ওসি মহেন্দ্র শর্মা গুয়াহাটির ছয় মাইল এলাকায় রফিকুলের বাড়িতে পুলিশ পাঠান। রফিকুল না থাকায় তাঁর এক গর্ভবতী দিদি-সহ তিন বোনকে থানায় আনা হয়। এরপর চলে মারধর। গত ৯ সেপ্টেম্বরের ঘটনা। তিন বোনের অন্যতম মিনুয়ারা বেগম পরের দিনই দরং জেলার এসপির কাছে অভিযোগ দায়ের করেন। পরে রফিকুল থানায় এসে ধরা দেন। মিনুয়ারার অভিযোগ, এখনও পুলিশ এফআইআর করেনি। উল্টে অভিযোগ তুলে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছে ওই ওসি। ডিজিপি কুলধর শইকিয়া জানান, তিনি এসপিকে অবিলম্বে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। দরংয়ের এসপি অমৃত ভুঁইয়া আজ বলেন, ‘‘মারধরের ব্যাপারটি নিশ্চিত নয়। মেডিক্যাল রিপোর্ট পাইনি এখনও। তদন্ত চলছে।’’

Lynching Assam

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}